ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
ভারাক্রান্ত হৃদয়ে যুদ্ধে আবার অবতীর্ণ হলেন ইছাই। প্রবল পরাক্রমে যুদ্ধে লাউসেনের কাছে পরাজিত ও নিহত হলেন 'ধর্মমঙ্গল কাব্যের বীর নায়ক ইছাই ঘোষ।
ইছাই ঘোষের কাহিনী রূপকথার গল্প কথা নয়।ইছাই ঘোষ একজন ঐতিহাসিক চরিত্র। তার বহু প্রমাণ রয়েছে। তবে এটাও ঠিক, ইছাই ঘোষ ও মা শ্যামরূপার মাহাত্ম্য প্রচারের জন্য বহু কিংবদন্তী ও কল্পিত কাহিনীর আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
জনশ্রুতি, ইছাই ঘোষ শ্যামরূপার মানসপুত্র হওয়া সত্ত্বেও দেবী শ্যামরূপা শেষে তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করে ছিলেন। কারন ,প্রথমতঃ ইছাইকে দেবী শ্যামরূপা বলেছিলেন, পরস্ত্রীর প্রতি কুনজর দিলে তিনি তাঁর সঙ্গ ত্যাগ করবেন।
কিন্তু ইছাই কামে পাগল হয়ে কর্ন সেনের পত্নী রঞ্জাবতীককে কামনা করে ছিলেন। দ্বিতীয়তঃ মা শ্যামরূপার পুজো সমাপন না করেই ইছাই যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
তৃতীয়তঃ বারবেলায় অশুভক্ষননে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া।
তাই রাখাল বালকরা গরু চরাতে গিয়ে করুন সুরে গান গায় " শনিবারের বারবেলায় যুদ্ধে যাইও না ইছাই গোয়ালা ।"
কিংবদন্তী, ইছাই -এর মৃত্যুর পর মা শ্যামরূপা তাঁর প্রিয় পুত্রের জন্য হাহাকার করে কেঁদে বেড়িয়ে ছিলেন। তাই ঢেঁকুর গড়ের একটি স্হানের নাম 'কাঁদুনে ডাঙা' এখানেই মা তার পুত্রের জন্য কেঁদে ছিলেন। (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours