সজল বোস, সমাজকর্মী, দুর্গাপুর:
তোদের চৈতন্য হোক, চেতনায় আঘাতটা করতে হবে, আবার চোখ খুলতেই হবে দেখতে হবে নিজেকেও, পরের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি করে মধ্য দিয়ে সমস্যা কি সঙ্কুচিত হয়? আজ এমনি একটি ঘটনার উল্লেখ করতে চাই যা নিয়ে অনেকের অজানা আছে। আমাদের দেশের নিউজ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে তাবলীগ জামাতের সদর দফতরে হাজার হাজার লোকের সমাবেশ থেকে অসংখ্য মানুষের ভেতর করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দেওয়ার পর গোটা বিষয়টি নিয়ে তীব্র সাম্প্রদায়িক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ওই সমাবেশে যোগ দেওয়া প্রায় শদেড়েক ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। সারা ভারতে করোনাভাইরাসে এখনও পর্যন্ত যে অন্তত ৩৮টি মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে অন্তত দশটির সঙ্গে ওই তাবলীগ জামাত সমাবেশের সম্পর্ক পাওয়া গেছে। এটাকে একটা 'ক্ষমার অযোগ্য পাপ' বলে বর্ণনা করতেও তিনি দ্বিধা করেননি।
কিন্তু পাশ্চাত্যের একটি সাংবাদ মাধ্যমের খবর অনুসারে ব্রিটেনে করোনাভাইরাস বিস্তারের পেছনে হিন্দু গোষ্ঠী ইসকনের (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) আলোচনা-সমালোচনার পর ঐ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে মার্চে এক সমাবেশে যোগ দেওয়া তাদের পাঁচজন সদস্য করোনাভাইরাসে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
ইসকন ইউকে শাখার শীর্ষ কর্মকর্তা প্রাঘোসা দাসকে উদ্ধৃত করে গোষ্ঠীর প্রকাশনা ইসকন নিউজে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মার্চের ১২ তারিখে লন্ডনের উপকণ্ঠে ইসকনের এক মন্দিরে তাদের একজন গুরুর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে তাদের কয়েক হাজার সদস্য হাজির ছিলেন।
পরে ১৫ই মার্চ লন্ডনে আরেকটি মন্দিরে শ্রুতিধর্ম প্রভু নামে প্রয়াত ঐ গুরুর স্নরণসভাতেও কয়েকশ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।
ইসকন পক্ষ থেকে স্বীকার করেছে এখন পর্যন্ত তাদের যে ২১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং যে পাঁচজন মারা গেছেন- তারা সবাই ঐ দুটো অনুষ্ঠানে শরীক হয়েছিলেন।আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী সদস্য রয়েছেন।
শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া তাদের আরো সদস্য যে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন - সে আশঙ্কার কথা ইসকন কর্তৃপক্ষ উড়িয়ে দেননি।
তবে আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে একশ বলে সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে যে দাবি করা হচ্ছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসকন। একই সাথে মার্চের ১২ থেকে ১৫ তারিখের মদ্যে এত বড় সমাবেশ কেন তারা করলো- তার ব্যাখ্যা দেওয়া চেষ্টা করেছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। ইসকন নিউজের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাদেরকে দোষারোপ করার আগে সমাবেশের সময়কালকে বিবেচনা নেওয়া উচিৎ। "সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ," প্রাঘোষাদাসকে উদ্ধৃত করে লিখেছে ইসকন নিউজ।
মি. দাসকে উদ্ধৃত করে আরো বলা হয়েছে, "দয়া করে ইউকে যাত্রার ভক্তদের প্রতি রুষ্ট হবেন না। যে কাজ তাদের করার কথা ছিলনা, তারা মনে করেছেন, তাদের যেটা করা কর্তব্য সেটাই তারা করছেন। তাদের জন্য প্রার্থনা করুন।"
তাই পরিশেষে বলি এই অদৃশ্যমান ভয়ঙ্কর শত্রু কোনো ধর্মের নয়, সে মানবতার শত্রু। মানুষের থেকে মানুষের সংক্রমন হয়। ফলে আপনার কি ধর্ম আর তা নিয়ে ধার্মিক সমালোচনা না করে এই ধরনের জমায়েত থেকে মানুষকেই বিরত থাকতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাই মানুষের ধর্মীয় আক্রমণ থেকে নিজেকে বিরত করে ভাবতে হবে এই ধর্মের কাজে জমায়েত বন্ধ করে নিজদের সুরক্ষিত করতে হবে। তার জন্য প্রসাশন কে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
*''আপনি বাঁচলে
বাঁচবো আমি,
মৃত্যুর থেকে
জীবন বড় দামী।''*
তোদের চৈতন্য হোক, চেতনায় আঘাতটা করতে হবে, আবার চোখ খুলতেই হবে দেখতে হবে নিজেকেও, পরের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি করে মধ্য দিয়ে সমস্যা কি সঙ্কুচিত হয়? আজ এমনি একটি ঘটনার উল্লেখ করতে চাই যা নিয়ে অনেকের অজানা আছে। আমাদের দেশের নিউজ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে তাবলীগ জামাতের সদর দফতরে হাজার হাজার লোকের সমাবেশ থেকে অসংখ্য মানুষের ভেতর করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দেওয়ার পর গোটা বিষয়টি নিয়ে তীব্র সাম্প্রদায়িক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ওই সমাবেশে যোগ দেওয়া প্রায় শদেড়েক ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। সারা ভারতে করোনাভাইরাসে এখনও পর্যন্ত যে অন্তত ৩৮টি মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে অন্তত দশটির সঙ্গে ওই তাবলীগ জামাত সমাবেশের সম্পর্ক পাওয়া গেছে। এটাকে একটা 'ক্ষমার অযোগ্য পাপ' বলে বর্ণনা করতেও তিনি দ্বিধা করেননি।
কিন্তু পাশ্চাত্যের একটি সাংবাদ মাধ্যমের খবর অনুসারে ব্রিটেনে করোনাভাইরাস বিস্তারের পেছনে হিন্দু গোষ্ঠী ইসকনের (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস) আলোচনা-সমালোচনার পর ঐ গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে মার্চে এক সমাবেশে যোগ দেওয়া তাদের পাঁচজন সদস্য করোনাভাইরাসে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
ইসকন ইউকে শাখার শীর্ষ কর্মকর্তা প্রাঘোসা দাসকে উদ্ধৃত করে গোষ্ঠীর প্রকাশনা ইসকন নিউজে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মার্চের ১২ তারিখে লন্ডনের উপকণ্ঠে ইসকনের এক মন্দিরে তাদের একজন গুরুর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে তাদের কয়েক হাজার সদস্য হাজির ছিলেন।
পরে ১৫ই মার্চ লন্ডনে আরেকটি মন্দিরে শ্রুতিধর্ম প্রভু নামে প্রয়াত ঐ গুরুর স্নরণসভাতেও কয়েকশ মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।
ইসকন পক্ষ থেকে স্বীকার করেছে এখন পর্যন্ত তাদের যে ২১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং যে পাঁচজন মারা গেছেন- তারা সবাই ঐ দুটো অনুষ্ঠানে শরীক হয়েছিলেন।আক্রান্তদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী সদস্য রয়েছেন।
শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া তাদের আরো সদস্য যে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন - সে আশঙ্কার কথা ইসকন কর্তৃপক্ষ উড়িয়ে দেননি।
তবে আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে একশ বলে সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে যে দাবি করা হচ্ছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসকন। একই সাথে মার্চের ১২ থেকে ১৫ তারিখের মদ্যে এত বড় সমাবেশ কেন তারা করলো- তার ব্যাখ্যা দেওয়া চেষ্টা করেছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। ইসকন নিউজের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাদেরকে দোষারোপ করার আগে সমাবেশের সময়কালকে বিবেচনা নেওয়া উচিৎ। "সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ," প্রাঘোষাদাসকে উদ্ধৃত করে লিখেছে ইসকন নিউজ।
মি. দাসকে উদ্ধৃত করে আরো বলা হয়েছে, "দয়া করে ইউকে যাত্রার ভক্তদের প্রতি রুষ্ট হবেন না। যে কাজ তাদের করার কথা ছিলনা, তারা মনে করেছেন, তাদের যেটা করা কর্তব্য সেটাই তারা করছেন। তাদের জন্য প্রার্থনা করুন।"
তাই পরিশেষে বলি এই অদৃশ্যমান ভয়ঙ্কর শত্রু কোনো ধর্মের নয়, সে মানবতার শত্রু। মানুষের থেকে মানুষের সংক্রমন হয়। ফলে আপনার কি ধর্ম আর তা নিয়ে ধার্মিক সমালোচনা না করে এই ধরনের জমায়েত থেকে মানুষকেই বিরত থাকতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাই মানুষের ধর্মীয় আক্রমণ থেকে নিজেকে বিরত করে ভাবতে হবে এই ধর্মের কাজে জমায়েত বন্ধ করে নিজদের সুরক্ষিত করতে হবে। তার জন্য প্রসাশন কে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
*''আপনি বাঁচলে
বাঁচবো আমি,
মৃত্যুর থেকে
জীবন বড় দামী।''*
Post A Comment: