সজল বোস, সমাজকর্মী, দুর্গাপুর:

জীবনের অভিজ্ঞতা যখন ভাবনায় প্রকাশিত হয় আর সেখান থেকেই অভিজ্ঞতার উপলব্ধির জন্ম। সেই উপলব্ধি দিয়েই জাপানের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী অধ্যাপক তাসুকু হনজো বলেছেন, কভিট-১৯ বা নোভেল করোনাভাইরাস  প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেয়নি বরং এটা মানুষের গবেষণায় সৃষ্টি।
তিনি বলেন, তার এ বক্তব্য কোনো না কোনো না কোন দিনের আলোর মত পরিস্কার হবে, একদিন এই সত্য প্রমাণিত হবে। আর যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে তার অর্জিত নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহার করে নিতে পারে নোবেল কমিটি, এতে তার কোনো রকম আপত্তি থাকবেনা। সম্প্রতি খবরের জোর গুঞ্জন মিডিয়াতে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন।

প্রফেসর হনজো বলেছেন  নোভেল করোনাভাইরাস সত্যিই যদি প্রকৃতি থেকে আসত তা হলে, সারা বিশ্ব একই সময়ে একইভাবে এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতো না। কারণ, প্রকৃতির ভৌগোলিক আবহাওয়ার তারতম্যের কথা বিবেচনা করলে একই সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তাপমাত্রা সর্বদা এক থাকেনা। ভাইরাসটি যদি প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হতো তা হলে চীনের উহানের তাপমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অঞ্চল গুলোতেই এই ভাইরাস প্রভাব বিস্তার করত।

অথচ এই ভাইরাস সুইজারল্যান্ডের মতো দেশকে যেভাবে আক্রমণ করেছে, ঠিক একইভাবে মরু অঞ্চলের দেশগুলোতেও আক্রমণের চিত্র দেখা যাচ্ছে। একটি অঞ্চলের পরিস্থিতিতে যে অবস্থানের মধ্যে এই ভাইরাস জন্ম হয়েছে তা অন্য অঞ্চলের অবস্থানের পক্ষে মানিয়ে নিয়ে দীর্ঘ্য দিন বেঁচে থাকা সম্ভব নয়, এটা যদি প্রাকৃতিকই হতো, তা হলে শুধু শীতপ্রধান অঞ্চলেই ছড়াত এবং উষ্ণ অঞ্চলগুলোতে ভাইরাসটি মরে যেতে বাধ্য।
 প্রফেসর হনজো বলেন, ‘আমি বিভিন্ন প্রাণী এবং ভাইরাস নিয়ে জীবনের দীর্ঘ্য চল্লিশ বছর ধরে কাজ করেছেন। কখনো ভাইরাসের এমন প্রকৃতি লক্ষ্য করেননি। এটা প্রাকৃতিক নয়, এটা মানুষের তৈরি এবং সম্পূর্ণরূপে আর্টিফিসিয়াল বলে দাবী করেছেন’ হনজো আরও বলেছেন, ‘আমি চার বছর চীনের উহানের ল্যাবরেটরিতেই কাজ করেছি এবং ল্যাবরেটরির প্রতিটি স্টাফের সঙ্গেই আমার পরিচয় আছে। এই করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর আমি তাদের সঙ্গে ফোনে বহু বার আলাপ-আলোচনা করার জন্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু গত তিন মাস ধরে ল্যাবরেটরির সবগুলো টেলিফোন লাইন বন্ধ পাচ্ছি। এতে আমি বুঝতে পারছি, ওই ল্যাবরেটরির কোনো টেকনিশিয়ানই আর জীবিত নেই।’

প্রফেসর হনজোর মতে, ‘এতকাল পর্যন্ত গবেষণা করে তিনি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তা থেকে এটা শতভাগ নিশ্চিত করে বলেন  করোনাভাইরাস প্রাকৃতিক কোনো বিষয় নয় বা এটা বাদুড় থেকেও আসেনি। তাঁর দাবী চীন এই ভাইরাসটি তৈরি করেছে।’ এই দাবী এতটাই জোরালো যে প্রফেসর হনজো পরিশেষে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘তিনি যে কথাটি আজ বলে বলছেন সেটা যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, এমনকি তাঁর  মৃত্যুর পরও যদি এ কথাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তা হলে সরকার যেন তাঁর নোবেল পুরস্কারটি প্রত্যাহার করে নেয়।

তিনি বিশ্বাসের সাথেই বলেছেন, চীন এই ভাইরাস নিয়ে অসত্য বলছে এবং চীনের এই দাবী মিথ্যা বলে একদিন প্রত্যেকের কাছে প্রমাণিত হয়ে যাবে।’
শুধু প্রফেসর হানজোই নয় এমন দাবী এই সময়ে অনেক পশ্চিমী অনেক জীব ও রাসায়নিক গবেষক এই কথা বলেছেন।

দেখাযাক আগমী দিন বলবে সত্যিই কি প্রাকৃতিক না মেন মেড ভাইরাস? যদি প্রফেসর হানজোর কথা সত্যিই প্রমাণিত হয় তাহলে বিশ্বের মানব জাতির বিনাশ করার দায়ে আন্তর্জাতিক স্তরে এর বিচার করতে হবে। কারন মানবতা বিরোধী এই ঘৃণ্য কাজ করার জন্য ইতিহাস কোনও দিন ক্ষমা করবে না।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment: