ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
দুর্গাবাড়ীর দিকে যাওয়ার পথে আম -জাম -কাঁঠালের ছায়া- সুনিবিড় পরিবেশে আনুমানিক তিনবিঘা জমির উপর দ্বারকেশ্বর বিদ্যার্নবের গুরুকুল চতুষ্পাঠী! ছাত্র সংখ্যা অত্যাধিক হওয়ায় গৃহের মধ্যে ছাত্রদের পাঠ দেওয়া সম্ভব হয় না! তাই গাছের ছায়ায় উঠানেই বিদ্যাচর্চা চলে!
একজন অশ্বারোহী দেহরক্ষীকে নিয়ে পুরন্দর ছেত্রী চতুষ্পাঠীর সামনে হাজির হয়ে বিদ্যার্নবকে ডাকেন! বিদ্যার্নব তাঁকে বসতে বললে, তিনি বলেন," আমি পুরন্দর ছেত্রী, এই চতুষ্পাঠীতে একটি বিধবা যুবতী নাকি পড়ায় ?
বিদ্যার্নব সবনয়ে উত্তর দেয়," তোমাকে চিনতে পারবো না কেন, কাশীনরেশের মৃত্যুর পর তাঁর নাবালক সন্তানের পক্ষে রাজকার্য পরিচালনা করছো! আর হ্যাঁ আমার কন্যাসমা হটী বিদ্যালঙ্কার এখানে শুধু অধ্যাপনা করে না, চতুষ্পাঠী এখন সেই চালায়!"
পুরন্দর গম্ভীর হয়ে বললেন," এই বুড়ো বয়সে দুষ্টুমির ধ্যাষ্টামো কেন চাপালেন নিজের ঘাড়ে? জানেন নিশ্চয়ই রাজার কর্তব্য দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন!"
স্তম্ভিত বিদ্যার্নব! তিনি কাশীধামের একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় মহোমহোপাধ্যায়! এই অর্বাচীন, দুর্বিনীত লোকটা কি ভদ্রভাবে কথা বলতেও শেখেনি?
পুরন্দর বিদ্যার্নবকে উদ্দেশ্য করে কদর্য ভাবে বললেন," কি মশাই? ন্যাকামি ছাড়ুন মেয়েটাকে পাঠান! বোঝাপড়া তার সাথেই হবে..." আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু কথা শেষ হওয়ার আগেই নজরে পড়ে - পর্নকুটীরের দ্বার উন্মোচন করে ধীরপদে এগিয়ে আসছে কন্যাটি!পরিধানে ধুতি,উর্ধাঙ্গে গেরুয়া আলখাল্লা ! তার উপর উত্তরীয়! শান্তকন্ঠে বলল," কি চান আপনারা?" (চলবে)
দুর্গাবাড়ীর দিকে যাওয়ার পথে আম -জাম -কাঁঠালের ছায়া- সুনিবিড় পরিবেশে আনুমানিক তিনবিঘা জমির উপর দ্বারকেশ্বর বিদ্যার্নবের গুরুকুল চতুষ্পাঠী! ছাত্র সংখ্যা অত্যাধিক হওয়ায় গৃহের মধ্যে ছাত্রদের পাঠ দেওয়া সম্ভব হয় না! তাই গাছের ছায়ায় উঠানেই বিদ্যাচর্চা চলে!
একজন অশ্বারোহী দেহরক্ষীকে নিয়ে পুরন্দর ছেত্রী চতুষ্পাঠীর সামনে হাজির হয়ে বিদ্যার্নবকে ডাকেন! বিদ্যার্নব তাঁকে বসতে বললে, তিনি বলেন," আমি পুরন্দর ছেত্রী, এই চতুষ্পাঠীতে একটি বিধবা যুবতী নাকি পড়ায় ?
বিদ্যার্নব সবনয়ে উত্তর দেয়," তোমাকে চিনতে পারবো না কেন, কাশীনরেশের মৃত্যুর পর তাঁর নাবালক সন্তানের পক্ষে রাজকার্য পরিচালনা করছো! আর হ্যাঁ আমার কন্যাসমা হটী বিদ্যালঙ্কার এখানে শুধু অধ্যাপনা করে না, চতুষ্পাঠী এখন সেই চালায়!"
পুরন্দর গম্ভীর হয়ে বললেন," এই বুড়ো বয়সে দুষ্টুমির ধ্যাষ্টামো কেন চাপালেন নিজের ঘাড়ে? জানেন নিশ্চয়ই রাজার কর্তব্য দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন!"
স্তম্ভিত বিদ্যার্নব! তিনি কাশীধামের একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় মহোমহোপাধ্যায়! এই অর্বাচীন, দুর্বিনীত লোকটা কি ভদ্রভাবে কথা বলতেও শেখেনি?
পুরন্দর বিদ্যার্নবকে উদ্দেশ্য করে কদর্য ভাবে বললেন," কি মশাই? ন্যাকামি ছাড়ুন মেয়েটাকে পাঠান! বোঝাপড়া তার সাথেই হবে..." আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু কথা শেষ হওয়ার আগেই নজরে পড়ে - পর্নকুটীরের দ্বার উন্মোচন করে ধীরপদে এগিয়ে আসছে কন্যাটি!পরিধানে ধুতি,উর্ধাঙ্গে গেরুয়া আলখাল্লা ! তার উপর উত্তরীয়! শান্তকন্ঠে বলল," কি চান আপনারা?" (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours