ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

হটী পুনরায়  বলতে  থাকেন,"ঐ শব্দটিই  প্রমান  করে  ব্যবহারিক  প্রয়োজনেই  শব্দটির  সৃষ্টি  হয়েছিল! এবং  এটাই  প্রমানিত  হয়  স্ত্রীজাতিয়া  অধ্যাপকের  অস্তিত্ব  অতীতে  ছিল!এবার  আমার  প্রশ্ন - বৃহদারণ্যক উপনিষদের  যাজ্ঞবল্ক - গার্গী  উপাখ্যান!
          মিথিলাপতি  জনক  একবার  এক  মহাযজ্ঞের আয়োজন  করেন! দেশ  দেশান্তর  থেকে  দক্ষিনার  লোভে  সমবেত  হ'ন  বেদজ্ঞ  ব্রাক্ষ্মন! শাস্ত্রলোচনা  শোনার  জন্য  সমবেত  হয়েছেন  অনেক  নির্লোভ  ব্রক্ষ্মজ্ঞও!মহারাজ সভাস্হলে  নিয়ে  এলেন  এক  সহস্র গাভী সেই  গাভীগুলির  শিং-এ দশাদ  পরিমান  স্বর্নলঙ্কারে ভুষিত! সমবেত  পন্ডিতদের  সম্বোধন  করে, মহারাজ  জনক ঘোষনা  করলেন,  ' আপনাদের  মধ্যে  যিনি  সর্বশ্রেষ্ঠ  ব্রক্ষ্মবিদ   তিনি  অনুগ্রহ  করে  এগিয়ে  আসুন! এই  গাভীকূল  তাঁরই  প্রাপ্য!স্বভাব বিনয়ী ব্রাক্ষ্মনরা  অধোবদনে  নিস্তব্ধ  রইলেন!গোধনে  তাঁদের  প্রচন্ড  লোভ  কিন্তু তার  সাথে  মিশেছে  সঙ্কোচ  আর আতঙ্ক! শুধু  আর্যাবর্ত  নয়  হিমবর্ত থেকেও  একান্তচারী  সাধকবৃন্দও  এসেছেন! কোন  আক্কেলে  উঠে  দাঁড়াবেন? ওঁরা  যদি  সমবেতভাবে  তর্কযুদ্ধে  অবতীর্ন  হ'ন  তখন?
           সভাস্হ  ব্রাক্ষ্মনদের  অধোবদন  দেখে  উঠে  দাঁড়ালেন ঋষি  যাজ্ঞবল্ক্য!ঋষি  বিশ্বামিত্রের  বংশধর, চারায়নের  পুত্র! মহামুনি  তিনি! বাজসনেয়ী  প্রতিমা,শতপথব্রাক্ষ্মন  ও বৃহদারণ্যকোপনিষদ -রচনাকার  তিনি! তিনি  শিষ্যদের  ডেকে  বললেন "বাবা  সকল, এই  গাভীকূলকে  আমার  আশ্রমের  অভিমুখে  পরিচালিত  করো!
স্তম্ভিত  সভাস্হ  সকলে। (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours