শুভ্রা গুপ্ত, ফিচার রাইটার ও আইনজীবী, বারাসাত, কলকাতা:
আজকে স্কুলগুলোতে Good Touch Bad Touch কি তা পড়ানো হয়, টিভিতে বিজ্ঞাপনও চলে বেজায়। তবুও পরিবর্তন এখনো বোধকরি ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে একটি শিশুকে নিশ্চয়ই খারাপ কিছু হওয়ার তাড়নায় আগে থেকেই দাদা, কাকু, জেঠু, মামা ইত্যাদিকে কুত্তার... বাচ্চা, শুয়োরের... বাচ্চা বলতে শেখানো যায় না, কারন তার রুচি ও শিক্ষা বলে একটা বিষয় নিশ্চয়ই থাকে। সব কিছুকে একই তালিকায় ফেললে যে পৃথিবীটা নোংরা হয়ে যাবে।
তাই মেয়ে সন্তানকে সাবধান করা, শিষ্টাচার শেখানো বা লজ্জাবোধ জাগ্রত করার আগে এগুলো ছেলে সন্তানকে দয়া করে অভিভাবকরা শেখান। মেয়েরা জঙ্গলে থাকাকালীনই শিখে ছিল কিভাবে যৌনাঙ্গ ঢাকতে হয়, তারা কটি ও বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করতো তখনও। কিন্তু ছেলেরা সমাজ ও বাবা মায়ের তাড়নায় আজও উদোম থাকে অনায়াসেই। তাই তাদেরকে একটু ছোট থেকেই শেখান ঘরে হালকা জামা দিয়ে বুক ঢাকতে, ভিজে লুঙ্গি গামছা যে তার যৌনাঙ্গ প্রকট করে, সেটাও লজ্জার বিষয় এবং ভীষণ দৃষ্টিকটু এটা শেখান।
আরও শেখান কিভাবে একটা মেয়েকে যন্ত্রনার মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে হয়। যে ছেলে সন্তান কামোক্ত তাকে পারলে পর্দায় রাখুন, মেয়েকে নয়।
গতবছর বেশ কিছু শিশু ধর্ষণ হয় ভারতে ও বাংলাদেশে। তখন বেশ কিছু বাচ্চা মেয়েদেরকে ফেস্টুন হাতে প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে দেখা যায়। অনেকে তা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু কেন? ঘরের কেচ্ছা বাইরে আসবে তার ভয়ে? এভাবে আর কতদিন, কতবছর ধর্ষিতারা লজ্জায় তাদের মুখ ঢাকবে অন্যায় না করলেও! সময় হয়েছে সতর্কতার, প্রতিবাদের, পরিবর্তনের ও সচেতনতার। নাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আগামী প্রজন্ম আমাদের। যৌন হয়রানির শিকার যে কেবলমাত্র শিশু কন্যারা হন, তা নয়, শিকার হয় শিশু পুত্রেরাও। তারা ভয়ে বলতে পারে না অনেককিছু। ভয় দেখানো হয় তাদের।
না, আর ভয় নয়, বন্ধু হয়ে উঠুন ওদের, কূপমন্ডুকতা নয় বাড়িয়ে দিন ভরসার হাত, সুরক্ষার হাত। ছোট্ট কুঁড়িগুলো প্রস্ফুটিত হোক হেসে খেলে।
এইভাবে সমাজে পরিবর্তন আরও এগিয়ে আসুক। আপনাদেরকে বলছি, যারা সচেতনতার বিরোধী তাদের সকলকে বলছি, মেয়ের হাতে প্ল্যাকার্ড ও Uncle লেখা খুব জরুরী প্রতিবাদ। কারন, কেবলমাত্র বাইরে নয় ... ঘরেও এমন বজ্জাত, লম্পট কিছু আঙ্কেল থাকে। তারাও দেখুক, প্রতিবাদ শুরু হোক ঘর থেকে। আমি হলে তো আরও কয়টি বিশেষ্য জুরে দিতাম, সেটা হল Father, brother, cousin. এরা বদলায় না কিছুতেই। মানুষ সভ্যতা গড়েছে কিন্তু বন্য বর্বরতা এখনো মাথা থেকে তাড়াতে পারেনি।
আজকে স্কুলগুলোতে Good Touch Bad Touch কি তা পড়ানো হয়, টিভিতে বিজ্ঞাপনও চলে বেজায়। তবুও পরিবর্তন এখনো বোধকরি ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে একটি শিশুকে নিশ্চয়ই খারাপ কিছু হওয়ার তাড়নায় আগে থেকেই দাদা, কাকু, জেঠু, মামা ইত্যাদিকে কুত্তার... বাচ্চা, শুয়োরের... বাচ্চা বলতে শেখানো যায় না, কারন তার রুচি ও শিক্ষা বলে একটা বিষয় নিশ্চয়ই থাকে। সব কিছুকে একই তালিকায় ফেললে যে পৃথিবীটা নোংরা হয়ে যাবে।
তাই মেয়ে সন্তানকে সাবধান করা, শিষ্টাচার শেখানো বা লজ্জাবোধ জাগ্রত করার আগে এগুলো ছেলে সন্তানকে দয়া করে অভিভাবকরা শেখান। মেয়েরা জঙ্গলে থাকাকালীনই শিখে ছিল কিভাবে যৌনাঙ্গ ঢাকতে হয়, তারা কটি ও বক্ষবন্ধনী ব্যবহার করতো তখনও। কিন্তু ছেলেরা সমাজ ও বাবা মায়ের তাড়নায় আজও উদোম থাকে অনায়াসেই। তাই তাদেরকে একটু ছোট থেকেই শেখান ঘরে হালকা জামা দিয়ে বুক ঢাকতে, ভিজে লুঙ্গি গামছা যে তার যৌনাঙ্গ প্রকট করে, সেটাও লজ্জার বিষয় এবং ভীষণ দৃষ্টিকটু এটা শেখান।
আরও শেখান কিভাবে একটা মেয়েকে যন্ত্রনার মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে হয়। যে ছেলে সন্তান কামোক্ত তাকে পারলে পর্দায় রাখুন, মেয়েকে নয়।
গতবছর বেশ কিছু শিশু ধর্ষণ হয় ভারতে ও বাংলাদেশে। তখন বেশ কিছু বাচ্চা মেয়েদেরকে ফেস্টুন হাতে প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে দেখা যায়। অনেকে তা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু কেন? ঘরের কেচ্ছা বাইরে আসবে তার ভয়ে? এভাবে আর কতদিন, কতবছর ধর্ষিতারা লজ্জায় তাদের মুখ ঢাকবে অন্যায় না করলেও! সময় হয়েছে সতর্কতার, প্রতিবাদের, পরিবর্তনের ও সচেতনতার। নাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আগামী প্রজন্ম আমাদের। যৌন হয়রানির শিকার যে কেবলমাত্র শিশু কন্যারা হন, তা নয়, শিকার হয় শিশু পুত্রেরাও। তারা ভয়ে বলতে পারে না অনেককিছু। ভয় দেখানো হয় তাদের।
না, আর ভয় নয়, বন্ধু হয়ে উঠুন ওদের, কূপমন্ডুকতা নয় বাড়িয়ে দিন ভরসার হাত, সুরক্ষার হাত। ছোট্ট কুঁড়িগুলো প্রস্ফুটিত হোক হেসে খেলে।
এইভাবে সমাজে পরিবর্তন আরও এগিয়ে আসুক। আপনাদেরকে বলছি, যারা সচেতনতার বিরোধী তাদের সকলকে বলছি, মেয়ের হাতে প্ল্যাকার্ড ও Uncle লেখা খুব জরুরী প্রতিবাদ। কারন, কেবলমাত্র বাইরে নয় ... ঘরেও এমন বজ্জাত, লম্পট কিছু আঙ্কেল থাকে। তারাও দেখুক, প্রতিবাদ শুরু হোক ঘর থেকে। আমি হলে তো আরও কয়টি বিশেষ্য জুরে দিতাম, সেটা হল Father, brother, cousin. এরা বদলায় না কিছুতেই। মানুষ সভ্যতা গড়েছে কিন্তু বন্য বর্বরতা এখনো মাথা থেকে তাড়াতে পারেনি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours