ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
সচল বিশ্বনাথ! অবাক হয় হটী! দেহে এক অনির্বচনীয় অনুভূতি অনুভব করে! সচল,বিশ্বনাথ? তাঁর দেখা পাওয়া কি তার ভাগ্যে আছে? তিনি কখন কোথায় থাকেন কেউ বলতে পারেন না! এখনি তিনি হয়তো দশাশ্বমেধ ঘাটে, পরক্ষনেই সাঁতরে পৌঁছে গেছেন মনিকর্নিকা ঘাটে ! তিনি কাদাচিৎ হেঁটে যান ! শীত,গ্রীষ্ম বর্ষার বেশীর ভাগ সময় আকন্ঠ নিমজ্জিত হয়ে গঙ্গাতেই থাকেন! তিনি তো দিগম্বর!
লোকমুখে প্রচারিত, তিনি প্রকৃতপক্ষে দাক্ষিনাত্যের মানুষ! বাল্যবস্হায় সন্ন্যাস নেন! কাশীতে আসেন সম্ভবতঃ ১৭০৭ খ্রীষ্টাব্দে!
ঘাট থেকে অনেকটা পথ অতিক্রম করে তাঁরা পৌঁছালো নির্দ্দিষ্ট গন্তব্যে! চাক্ষুষ করলো জীবন্ত বিশ্বনাথকে! ধ্যানমগ্ন , দু চোখ নিমীলিত! সম্পুর্ন বিবস্ত্র! বিশালকার পুরুষ, মুন্ডিত মস্তক, শশ্রুহীন!
ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীকে ওরা তিনজন সাষ্ঠাঙ্গে প্রনাম করে, তাঁর ধ্যানভঙ্গের ডন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন! কিছুক্ষনের মধ্যেই বাবার ধ্যানভঙ্গ হ'ল! সবার আগে বিদ্যার্নবকে জিজ্ঞাসা বললেৃ," বেটা কেয়া মাংতা তু?" বেটা সম্বোধন করাটাই স্বাভাবিক! বৃদ্ধ বিদ্যার্নবের বয়সের দ্বিগুন বয়স সচল বিশ্বনাথ তৈলঙ্গস্বামীর! কথিত আছে তিনি আড়াই'শ বছর এই ধরাধামে ছিলেন!
তৈলঙ্গস্বামী হিন্দিতে জিজ্ঞাসা করলেও বিদ্যার্নব উত্তর দিলেন সংস্কৃতে ! যাতে রামলগন বুঝতে না পারে! তিনি বললেন, তাঁর কিছু চাই না! তাঁর কন্যাটির বড় বিপদ!
বাবা হটীর দিকে তাকিয়ে বললেন, ক্যা মাংতা তু বেটি? দীক্ষা লো গি? যা পহিলে নাহা লে গঙ্গামে!"
বিদ্যার্নবের দুচোখে অশ্রুধারা কপোল বেয়ে ঝরে পড়ছে! তাঁর মনোস্কমনা আজ পূর্ন হতে যাচ্ছে! হটী গঙ্গার দিকে এক পা এগোতেই বাবা চকিতে হিন্দিতে যা বললেন তার বঙ্গানুবাদ, স্নান করার আগে পোষাক খুলে নিরাভরন হয়ে স্নান করতে হবে!মুক্তিকামী মানুষের লজ্জা কিসের?
তৈলঙ্গস্বামী তাকে সামনে এক কঠিন পরীক্ষার সন্মুখীন করেছেন! এ পরীক্ষায় তাকে উত্তীর্ন হতেই হবে! হটী একে একে তার পোষাক খুলতে থাকেন! সম্পুর্ন নিরাভরন হওয়ার পূর্বেই অট্টহাস্যে ফেটে পড়লেন সচল বিশ্বনাথ! থমকে গেল হটী! বাবা সস্নেহে বললেল , "পাগলী কাঁহিকা! যা ঘর লৌট যা!"
হটী বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে জিজ্ঞাসা করলো," আমাকে দীক্ষা দেবেন না?"
তৈলঙ্গস্বামী বললেন," ক্যয়সে দু বেটি পহেলে তু বেটির ঘাট পার হলে তারপর তো বাপের ঘাট!"
" বেটির ঘাট ?" অবাক হয়ে হটী জিজ্ঞাসা করে!
বাবা বলেন " হাঁ রে বেটির ঘাট সরস্বতী মাইকি ঘাট! (চলবে)
সচল বিশ্বনাথ! অবাক হয় হটী! দেহে এক অনির্বচনীয় অনুভূতি অনুভব করে! সচল,বিশ্বনাথ? তাঁর দেখা পাওয়া কি তার ভাগ্যে আছে? তিনি কখন কোথায় থাকেন কেউ বলতে পারেন না! এখনি তিনি হয়তো দশাশ্বমেধ ঘাটে, পরক্ষনেই সাঁতরে পৌঁছে গেছেন মনিকর্নিকা ঘাটে ! তিনি কাদাচিৎ হেঁটে যান ! শীত,গ্রীষ্ম বর্ষার বেশীর ভাগ সময় আকন্ঠ নিমজ্জিত হয়ে গঙ্গাতেই থাকেন! তিনি তো দিগম্বর!
লোকমুখে প্রচারিত, তিনি প্রকৃতপক্ষে দাক্ষিনাত্যের মানুষ! বাল্যবস্হায় সন্ন্যাস নেন! কাশীতে আসেন সম্ভবতঃ ১৭০৭ খ্রীষ্টাব্দে!
ঘাট থেকে অনেকটা পথ অতিক্রম করে তাঁরা পৌঁছালো নির্দ্দিষ্ট গন্তব্যে! চাক্ষুষ করলো জীবন্ত বিশ্বনাথকে! ধ্যানমগ্ন , দু চোখ নিমীলিত! সম্পুর্ন বিবস্ত্র! বিশালকার পুরুষ, মুন্ডিত মস্তক, শশ্রুহীন!
ধ্যানমগ্ন সন্ন্যাসীকে ওরা তিনজন সাষ্ঠাঙ্গে প্রনাম করে, তাঁর ধ্যানভঙ্গের ডন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন! কিছুক্ষনের মধ্যেই বাবার ধ্যানভঙ্গ হ'ল! সবার আগে বিদ্যার্নবকে জিজ্ঞাসা বললেৃ," বেটা কেয়া মাংতা তু?" বেটা সম্বোধন করাটাই স্বাভাবিক! বৃদ্ধ বিদ্যার্নবের বয়সের দ্বিগুন বয়স সচল বিশ্বনাথ তৈলঙ্গস্বামীর! কথিত আছে তিনি আড়াই'শ বছর এই ধরাধামে ছিলেন!
তৈলঙ্গস্বামী হিন্দিতে জিজ্ঞাসা করলেও বিদ্যার্নব উত্তর দিলেন সংস্কৃতে ! যাতে রামলগন বুঝতে না পারে! তিনি বললেন, তাঁর কিছু চাই না! তাঁর কন্যাটির বড় বিপদ!
বাবা হটীর দিকে তাকিয়ে বললেন, ক্যা মাংতা তু বেটি? দীক্ষা লো গি? যা পহিলে নাহা লে গঙ্গামে!"
বিদ্যার্নবের দুচোখে অশ্রুধারা কপোল বেয়ে ঝরে পড়ছে! তাঁর মনোস্কমনা আজ পূর্ন হতে যাচ্ছে! হটী গঙ্গার দিকে এক পা এগোতেই বাবা চকিতে হিন্দিতে যা বললেন তার বঙ্গানুবাদ, স্নান করার আগে পোষাক খুলে নিরাভরন হয়ে স্নান করতে হবে!মুক্তিকামী মানুষের লজ্জা কিসের?
তৈলঙ্গস্বামী তাকে সামনে এক কঠিন পরীক্ষার সন্মুখীন করেছেন! এ পরীক্ষায় তাকে উত্তীর্ন হতেই হবে! হটী একে একে তার পোষাক খুলতে থাকেন! সম্পুর্ন নিরাভরন হওয়ার পূর্বেই অট্টহাস্যে ফেটে পড়লেন সচল বিশ্বনাথ! থমকে গেল হটী! বাবা সস্নেহে বললেল , "পাগলী কাঁহিকা! যা ঘর লৌট যা!"
হটী বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে জিজ্ঞাসা করলো," আমাকে দীক্ষা দেবেন না?"
তৈলঙ্গস্বামী বললেন," ক্যয়সে দু বেটি পহেলে তু বেটির ঘাট পার হলে তারপর তো বাপের ঘাট!"
" বেটির ঘাট ?" অবাক হয়ে হটী জিজ্ঞাসা করে!
বাবা বলেন " হাঁ রে বেটির ঘাট সরস্বতী মাইকি ঘাট! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours