ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
হটী বললেন,"শ্রীরাম চন্দ্র সীতা বনবাসে থাকায়' স্বর্নসীতা 'পাশে বসিয়ে যজ্ঞ করেছিলেন! তাতে কি প্রমান হয়?
পন্ডিতদের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হলো, " অস্বতন্ত্রা ধর্মে স্ত্রী "সন্তান উৎপাদন,স্বামীসেবা এবং গৃহকর্ম ব্যতিত সামান্য দু একটি বৃত্তি নারীর অধিকারভুক্ত বলে শতপথব্রাক্ষ্মনে উল্লেখ আছে!যেমন, পশম পাকানো,বোনা,সুতা-কাটা বা রেশমের গুটি বানানো! বৈদিক মন্ত্রোচারন দুরঅস্ত মন্ত্র শোনাও পাপ! সেই জন্য যজমানের বামপার্শ্বে বসেও পত্নীকে কানে কাপাস তুলো দিয়ে বন্ধ করার বিধান দেওয়া হয়েছে!বলা হয়েছেঃ " স্ত্রীশূদ্রদ্বিজবন্ধনাং ত্রয়ী ন শ্রুতি গোচরা!"
এটিকে নিশ্চয়ই অর্বাচীন শ্লোক বলা যাবে না!কারন এ শ্লোক যখন রচিত হয় তখন অথর্ব বেদের সৃষ্টি হয় নি!তাই ' ত্রয়ী ' বলা হয়েছে অর্থাৎ ঋক, সাম ও যজুর্বেদকেই বলা হয়েছে!
হটী পাল্টা যুক্তি দিলেন, " এটি কোন বৈদিক সূত্র নয়! সম্ভবতঃ ঐ শ্লোকটি খ্রীষ্টীয় চতুর্থ ও পঞ্চম শতকের মধ্যে লেখা হয়েছে!কারন সেই সময়েই সূত্রসাহিত্য সংকলিত হয়! যে কোন কারনেই হোক সুত্রকারগন অথর্ববেদকে পরিহার করেছেন! আলোচ্য শ্লোকের তিনটি দৃষ্টিকোন স্ত্রীলোক, শূদ্র ও ক্ষত্রিয় - বৈশ্য! খুব সম্ভবতঃ শ্লোকটি মহাকাব্য যুগের পুর্বে রচিত না হলে শম্বুক উপাখ্যানে বাল্মিকী রামচন্দ্রের চরিত্র কালিমালিপ্ত করতেন না!
সভায় অস্ফুট গুঞ্জন!
হটী তৎক্ষনাৎ সংযত হয়ে করজোড়ে বললেন," আমায় ক্ষমা করবেন! আমি কোনভাবেই ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের পূত চরিত্রে অথবা আদি কবির রচনার সমালোচনা করছি না! তাঁরা তৎকালীন সামাজিক নির্দেশে পরিচালিত হয়েছিলেন মাত্র! কিন্তু অপর দুইটি দৃষ্টিকেন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ আছে! (চলবে)
হটী বললেন,"শ্রীরাম চন্দ্র সীতা বনবাসে থাকায়' স্বর্নসীতা 'পাশে বসিয়ে যজ্ঞ করেছিলেন! তাতে কি প্রমান হয়?
পন্ডিতদের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হলো, " অস্বতন্ত্রা ধর্মে স্ত্রী "সন্তান উৎপাদন,স্বামীসেবা এবং গৃহকর্ম ব্যতিত সামান্য দু একটি বৃত্তি নারীর অধিকারভুক্ত বলে শতপথব্রাক্ষ্মনে উল্লেখ আছে!যেমন, পশম পাকানো,বোনা,সুতা-কাটা বা রেশমের গুটি বানানো! বৈদিক মন্ত্রোচারন দুরঅস্ত মন্ত্র শোনাও পাপ! সেই জন্য যজমানের বামপার্শ্বে বসেও পত্নীকে কানে কাপাস তুলো দিয়ে বন্ধ করার বিধান দেওয়া হয়েছে!বলা হয়েছেঃ " স্ত্রীশূদ্রদ্বিজবন্ধনাং ত্রয়ী ন শ্রুতি গোচরা!"
এটিকে নিশ্চয়ই অর্বাচীন শ্লোক বলা যাবে না!কারন এ শ্লোক যখন রচিত হয় তখন অথর্ব বেদের সৃষ্টি হয় নি!তাই ' ত্রয়ী ' বলা হয়েছে অর্থাৎ ঋক, সাম ও যজুর্বেদকেই বলা হয়েছে!
হটী পাল্টা যুক্তি দিলেন, " এটি কোন বৈদিক সূত্র নয়! সম্ভবতঃ ঐ শ্লোকটি খ্রীষ্টীয় চতুর্থ ও পঞ্চম শতকের মধ্যে লেখা হয়েছে!কারন সেই সময়েই সূত্রসাহিত্য সংকলিত হয়! যে কোন কারনেই হোক সুত্রকারগন অথর্ববেদকে পরিহার করেছেন! আলোচ্য শ্লোকের তিনটি দৃষ্টিকোন স্ত্রীলোক, শূদ্র ও ক্ষত্রিয় - বৈশ্য! খুব সম্ভবতঃ শ্লোকটি মহাকাব্য যুগের পুর্বে রচিত না হলে শম্বুক উপাখ্যানে বাল্মিকী রামচন্দ্রের চরিত্র কালিমালিপ্ত করতেন না!
সভায় অস্ফুট গুঞ্জন!
হটী তৎক্ষনাৎ সংযত হয়ে করজোড়ে বললেন," আমায় ক্ষমা করবেন! আমি কোনভাবেই ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের পূত চরিত্রে অথবা আদি কবির রচনার সমালোচনা করছি না! তাঁরা তৎকালীন সামাজিক নির্দেশে পরিচালিত হয়েছিলেন মাত্র! কিন্তু অপর দুইটি দৃষ্টিকেন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ আছে! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours