তানজিন তিপিয়া, লেখক ও রন্ধন বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ:

একজন নারী কি চান। ভাবুন তো? খুব সামান্য জিনিস একটু ভালোবাসা একটু মর্যাদা।
পুরুষের সমান অধিকার। মোটেও নয় অধিকার তো আছেই ওটা আবার ছিনিয়ে নেবার কি আছে? একটু বুদ্ধিমতীর পরিচয় দিলেই ঠাণ্ডা মাথায় কাউকে না ক্ষেপিয়ে সব অধিকার লুফিয়ে নেয়া যায় অনায়াসে।
সবকিছুরই একটি পরিসীমা থাকে,এটি কিন্তু আমাদের বন্দী করবার সীমা নয়, এমন এক বৈধ সীমা যা আমাদের সুরক্ষা দেয়। এই সুরক্ষা চক্রকে একদল লোক  বলে বেড়ান “এতো তোমায় চুপটি মেরে বেঁধে রাখার শেকল”। আমরাও একদা এক লোক কি বলল তা নিয়ে এমন আচ্ছন্ন হলাম, যে বর্তমানে যা আছে তাও হারালাম।
নারী মন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কিছু চায়। এতে হয় কি আমরা সব কিছুতেই খাপ খাইয়ে নিতে পারি কিন্তু মাঝে মধ্যে এই গুণ অতি অচ্চন্ন হয়ে বেশি পাওয়ার আশা আমাদেরি ঘ্রাস করে বসে।
কিছু পেতে হলে কিছু হারানো আবশ্যক। খুব পছন্দের দুটি রাস্তায় একই সময়ে হাঁটা কখনো সম্ভবপর নয়।
নারীরা অনেকগুলো কাজ একত্রে সাধন করতে সক্ষম। যেমন- ঘরের কাজ, বাহিরে চাকরী, সংসার সামলানো। এই সুন্দর কাজগুলো আমাদের দ্বারাই সম্ভব। তবুও যদি বলি আমরা তো বিশেষ না শুধুমাত্র দেহে বল কম বলে আজ বিপরীত লিঙ্গ আমাদের হাতিয়ে নিচ্ছে। না ওটা তাহলে আপনার মনের দোষ, অমঙ্গলকর দুশ্চিন্তা।
এক গোলক ধাঁধায় কেউ যেন আমাদের ব্যস্ত করে দিয়েছে। কোন এক অনাকাঙ্খিত শক্তি যা আমাদের মস্তিস্ককে নেতিবাচক চিন্তায় মগ্ন রাখতে যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করছে।
সমাজ আমাদের কি অধিকার দেবে? সব অধিকার আমাদের আছে। ধর্ম আমাদের সেই অধিকার দিয়েছে। ভিন্ন করে নতুন করে একই জিনিস ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে চাওয়ার মানে ডাল চাল একত্রে মিশিয়ে আবার একে একে আলাদা করার মতোই। আমরা আলাদা, আমরাই সম্পূর্ণা , আমরাই সংসারী রমণী, নিষ্ঠাবান কর্মজীবী। একটু অবসর পেলে মাথা খাটানোর অপেক্ষা মাত্র।
আমারদের সৃষ্টিকর্তা যিনি আমাদের সমান নয় বরঞ্চ অত্যাধিক মর্যাদা দিয়ে এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। তাই অধিকার নয় এবার বেশি না হলেও অন্তত সমান মর্যাদা চাওয়া হোক। পুরুষকে বেতন দেয়া হলে ওটা যেন আমায়ও ঠিক একই অংকের পারিশ্রমিক দেয়া হয়।
কিন্তু লড়ছি কিসের জন্য?
সমাজ মানবো না।
ধর্ম মানবো না।
সংসার করবো না।
পরিবারে থাকবো না।
যা খুশি তাই করবি, যা ইচ্ছে পান করবো। কারো কথা শুনতে পারবো না? কেউ কেন কিছু বলবে? আমার জীবন আমার যা ইচ্ছে তাই করবো।
এমনটি হলে কিন্তু আপনি খুব একটা বেশি দূর এগুতে পারবেন না। যে সুখের আশায় এমনটি পরিবেশ চাইছেন সেই পরিবেশে কিন্তু আপনি নিজেই একা হয়ে হতাশ হয়ে পরার ঝুঁকি রয়েছে খুব।
তাই কোন গালমন্দ নয়। কোন অভিযোগ নয়। মর্যাদাটুকু বুঝিয়ে বলার সময় এবার। কারণ যাদের গাল ভরে বকছি তাঁরা কিন্তু বাহিরাগত কেউ নয় আমাদেরই সমপূরক। অপরপক্ষকে দোষারোপ করে শুধুমাত্র মনের কষ্ট খানিকটে কমানো সম্ভব, কাজের কাজ কিছুই হবার নয়।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours