শ্বেতা ঘোষ, ফিচার রাইটার, নৈহাটি, উত্তর ২৪ পরগনা: 

ন্যানো প্রযুক্তি থেকে বৃহৎ কারিগরি, সর্ব আঙ্গিকে রয়ে গিয়েছে নিরন্তন অস্তিত্ব বজায় রাখার লড়াই। আর সেই লড়াইকে সার্থক ভাবে বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্যে চালিয়ে যেতে হবে ধারাবাহিক সাধনা ও গবেষণা। এমন কথাই বললেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ভাইস চান্সেলর সৈকত মৈত্র।
শুক্রবার ও শনিবার দুই দিন ব্যাপী একটি মনোজ্ঞ আলোচনা চক্র শুরু হয়েছে দুর্গাপুরের ডাঃ বি সি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দুলাল মিত্র অডিটোরিয়ামে। ২০২০ সালে কারিগরি ও প্রযুক্তির ধারাবাহিক গতিপ্রকৃতির প্রভাব শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট গুনী ব্যক্তিরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সুচনা করে সৈকতবাবু আরও মন্তব্য করেন, 'কারিগরি ও প্রযুক্তির উন্নতি সাধনে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে ছাত্র সমাজকে।' এছাড়াও আলোচনা চক্রে বক্তব্য রাখেন ডি সি পানিগ্রাহী ও বিনয় দত্তের মতো শিক্ষাবিদেরা। আয়োজক কলেজের দুই কর্মকর্তা তরুণ ভট্টাচার্য ও পীযূষ পাল রায় বলেন, 'সারা বিশ্বের প্রতিটি কোনায় আমাদের কলেজের পড়ুয়ারা আজ সাফল্যের সঙ্গে প্রযুক্তি ও কারিগরি ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছেন। যা আমাদের গর্ব। আমাদের কলেজের বর্তমান ছাত্র ছাত্রীদের কাছে একটাই আবেদন, তোমাদের সামনে রয়েছে আলোচ্য বিষয়ের উন্মুক্ত আকাশ। চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেই আকাশে তোমাদেরকে উড়তে হবে। আমরা সর্বতো ভাবে তোমাদের পাশে আছি।'
কলকাতার আই ই ই ই'র সহায়তায় আয়োজিত এই 'জাতীয় সেমিনার' পরিচালনার যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে ডাঃ বি সি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তরফে অমিতাভ চক্রবর্তী জানান, কারিগরি ও প্রযুক্তির নিত্য নতুন জেনারেশন খুব দ্রুত হারে বদলে যাচ্ছে সারা পৃথিবীতে। আর সেখানেই সৃষ্টি হয়েছে টিকে থাকার অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জ। সেই বাস্তবকে মান্যতা দিতে আমাদের পঠনরত পড়ুয়াদের কাছে আমরা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি নিরলস ভাবে। এই আলোচনা চক্র এমনই একটা প্রচেষ্টার অঙ্গ বলে অমিতাভবাবু মন্তব্য করেন।

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours