ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
কাশীর কোন ঘাটে বজরাটা ভেড়েনি! কাশী -কোতয়ালের প্রহরীরা দস্যু,সর্দারের বজরাটি বিশেষভাবে চেনে!তাই কাশী থেকে এক ক্রোশ দূরে গঙ্গার একটি খাঁড়িতে বজরাটাকে নোঙর করা হয়েছে!মধ্যরাতে ঈশেন তার মা-জননীকে নিয়ে দশাশ্বমেধ ঘাটের কাছে বেনীমাঘবের গুহার দিকে!
সে রাত ছিল অষ্টমী তিথি! মেঘ-শূন্য আকাশে শশী তখন মধ্যগগনে! একটি ছিপ- নৌকা নিঃশব্দে এগিয়ে চলেছে দশাশ্বমেধ ঘাটের দিকে! ঘাট জন মানব শুন্য! শুধু কিছু চাল-চুলোহীন ভবঘুরে ভিখারী পাথর বাঁধানো ঘাটে গভীর নিদ্রায় নিদ্রিত আর রয়েছে কিছু জটা জুটধারী সন্ন্যাসী!
ছিপ নৌকায় তিন জন আরোহী! দুজন পুরুষ একজন নারী!দস্যু সর্দার ঈশেন তার সাকরেদ যদুলালকে সাথে নিয়ে চলেছেন তার মা জননীকে দশাশ্বমেধ ঘাটে পৌঁছে দিতে! চৌষট্টি - যোগিনী ঘাটে সোঁয়াই গ্রামের জমিদার প্রতিমা ভাদুড়ীর বাড়িটা তার অজানা নয়! কিন্তু সেখানে সে তার মা জননীকে পৌঁছে দিতে পারবে না! কাশীধামের নগর কোতয়ালের প্রহরীদের কাছে ঈশেন অপরিচিত নয়! দস্যু সর্দার বলে সে পরিচিত!কাশী নরেশ ঈশেনের মাথার উপর মোটা ইনাম ঘোষনা করেছে!
হঠাৎ ঈশেনের নজরে পড়ল, দু তিনটি ছিপ নৌকা! ঈশেনের বুঝতে দেরী হয় না নৌকাগুলি ওদের নৌকার দিকেই এগিয়ে আসছে! ঈশেন নিশাচর বৃত্তি গ্রহন করার পর চিতা বাঘের মতো অন্ধকারেও দেখতে পায়! নিচু স্বরে হিন্দিতে যদুলালকে বলে,"হারামজাদাগুলো আমাদের দিকেই এগিয়ে আসছে কোতয়ালের প্রহরী নৌকা! আমাদের নৌকা খানা তল্লাসী করবে!"
"তব ক্যা করু সর্দার?" বলে যদুলাল!
সর্দার বলে," তোকে ওরা চিনবে না!তুই মা - কে দশাশ্বমেঘ ঘাটে নামিয়ে দিবি!রাত ভোর হলে মা নিজেই খুঁজে চৌষট্টি যোগিনী ঘাটে চলে যাবে !"
"ঔর তুম?" শুধায় যদুলাল!
" আমি গঙ্গা নেমে সাঁতরে বজরায় ফিরে যাবো!" বলে ঈশেন!
সর্দারের নির্দ্দেশ মোতাবেক যদুলাল হটীকে নামিয়ে দেয় দশাশ্বমেধ ঘাটে! কোতয়ালের প্রহরীরা নৌকা তল্লাস করেও কিছু পায় নি!বিদায় নেওয়ার আগে হটীকে প্রনাম করে ওঁকে একটা পুঁটলি দিয়েছিল! তাতে কি আছে যদুলাল জানত না!হটীও খুলে দেখে নি! সেই পুঁটলী বুকে জড়িয়ে ধরে রাত্রি প্রভাতের বসেছিল দশাশ্বমেধ ঘাটে! (চলবে)
কাশীর কোন ঘাটে বজরাটা ভেড়েনি! কাশী -কোতয়ালের প্রহরীরা দস্যু,সর্দারের বজরাটি বিশেষভাবে চেনে!তাই কাশী থেকে এক ক্রোশ দূরে গঙ্গার একটি খাঁড়িতে বজরাটাকে নোঙর করা হয়েছে!মধ্যরাতে ঈশেন তার মা-জননীকে নিয়ে দশাশ্বমেধ ঘাটের কাছে বেনীমাঘবের গুহার দিকে!
সে রাত ছিল অষ্টমী তিথি! মেঘ-শূন্য আকাশে শশী তখন মধ্যগগনে! একটি ছিপ- নৌকা নিঃশব্দে এগিয়ে চলেছে দশাশ্বমেধ ঘাটের দিকে! ঘাট জন মানব শুন্য! শুধু কিছু চাল-চুলোহীন ভবঘুরে ভিখারী পাথর বাঁধানো ঘাটে গভীর নিদ্রায় নিদ্রিত আর রয়েছে কিছু জটা জুটধারী সন্ন্যাসী!
ছিপ নৌকায় তিন জন আরোহী! দুজন পুরুষ একজন নারী!দস্যু সর্দার ঈশেন তার সাকরেদ যদুলালকে সাথে নিয়ে চলেছেন তার মা জননীকে দশাশ্বমেধ ঘাটে পৌঁছে দিতে! চৌষট্টি - যোগিনী ঘাটে সোঁয়াই গ্রামের জমিদার প্রতিমা ভাদুড়ীর বাড়িটা তার অজানা নয়! কিন্তু সেখানে সে তার মা জননীকে পৌঁছে দিতে পারবে না! কাশীধামের নগর কোতয়ালের প্রহরীদের কাছে ঈশেন অপরিচিত নয়! দস্যু সর্দার বলে সে পরিচিত!কাশী নরেশ ঈশেনের মাথার উপর মোটা ইনাম ঘোষনা করেছে!
হঠাৎ ঈশেনের নজরে পড়ল, দু তিনটি ছিপ নৌকা! ঈশেনের বুঝতে দেরী হয় না নৌকাগুলি ওদের নৌকার দিকেই এগিয়ে আসছে! ঈশেন নিশাচর বৃত্তি গ্রহন করার পর চিতা বাঘের মতো অন্ধকারেও দেখতে পায়! নিচু স্বরে হিন্দিতে যদুলালকে বলে,"হারামজাদাগুলো আমাদের দিকেই এগিয়ে আসছে কোতয়ালের প্রহরী নৌকা! আমাদের নৌকা খানা তল্লাসী করবে!"
"তব ক্যা করু সর্দার?" বলে যদুলাল!
সর্দার বলে," তোকে ওরা চিনবে না!তুই মা - কে দশাশ্বমেঘ ঘাটে নামিয়ে দিবি!রাত ভোর হলে মা নিজেই খুঁজে চৌষট্টি যোগিনী ঘাটে চলে যাবে !"
"ঔর তুম?" শুধায় যদুলাল!
" আমি গঙ্গা নেমে সাঁতরে বজরায় ফিরে যাবো!" বলে ঈশেন!
সর্দারের নির্দ্দেশ মোতাবেক যদুলাল হটীকে নামিয়ে দেয় দশাশ্বমেধ ঘাটে! কোতয়ালের প্রহরীরা নৌকা তল্লাস করেও কিছু পায় নি!বিদায় নেওয়ার আগে হটীকে প্রনাম করে ওঁকে একটা পুঁটলি দিয়েছিল! তাতে কি আছে যদুলাল জানত না!হটীও খুলে দেখে নি! সেই পুঁটলী বুকে জড়িয়ে ধরে রাত্রি প্রভাতের বসেছিল দশাশ্বমেধ ঘাটে! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours