দেবর্ষি মজুমদার, লেখক, বীরভূম:
দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন, ২৫ ফেব্রুয়ারীঃ কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক তরফে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ব্যাখ্যা তলব। মঙ্গলবার এব্যাপারে মন্ত্রক ব্যাখ্যা তলব করবে বলে জানা গেছে। মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারী গিরিশ হসুর প্রতিবেদককে বলেন, সম্পূর্ণ ভুল বলে হয়েছে। মন্ত্রকের কোন ফাণ্ডের অপ্রতুলতা নেই। মঙ্গলবার এব্যাপারে উপাচার্য্যের কাছে ব্যাখ্যা চাইব কেন তিনি এমন ভুল বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন?
এরপর বিশ্বভারতীর জন সংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারকে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেন নি। তাই তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। তবে আগের দিন ভাগ্যক্রমে তিনি ফোন ধরেন এবং বলেন, বিশ্বভারতীর সংশ্লিষ্ট ফাণ্ডে পর্যাপ্ত টাকা আসে নি। তাই ফাণ্ডে অপ্রতুলতার জন্য ফেব্রুয়ারী মাসে মাইনা বিলম্বিত হবে। উপাচার্য এব্যাপারে এম এইচ আর ডি মন্ত্রকে তদবির করতে গেছেন। উপাচার্য ২৭ তারিখ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই এবং তাঁর দায়িত্বে আছেন শিক্ষাভবনের অধ্যক্ষ কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর এই তদবিরের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ। এক প্রাক্তন আধিকারিক বলেন, আগেও বহুবার ওভার ড্রাফট নেওয়া হয়েছে। এটা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে থাকে। এটা সংবাদ মাধ্যমের জানার বিষয় হিসেবে এর আগে কোনদিন আসে নি। বা শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের আতঙ্কিত করার জন্য ইস্যু করা হয় নি। ২৪ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি এখন মন্ত্রক ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিভাজন তৈরী করেছে। কারণ দুই তরফে দুই রকম শোনা যাচ্ছে। তবে মন্ত্রকের কথায় সঠিক হবে।
এব্যাপারে বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপক সংগঠন তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে সই সংগ্রহ চলছে বলে তাঁরা দাবি করেন। এই বেতন বিল্ম্বের ব্যাপারে ওই সংগঠনের তরফে বলা হয়, উপাচার্য মন্ত্রকের নামে অপবাদ দিয়ে বেতন বিলম্বের মিথ্যে নোটিশ করেছেন, যাতে অধ্যাপক ও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করিয়ে তাদের কর্তৃপক্ষের বশংবদ ক্রীতদাস করে রাখা যায়। এখন তিনি ধরা পড়ে গেছেন। মানবসম্পদ মন্ত্রক তাকে মিথ্যাচারের অপরাধে কারণ দর্শাবার নোটিশ জারী করেছেন। এই ঠক প্রবঞ্চক মিথ্যাচারী সর্বোপরি ছাত্র অধ্যাপক কর্মীদের অনাস্থাভাজন উপাচার্য কতদিন সিসিটিভি ও সিকিউরিটি মোড়া 'নো ডিসটার্ব জোনের' কাঁচের ঘরে সবার উপর গ্যাগ চাপিয়ে রাজত্ব করতে পারেন, সেটাই এখন দেখার।
মন্ত্রকের এই অবস্থান প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর জয়েন্ট রেজিস্ট্রার (অ্যাকাউন্টস) সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘মন্ত্রক ব্যাখ্যা চাইলে আমরা দেব। আমাদের লুকোনোর কিছু নেই। বারো মাসের বেতন বাবদ আমরা ২৩০ কোটি টাকার বাজেট পাঠিয়েছিলাম। মন্ত্রক দিয়েছে ১৬০ কোটি টাকা। সেই টাকায় জানুয়ারি পর্যন্ত দশ মাসের বেতন দেওয়া গেছে। বাকি দু-মাসের বেতন প্রদানে সমস্যা হচ্ছে।’’
দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন, ২৫ ফেব্রুয়ারীঃ কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক তরফে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ব্যাখ্যা তলব। মঙ্গলবার এব্যাপারে মন্ত্রক ব্যাখ্যা তলব করবে বলে জানা গেছে। মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারী গিরিশ হসুর প্রতিবেদককে বলেন, সম্পূর্ণ ভুল বলে হয়েছে। মন্ত্রকের কোন ফাণ্ডের অপ্রতুলতা নেই। মঙ্গলবার এব্যাপারে উপাচার্য্যের কাছে ব্যাখ্যা চাইব কেন তিনি এমন ভুল বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন?
এরপর বিশ্বভারতীর জন সংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারকে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেন নি। তাই তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। তবে আগের দিন ভাগ্যক্রমে তিনি ফোন ধরেন এবং বলেন, বিশ্বভারতীর সংশ্লিষ্ট ফাণ্ডে পর্যাপ্ত টাকা আসে নি। তাই ফাণ্ডে অপ্রতুলতার জন্য ফেব্রুয়ারী মাসে মাইনা বিলম্বিত হবে। উপাচার্য এব্যাপারে এম এইচ আর ডি মন্ত্রকে তদবির করতে গেছেন। উপাচার্য ২৭ তারিখ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই এবং তাঁর দায়িত্বে আছেন শিক্ষাভবনের অধ্যক্ষ কাশীনাথ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর এই তদবিরের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ। এক প্রাক্তন আধিকারিক বলেন, আগেও বহুবার ওভার ড্রাফট নেওয়া হয়েছে। এটা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে থাকে। এটা সংবাদ মাধ্যমের জানার বিষয় হিসেবে এর আগে কোনদিন আসে নি। বা শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের আতঙ্কিত করার জন্য ইস্যু করা হয় নি। ২৪ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি এখন মন্ত্রক ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিভাজন তৈরী করেছে। কারণ দুই তরফে দুই রকম শোনা যাচ্ছে। তবে মন্ত্রকের কথায় সঠিক হবে।
এব্যাপারে বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপক সংগঠন তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। কারণ তাঁদের বিরুদ্ধে সই সংগ্রহ চলছে বলে তাঁরা দাবি করেন। এই বেতন বিল্ম্বের ব্যাপারে ওই সংগঠনের তরফে বলা হয়, উপাচার্য মন্ত্রকের নামে অপবাদ দিয়ে বেতন বিলম্বের মিথ্যে নোটিশ করেছেন, যাতে অধ্যাপক ও কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করিয়ে তাদের কর্তৃপক্ষের বশংবদ ক্রীতদাস করে রাখা যায়। এখন তিনি ধরা পড়ে গেছেন। মানবসম্পদ মন্ত্রক তাকে মিথ্যাচারের অপরাধে কারণ দর্শাবার নোটিশ জারী করেছেন। এই ঠক প্রবঞ্চক মিথ্যাচারী সর্বোপরি ছাত্র অধ্যাপক কর্মীদের অনাস্থাভাজন উপাচার্য কতদিন সিসিটিভি ও সিকিউরিটি মোড়া 'নো ডিসটার্ব জোনের' কাঁচের ঘরে সবার উপর গ্যাগ চাপিয়ে রাজত্ব করতে পারেন, সেটাই এখন দেখার।
মন্ত্রকের এই অবস্থান প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর জয়েন্ট রেজিস্ট্রার (অ্যাকাউন্টস) সঞ্জয় ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘মন্ত্রক ব্যাখ্যা চাইলে আমরা দেব। আমাদের লুকোনোর কিছু নেই। বারো মাসের বেতন বাবদ আমরা ২৩০ কোটি টাকার বাজেট পাঠিয়েছিলাম। মন্ত্রক দিয়েছে ১৬০ কোটি টাকা। সেই টাকায় জানুয়ারি পর্যন্ত দশ মাসের বেতন দেওয়া গেছে। বাকি দু-মাসের বেতন প্রদানে সমস্যা হচ্ছে।’’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours