শাম্মী তুলতুল, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক ও শিশুসাহিত্যিক, বাংলাদেশ:
পৃথিবী এই অবধি দুটো বিশ্বযুদ্ধ দেখেছে।চারপাশ রক্ত, লাশ, জলাপোড়া বাড়ি। আরো কতো বীভৎসরূপ। এই ছিলো বস্তুগতক্ষমতা,লোভ, প্রভাব বিস্তরনের যুদ্ধ। তবে একটি যুদ্ধ চলছে নিরবে -নিভৃতে তা হলো নারী -পুরুষের দণ্ড। বিষয়টি হলো কে কার তুলনায় শ্রেষ্ঠ। তুলনামূলক এই কর্মকাণ্ডটির উদ্ভাবক হলেন একদল নারী। কিছু নারী দেখাতে চান, তারা শ্রেষ্ঠ।
তারই দেখাদেখি পুরুষরাও কম পিছিয়ে নন। প্রত্যেক ক্রিয়ারই বিপরীত বিক্রিয়া রয়েছে ঠিক ওটাই।
এই যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ “সমাজ”। কারণ নারী পুরুষ মিলেই নতুন সমাজ গড়ে তুলতে পারে।পারে সভ্য করতে।
একজন স্বামী স্ত্রী একত্রে হরেক ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে সংসার, সংসারের মাধ্যমে তৈরি হয় একটি সুষ্ঠ পরিবার, বেড়ে ওঠে কিছু বিবেকপূর্ণ মানুষ। অর্থাৎ সন্তান। এই সন্তানরাই হন নতুন প্রজন্মের ধারক ও বাহক।
ধরে নিন এই সন্তানগুলো শৈশব থেকে উপলব্ধি করলো, মা-বাবা’র সম্পর্কটা খুব মলিন। মা বাবার এই মলিন সংসার সন্তানের আজীবনের মলিন জীবনের অধ্যায় হয়ে অবিরাম দিক নির্দেশনা দিতে থাকে।
আর যদি এই সন্তান উপলব্ধি করেন একটি সুস্থ পারিবারিক পরিবেশ,অবকাঠামো, মা-বাবা একে অপরের শ্রদ্ধা ও সহযোগিতায় গড়া, মিষ্ট রাগ- বিরাগের পবিত্র স্বর্গীয় মেলবন্ধন। তাহলে এই সন্তানটিই তৈরি করবে আরো একটি সুস্থ পরিবার।
আমরা ভাবতে বন্ধ করে দিয়েছি, চিন্তা করার সময় কোথায়?
-কামার মাটির মণ্ড’কে যেভাবে আকার দেয় ঠিক তাই ধারণ করে।
-মণিকার অরাম নামক পদার্থ’কে গলিয়ে তৈরি করেন স্বর্ণ অলংকার।
-কাঠুরে গাছ কেটে তৈরি করেন মূল্যবান আসবাব পত্র।
এই ছিল কিছু প্রাণহীন বস্তুকে প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিণত করার অক্লান্ত পরিশ্রম।
ভাবুন এবার প্রাণহীন বস্তুতে এতো কঠোর শ্রম, আপনি তো মানুষ গড়বেন তাহলে আপনার ভাবুক মনা হলে কি চলে?
নারী পুরুষ উভয়ে যখন স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটিকে শক্ত করেন,তখন আকার দেন কিছু মানুষকে।
যতই সুন্দর হবে বুনন,ততই সমৃদ্ধ হবে ডজন।
আপনি ভালো স্বামী হলেই আপনার ছেলে হবেন একজন ভালো পুত্র ও আগামীর স্বামী আর আপনি একজন ভালো স্ত্রী হলেই আপনার কন্যা হবেন একজন ভালো কন্যা ও ভবিষ্যৎ স্ত্রী।
স্বামী স্ত্রী একে অপরের বস্ত্র, যা নিজেই আমাদের রব উনার গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন প্রায় ১৪১০ বছর আগেই।
পরমাত্মা প্রত্যেকেই একই রকম করেছেন, পার্থক্য তো শুধু আমাদের মস্তিস্কের ভেতর। বুদ্ধা’র একটি বিখ্যাত উক্তি যা চিরন্তর সত্য।
যাই বলুন না কেন নারী পুরুষ একে অপরের সমপূরক। তাই কোন তুলনা সম্ভবই নয়। যিনি আমাদের সৃষ্টি করে প্রেরণ করেছেন, তিনিই পার্থক্য করেননি তাহলে আমরা কে? একে অপরের পার্থক্য গোনার?
প্রত্যেকের শারীরিক অবকাঠামো আলাদা। রয়েছে ভিন্ন মানসিকতা এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয়তা। অভিনব সৃজনশীলতা। একজন পুরুষ দ্বারা সন্তান প্রসব অসম্ভব ঠিক একইভাবে পুরুষের উপস্থিতি বিহীন নারীর গর্ভধারণ অসম্ভব।
সংবদ্ধ হন, না হলে এভাবেই নিউক্লিয়ার বিষাক্ত পদার্থের ন্যায় পুরো সমাজ ধীরে ধীরে ছাই হবে বুঝে ওঠার আগেই। সমাজ পাবে একটি কুলাঙ্কার প্রজন্ম যারা হবেন গড়তে নয়, নষ্টে ব্রত।
আমরা নারী নির্যাতন খবর খুব শুনি। কিন্তু পুরুষ নির্যাতন কথাটা মাথায় আসেও না। সংখ্যা গরিষ্ঠ ব্যতিক্রমধর্মী পুরুষ, নিজেই তা ফাঁস হতে দেন না কারণ পুরুষ কখনো চোখ ঝরায় না। এমনি একটি ধারণা পুরুষের মাঝে পুতে দেয়া হয় আরম্ভ হতেই। আমরা নারীরা প্রকাশ করলেই প্রচারণা না করলে তাও নয়। আর সত্য বলতে একজন নারীকে সমাজ খারাপ নজরে দেখলেও ঠিক সমান পরিমাণ লোকজন নারীকেই দয়া মায়ার নজরে তাকায়, পুরুষকে তাকায় ঠিক বিপরীত হিংস্রভাবে। হয়তো এটিও একটি বড় কারণ পুরুষের অদৃশ্য থাকার।
আমরা ধারণা করি সব কষ্ট স্বীকার আমরা নারীরাই করি কিন্তু এটাই সবচেয়ে বড় মিথ্যা। পুরুষের অবদানও না মানার নয়। সমাজে এমন স্বামী, ভাই ও বাবা আছেন যারা আয় করেন নিজ আরাম ত্যাগ করেই আর ব্যয় করেন পরিবারের জন্যেই। এই পরিবারের সদস্যের মধ্যে নারীরাও বিদ্যমান।
কিছু পেতে হলে হারাতে তো হবেই কিন্তু আধুনিক বর্তমান হ্রাসতর পথ, ব্যবস্থাপনা আমাদের শেখায় উল্টো, মাত্র নিজের সুখ যা অন্তর আত্ম সুখের ঠিক বিপরীত। আত্মার সুখ তখনই সম্ভবপর যখন পরার্থে আপনি মূল্যবান কিছু ব্যয় করবেন। হতে পারে আপনার অর্থ সম্পদ, হতে পারে আপনার অগ্রগতিরপথ হয়তো আরো বিরাট কিছু। আমরা মানুষ এমনভাবে পৃথিবীকে গুরুত্ব দিয়ে বসেছি যেন এখানে আজীবন অবিনশ্বর হবে রবো। কিন্তু প্রকৃতির নির্মম নিয়ম আপনাকে পৃথিবী ত্যাগ যে করতেই হবে।
যাইদেখুন না কেন?
যাই বলুন না কেন?
যাই হোকনা কেন?
থাকবো তো এই ভূখণ্ডেই। যেই প্রান্তে যাওয়া যাক না কেন নারী পুরুষ সামনাসামনি হবেই নিয়ম এটি চিরন্তর। দুজন দুজনায় বিরক্ত হয়ে যেহেতু পৃথিবী ত্যাগ করে অন্য গ্রহে অবতরণ করা সম্ভব কখনোই নয়, সেহেতু একেঅপরকে সম্মান করে নিজেও সম্মানিত হয়ে স্বসম্মানে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত টিকে থাকাটাই বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।
যতই চেষ্টা হোকনা হিংসা, ক্ষোভ আর বিবাদ,দিনশেষ ঐ একই নৌকায় ভ্রমণ অবস্থায় নারীপুরুষ একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশছিলেন পৃথিবীর আরম্ভ থেকেই।এখনো আছেন আর শেষ পর্যন্তই থাকবেন,জীবন তেজপাতা হলেও।
পৃথিবী এই অবধি দুটো বিশ্বযুদ্ধ দেখেছে।চারপাশ রক্ত, লাশ, জলাপোড়া বাড়ি। আরো কতো বীভৎসরূপ। এই ছিলো বস্তুগতক্ষমতা,লোভ, প্রভাব বিস্তরনের যুদ্ধ। তবে একটি যুদ্ধ চলছে নিরবে -নিভৃতে তা হলো নারী -পুরুষের দণ্ড। বিষয়টি হলো কে কার তুলনায় শ্রেষ্ঠ। তুলনামূলক এই কর্মকাণ্ডটির উদ্ভাবক হলেন একদল নারী। কিছু নারী দেখাতে চান, তারা শ্রেষ্ঠ।
তারই দেখাদেখি পুরুষরাও কম পিছিয়ে নন। প্রত্যেক ক্রিয়ারই বিপরীত বিক্রিয়া রয়েছে ঠিক ওটাই।
এই যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ “সমাজ”। কারণ নারী পুরুষ মিলেই নতুন সমাজ গড়ে তুলতে পারে।পারে সভ্য করতে।
একজন স্বামী স্ত্রী একত্রে হরেক ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমেই গড়ে ওঠে সংসার, সংসারের মাধ্যমে তৈরি হয় একটি সুষ্ঠ পরিবার, বেড়ে ওঠে কিছু বিবেকপূর্ণ মানুষ। অর্থাৎ সন্তান। এই সন্তানরাই হন নতুন প্রজন্মের ধারক ও বাহক।
ধরে নিন এই সন্তানগুলো শৈশব থেকে উপলব্ধি করলো, মা-বাবা’র সম্পর্কটা খুব মলিন। মা বাবার এই মলিন সংসার সন্তানের আজীবনের মলিন জীবনের অধ্যায় হয়ে অবিরাম দিক নির্দেশনা দিতে থাকে।
আর যদি এই সন্তান উপলব্ধি করেন একটি সুস্থ পারিবারিক পরিবেশ,অবকাঠামো, মা-বাবা একে অপরের শ্রদ্ধা ও সহযোগিতায় গড়া, মিষ্ট রাগ- বিরাগের পবিত্র স্বর্গীয় মেলবন্ধন। তাহলে এই সন্তানটিই তৈরি করবে আরো একটি সুস্থ পরিবার।
আমরা ভাবতে বন্ধ করে দিয়েছি, চিন্তা করার সময় কোথায়?
-কামার মাটির মণ্ড’কে যেভাবে আকার দেয় ঠিক তাই ধারণ করে।
-মণিকার অরাম নামক পদার্থ’কে গলিয়ে তৈরি করেন স্বর্ণ অলংকার।
-কাঠুরে গাছ কেটে তৈরি করেন মূল্যবান আসবাব পত্র।
এই ছিল কিছু প্রাণহীন বস্তুকে প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিণত করার অক্লান্ত পরিশ্রম।
ভাবুন এবার প্রাণহীন বস্তুতে এতো কঠোর শ্রম, আপনি তো মানুষ গড়বেন তাহলে আপনার ভাবুক মনা হলে কি চলে?
নারী পুরুষ উভয়ে যখন স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটিকে শক্ত করেন,তখন আকার দেন কিছু মানুষকে।
যতই সুন্দর হবে বুনন,ততই সমৃদ্ধ হবে ডজন।
আপনি ভালো স্বামী হলেই আপনার ছেলে হবেন একজন ভালো পুত্র ও আগামীর স্বামী আর আপনি একজন ভালো স্ত্রী হলেই আপনার কন্যা হবেন একজন ভালো কন্যা ও ভবিষ্যৎ স্ত্রী।
স্বামী স্ত্রী একে অপরের বস্ত্র, যা নিজেই আমাদের রব উনার গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন প্রায় ১৪১০ বছর আগেই।
পরমাত্মা প্রত্যেকেই একই রকম করেছেন, পার্থক্য তো শুধু আমাদের মস্তিস্কের ভেতর। বুদ্ধা’র একটি বিখ্যাত উক্তি যা চিরন্তর সত্য।
যাই বলুন না কেন নারী পুরুষ একে অপরের সমপূরক। তাই কোন তুলনা সম্ভবই নয়। যিনি আমাদের সৃষ্টি করে প্রেরণ করেছেন, তিনিই পার্থক্য করেননি তাহলে আমরা কে? একে অপরের পার্থক্য গোনার?
প্রত্যেকের শারীরিক অবকাঠামো আলাদা। রয়েছে ভিন্ন মানসিকতা এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয়তা। অভিনব সৃজনশীলতা। একজন পুরুষ দ্বারা সন্তান প্রসব অসম্ভব ঠিক একইভাবে পুরুষের উপস্থিতি বিহীন নারীর গর্ভধারণ অসম্ভব।
সংবদ্ধ হন, না হলে এভাবেই নিউক্লিয়ার বিষাক্ত পদার্থের ন্যায় পুরো সমাজ ধীরে ধীরে ছাই হবে বুঝে ওঠার আগেই। সমাজ পাবে একটি কুলাঙ্কার প্রজন্ম যারা হবেন গড়তে নয়, নষ্টে ব্রত।
আমরা নারী নির্যাতন খবর খুব শুনি। কিন্তু পুরুষ নির্যাতন কথাটা মাথায় আসেও না। সংখ্যা গরিষ্ঠ ব্যতিক্রমধর্মী পুরুষ, নিজেই তা ফাঁস হতে দেন না কারণ পুরুষ কখনো চোখ ঝরায় না। এমনি একটি ধারণা পুরুষের মাঝে পুতে দেয়া হয় আরম্ভ হতেই। আমরা নারীরা প্রকাশ করলেই প্রচারণা না করলে তাও নয়। আর সত্য বলতে একজন নারীকে সমাজ খারাপ নজরে দেখলেও ঠিক সমান পরিমাণ লোকজন নারীকেই দয়া মায়ার নজরে তাকায়, পুরুষকে তাকায় ঠিক বিপরীত হিংস্রভাবে। হয়তো এটিও একটি বড় কারণ পুরুষের অদৃশ্য থাকার।
আমরা ধারণা করি সব কষ্ট স্বীকার আমরা নারীরাই করি কিন্তু এটাই সবচেয়ে বড় মিথ্যা। পুরুষের অবদানও না মানার নয়। সমাজে এমন স্বামী, ভাই ও বাবা আছেন যারা আয় করেন নিজ আরাম ত্যাগ করেই আর ব্যয় করেন পরিবারের জন্যেই। এই পরিবারের সদস্যের মধ্যে নারীরাও বিদ্যমান।
কিছু পেতে হলে হারাতে তো হবেই কিন্তু আধুনিক বর্তমান হ্রাসতর পথ, ব্যবস্থাপনা আমাদের শেখায় উল্টো, মাত্র নিজের সুখ যা অন্তর আত্ম সুখের ঠিক বিপরীত। আত্মার সুখ তখনই সম্ভবপর যখন পরার্থে আপনি মূল্যবান কিছু ব্যয় করবেন। হতে পারে আপনার অর্থ সম্পদ, হতে পারে আপনার অগ্রগতিরপথ হয়তো আরো বিরাট কিছু। আমরা মানুষ এমনভাবে পৃথিবীকে গুরুত্ব দিয়ে বসেছি যেন এখানে আজীবন অবিনশ্বর হবে রবো। কিন্তু প্রকৃতির নির্মম নিয়ম আপনাকে পৃথিবী ত্যাগ যে করতেই হবে।
যাইদেখুন না কেন?
যাই বলুন না কেন?
যাই হোকনা কেন?
থাকবো তো এই ভূখণ্ডেই। যেই প্রান্তে যাওয়া যাক না কেন নারী পুরুষ সামনাসামনি হবেই নিয়ম এটি চিরন্তর। দুজন দুজনায় বিরক্ত হয়ে যেহেতু পৃথিবী ত্যাগ করে অন্য গ্রহে অবতরণ করা সম্ভব কখনোই নয়, সেহেতু একেঅপরকে সম্মান করে নিজেও সম্মানিত হয়ে স্বসম্মানে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত টিকে থাকাটাই বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।
যতই চেষ্টা হোকনা হিংসা, ক্ষোভ আর বিবাদ,দিনশেষ ঐ একই নৌকায় ভ্রমণ অবস্থায় নারীপুরুষ একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশছিলেন পৃথিবীর আরম্ভ থেকেই।এখনো আছেন আর শেষ পর্যন্তই থাকবেন,জীবন তেজপাতা হলেও।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours