ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
দুপুরে হটীর জন্য খাবারের থালি নিয়ে আসে সেই প্রহরী!এই কয়েকদিন সেই,খাবার দিয়ে গেছে! আজ হটী খাবার প্রত্যাখান করে জানালো, রুকমিনীদিদি বা রতনলাল না এলে সে অন্নস্পর্শ করবে না! প্রয়োজনে সে না খেয়ে প্রানত্যাগ করবে! আজ প্রহরী কোন কটু কথা বলল না! নিঃশব্দে থালা নিয়ে চলে গেল! হটীর বুঝতে অসুবিধা হ'ল না ওই প্রহরীও এক,দুঃসহ যন্ত্রনার ভার বয়ে বেড়াচ্ছে!
কিছুক্ষন পরেই রুকমিনী খাবার থালা নিয়ে হাজির! সে হটীকে বলল," এ সব তুই কি শুরু করেছিস বহিন?"
হটী বলল," দিদি তোমরা আমার কাছে কোন দুঃসংবাদ লুকানোর চেষ্টা করছো!তুমি কেন আমার কাছে আসছো না! রতনলালকেও আসতে দিচ্ছ না!"
এবার ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল রুকমিনী! কান্নাভেজা অবরুদ্ধ কন্ঠেই জানালো দুঃসংবাদটা! আজ এক সপ্তাহ রতনলাল দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত!পাটনা থেকে একজন নামকরা কবিবাজ প্রতিদিন এসে রতনলালের চিকিৎসা করছেন! তিনি জানেন, সর্দার ফেরারী আসামী তাই দ্বিগুন বৈদ্যবিদায় দিতে হচ্ছে! কাল তিনি দিদান হেঁকেছেন ' এ ব্যামো সারানো শিবের অসাধ্য!'
সর্দার পায়রা মারফৎ কাশীর তান্ত্রিক গুরু মহারাজকে তার ছেলের অবস্হার কথা জানায়! আজই গুরুদেবের ভয়ঙ্কর বার্তা নিয়ে পায়রাটি ফিরেছে! তান্ত্রিক গুরুজী গননা করে জানিয়েছেন রতনের আয়ু আর মাত্র একরাত্রি!রতনকে কোন পিশাচসিদ্ধ দুরাত্মা যমালয়ে পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছে! সম্ভবতঃ সেই পিষাচসিদ্ধ পূর্বে সর্দারের দ্বারা নিগৃহীত হওয়ার প্রতিশোধ নিচ্ছে! এ ব্যাধি তাই দুরারোগ্য- সুস্হ করা শিবের অসাধ্য! পাটনার মহাশ্মশানেই দাহকার্য বিধেয়! (চলবে)
দুপুরে হটীর জন্য খাবারের থালি নিয়ে আসে সেই প্রহরী!এই কয়েকদিন সেই,খাবার দিয়ে গেছে! আজ হটী খাবার প্রত্যাখান করে জানালো, রুকমিনীদিদি বা রতনলাল না এলে সে অন্নস্পর্শ করবে না! প্রয়োজনে সে না খেয়ে প্রানত্যাগ করবে! আজ প্রহরী কোন কটু কথা বলল না! নিঃশব্দে থালা নিয়ে চলে গেল! হটীর বুঝতে অসুবিধা হ'ল না ওই প্রহরীও এক,দুঃসহ যন্ত্রনার ভার বয়ে বেড়াচ্ছে!
কিছুক্ষন পরেই রুকমিনী খাবার থালা নিয়ে হাজির! সে হটীকে বলল," এ সব তুই কি শুরু করেছিস বহিন?"
হটী বলল," দিদি তোমরা আমার কাছে কোন দুঃসংবাদ লুকানোর চেষ্টা করছো!তুমি কেন আমার কাছে আসছো না! রতনলালকেও আসতে দিচ্ছ না!"
এবার ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল রুকমিনী! কান্নাভেজা অবরুদ্ধ কন্ঠেই জানালো দুঃসংবাদটা! আজ এক সপ্তাহ রতনলাল দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত!পাটনা থেকে একজন নামকরা কবিবাজ প্রতিদিন এসে রতনলালের চিকিৎসা করছেন! তিনি জানেন, সর্দার ফেরারী আসামী তাই দ্বিগুন বৈদ্যবিদায় দিতে হচ্ছে! কাল তিনি দিদান হেঁকেছেন ' এ ব্যামো সারানো শিবের অসাধ্য!'
সর্দার পায়রা মারফৎ কাশীর তান্ত্রিক গুরু মহারাজকে তার ছেলের অবস্হার কথা জানায়! আজই গুরুদেবের ভয়ঙ্কর বার্তা নিয়ে পায়রাটি ফিরেছে! তান্ত্রিক গুরুজী গননা করে জানিয়েছেন রতনের আয়ু আর মাত্র একরাত্রি!রতনকে কোন পিশাচসিদ্ধ দুরাত্মা যমালয়ে পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছে! সম্ভবতঃ সেই পিষাচসিদ্ধ পূর্বে সর্দারের দ্বারা নিগৃহীত হওয়ার প্রতিশোধ নিচ্ছে! এ ব্যাধি তাই দুরারোগ্য- সুস্হ করা শিবের অসাধ্য! পাটনার মহাশ্মশানেই দাহকার্য বিধেয়! (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours