ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

এই  মেয়েটিকে  নিয়ে  চরম  বিড়ম্বনায়  পড়েছেন  কাশীর  টুলো  পন্ডিতরা! হতেই  পারে  মেয়েটি  অনন্যসাধারন  মেধাবিনী! তাই  বলে  ' বিদ্যালঙ্কার ' উপাধি? স্ত্রী লোককে?  এটা  নিয়েও  পন্ডিতরা  খুব  বেশী  উচ্চবাচ্য  করেনি! কিন্তু  তাঁরা  প্রমাদ  গনল  তখন  যখন  দেখল হটী  বিদ্যালঙ্কার  বিদ্যার্নবের  পরিত্যক্ত  চতুস্পাঠীতেই  নিজেই  টোল  খুলে  বসলেন!আশ্চর্য! বিদ্যার্থীদের  সংখ্যা  প্রতিদিন  বৃদ্ধি পাচ্ছে ! কাশীর  টুলো পন্ডিতদের  কাছে আপত্তিকর  বা  উদ্বেগের  নয়, অপমানজনক!
কাশীর  বিদ্যাচর্চার  ইতিহাসে এ  এক  অভুতপর্ব  ঘটনা! যার  উপনয়ন  হয়নি , সেই  অর্বাচীন  কোন  সাহসে  টোল  খুলে  বসে? আর  আপত্তির  আর  একটি  কারন, হটী  বিদ্যালঙ্কার  অসম  প্রতীযোগীতার  সুযোগ  নিচ্ছে! অনান্য  টোল  থেকে  কেন  তরুন  ছাত্রের দল  ঐ চতুষ্পাঠীতে  ছুটে  আসছে  এটা  বুঝতে  পান্ডিত্যের  প্রয়োজন  নেই! পন্ডিদের  কাছে  এটা  চতুষ্পাঠী  নয়  লীলাকুঞ্জ ! ছাত্ররা  কেন  মুগ্ধ হয়ে  পড়া  শোনে  তা  সকলেই  বোঝে!বয়সটাই  তো  মুগ্ধ হওয়ার! হটীর  চতুষ্পাঠীতে একটি  আবশ্যিক বস্তু  অনুপস্হিত ' বেত দন্ড '! তৎকালে যে  কোন  শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানে  একি  বিরল সন্দেহ নেই! (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours