রিয়া ভট্টাচার্য, লেখিকা, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর:
একটা দিন এমন হোক,উচ্চবেতনের সরকারী চাকুরীরতা মেয়েটা বেকার প্রেমিকের হাতে হাত রেখে বলুক,--"পয়সার কথা ভেবোনা,নিজের স্বপ্ন পুরন করো,ভাত-কাপড়ের দায়িত্বটা নাহয় আমিই নিলাম।আর হ্যাঁ,অধিকার দিলাম দেরী করে ফিরলে মুখ ফোলানোর।"
একটা দিন এমন হোক, যখন শ্যামবর্ণা সুদীপ্তার মা মেয়ের গাত্রবর্ণের জন্য সবসময় খোঁটা না দিয়ে,পার্লার না পাঠিয়ে,বেসন-হলুদ না মাখিয়ে পাশে বসে বলুন,--"রূপটা বড় কথা না মা,যোগ্যতা আসল।নিজেকে দশজনের একজন গড়ে তোল,সবাইকে উদ্ভাসিত কর বর্ণালোকে নয় জ্ঞানালোকে।"
একটা দিন এমন হোক,কলেজপড়ুয়া ছেলেটা বয়সে বড়ো দ্বিধাগ্রস্ত প্রেমিকার দুহাত ধরে বলুক,--"সবসময় ছেলেদেরকেই মেয়েদের তুলনায় বড় হতে হবে কেন?ভালোবেসেছি যখন পাশে থাকব,সমাজ কি বলল তাতে কিই বা আসে যায়। "
একটা দিন এমন হোক, ধর্ষিতা মেয়েটিও স্বপ্ন দেখুক সাজানো সংসারের।ঠুনকো সহানুভূতিজড়িত ক্ষতিপূরণ নয়,কেউ পাশে দাঁড়াক শ্রদ্ধায়-সম্মানে।
একটা দিন এমন হোক, ঘড়ির কাঁটার তালে রোবটগতিতে এগিয়ে চলা যান্ত্রিক সভ্যতা একমুহুর্ত থেমে শুনুক পাখির ডাক,উপলব্ধি করুক সবুজায়ণের ছন্দ।
জানি বাস্তব বড্ড কঠিন,প্রতিপল লেখে নতুন বেদনাময় কাহিনী। তবু যদি একবার নিজেকে সহজ করে তুলি,মুখোশটা না পরে একদিন হাঁটি,যন্ত্রণাগুলো পাশ কাটিয়ে নিই স্বস্তির নিশ্বাস,বড্ড বেশি হয়ে যাবে কি?ভাবার অনুরোধ রইল। (সমাপ্ত)
একটা দিন এমন হোক,উচ্চবেতনের সরকারী চাকুরীরতা মেয়েটা বেকার প্রেমিকের হাতে হাত রেখে বলুক,--"পয়সার কথা ভেবোনা,নিজের স্বপ্ন পুরন করো,ভাত-কাপড়ের দায়িত্বটা নাহয় আমিই নিলাম।আর হ্যাঁ,অধিকার দিলাম দেরী করে ফিরলে মুখ ফোলানোর।"
একটা দিন এমন হোক, যখন শ্যামবর্ণা সুদীপ্তার মা মেয়ের গাত্রবর্ণের জন্য সবসময় খোঁটা না দিয়ে,পার্লার না পাঠিয়ে,বেসন-হলুদ না মাখিয়ে পাশে বসে বলুন,--"রূপটা বড় কথা না মা,যোগ্যতা আসল।নিজেকে দশজনের একজন গড়ে তোল,সবাইকে উদ্ভাসিত কর বর্ণালোকে নয় জ্ঞানালোকে।"
একটা দিন এমন হোক,কলেজপড়ুয়া ছেলেটা বয়সে বড়ো দ্বিধাগ্রস্ত প্রেমিকার দুহাত ধরে বলুক,--"সবসময় ছেলেদেরকেই মেয়েদের তুলনায় বড় হতে হবে কেন?ভালোবেসেছি যখন পাশে থাকব,সমাজ কি বলল তাতে কিই বা আসে যায়। "
একটা দিন এমন হোক, ধর্ষিতা মেয়েটিও স্বপ্ন দেখুক সাজানো সংসারের।ঠুনকো সহানুভূতিজড়িত ক্ষতিপূরণ নয়,কেউ পাশে দাঁড়াক শ্রদ্ধায়-সম্মানে।
একটা দিন এমন হোক, ঘড়ির কাঁটার তালে রোবটগতিতে এগিয়ে চলা যান্ত্রিক সভ্যতা একমুহুর্ত থেমে শুনুক পাখির ডাক,উপলব্ধি করুক সবুজায়ণের ছন্দ।
জানি বাস্তব বড্ড কঠিন,প্রতিপল লেখে নতুন বেদনাময় কাহিনী। তবু যদি একবার নিজেকে সহজ করে তুলি,মুখোশটা না পরে একদিন হাঁটি,যন্ত্রণাগুলো পাশ কাটিয়ে নিই স্বস্তির নিশ্বাস,বড্ড বেশি হয়ে যাবে কি?ভাবার অনুরোধ রইল। (সমাপ্ত)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours