ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
বর্তমান পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমার কাঁকসা ব্লকের পশ্চিম প্রান্তে দু নম্বর জাতীয় সড়কের উত্তরে বামুনাড়া গ্রাম! গ্রাম না বলে আধা শহর বলাটা যুক্তি সঙ্গত! এখানেই জেলার সর্বাধিক বহুতল আবাসন গড়ে উঠেছে!
এই গ্রামের ভট্টাচার্য্য পরিবারের সবস্বতী পুজো ২৭৮ বছরে পদার্পন করল! বামুনাড়ার পাশে জি,টি রোডের দক্ষিনে খাঁটপুকুরের জমিদার ছিল ভট্টাচার্য্য পরিবার! যদিও এই পরিবারের কূলদেবী সিংহবাহিনী ! তবুও এই পরিবারের পন্ডিত বক্রনাথ ভট্টাচার্য্য আজ থেকে ২৭৭ বছর পূর্বে পারিবারিক সরস্বতী পূজার পত্তন করেন!
প্রথমে মাটির মন্দিরে দেবীর পুজা হলেও বর্তমানে পাকা মন্দিরে বাগ্দেবীর অধিষ্ঠান! 'ভট্টাচার্য্য -বাড়ী র' সরস্বতী প্রতিমা ও পুজায় কয়েকটি বৈশিষ্ঠ আছে! দেবী প্রতিমা তিন পুতুলের ! মাঝে ডাকের সাজে সুসজ্জিতা বিদ্যা-দেবী, দুই পাশে দুই সখী পরী ও ছবি! দেবী এখানে পদ্মের উপর দন্ডায়মানা, দেবীর বাহন রাজ হংস অনুপস্হিত! দেবী প্রচন্ড জাগ্রতা বলে বিশ্বাস সেবাইতদের!
এই পুজা তিন দিনের মাঘী পঞ্চমী থেকে সপ্তমী! প্রথম দিন দেবীর পঞ্চব্যঞ্জন সহ ভাত ভোগ, ষষ্ঠীতে গোটা সেদ্ধ, খিঁচুড়ী, মাছের টক ও পঞ্চ ব্যাঞ্জন! সপ্তমীতে দই দুধ চিঁড়া ভোগ!
পূর্বে পঞ্চমীতে সারা গ্রামের মানুষের পংতি ভোজের আয়োজন হতো! ষষ্ঠীতে পঞ্চগ্রামী অর্থাৎ পাঁচটি গ্রামের ব্রাক্ষ্মন ভোজন হতো! বর্তমানে শুধু ষষ্ঠীতে ৩০০/৪০০ লোকের পংতি ভোজের ব্যবস্হা থাকে! মেনু থাকে খেঁচুড়ি, পালং শাক, বাঁধাকপি, মাছের টক,পায়েস, বোঁদে ও রসগোল্লা!
পুজোর আর একটি বৈশিষ্ঠ, বাজনার কোন আড়ম্বর করা যাবে না! এক ঢোল এক কাঁশি ছাড়া! প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় সারা গ্রাম প্রদক্ষিন করা যাবে না!
আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ঠ, এই পুজোকে কেন্দ্র করে বছরে একদিন ভট্টাচার্য্য পরিবার ' একান্নবর্তী পরিবার ' হয়ে যায়! ষষ্ঠীতে যার পূজার পালা তার বাড়ীতে এক হাঁড়িতে সমগ্র ভট্টাচার্য্য পরিবারের গোটা সেদ্ধ করা এবং পংতি ভোজও তার বাড়ীতেই হয়! সিজানো ষষ্ঠীতে ভট্টাচার্য্যরা বাসি খায় না ( গোটা সেদ্ধ ও মাছের টর ছাড়া)!
এই পরিবারের আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ঠ প্রতিমা নিরঞ্জনের পূর্বে দেবী বরনের পর স্ত্রী আচার ' দান সিঁদুর ' এই অনুষ্ঠান প্রায় দু-তিন ঘন্টা চলে! নয় জন সধবা মহিলা সারি বদ্ধভাবে দাঁড়ান! একজন মহিলা প্রথমে তাঁদের পা ধুয়ে দেন, এরপর মাথার চুলে তেল দিয়ে আঁচড়ে দিয়ে সিঁদুর পরিয়ে দেন সব শেষে হাতে একটি করে সন্দেশ দেন!
এই পুজোকে কেন্দ্র করে শুধু ভট্টাচার্য্য পরিবার নয় সারা গ্রাম আনন্দের শরিক হয়!
(ফিচার লেখক নিজেও একজন সেবাইত)
বর্তমান পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর মহকুমার কাঁকসা ব্লকের পশ্চিম প্রান্তে দু নম্বর জাতীয় সড়কের উত্তরে বামুনাড়া গ্রাম! গ্রাম না বলে আধা শহর বলাটা যুক্তি সঙ্গত! এখানেই জেলার সর্বাধিক বহুতল আবাসন গড়ে উঠেছে!
এই গ্রামের ভট্টাচার্য্য পরিবারের সবস্বতী পুজো ২৭৮ বছরে পদার্পন করল! বামুনাড়ার পাশে জি,টি রোডের দক্ষিনে খাঁটপুকুরের জমিদার ছিল ভট্টাচার্য্য পরিবার! যদিও এই পরিবারের কূলদেবী সিংহবাহিনী ! তবুও এই পরিবারের পন্ডিত বক্রনাথ ভট্টাচার্য্য আজ থেকে ২৭৭ বছর পূর্বে পারিবারিক সরস্বতী পূজার পত্তন করেন!
প্রথমে মাটির মন্দিরে দেবীর পুজা হলেও বর্তমানে পাকা মন্দিরে বাগ্দেবীর অধিষ্ঠান! 'ভট্টাচার্য্য -বাড়ী র' সরস্বতী প্রতিমা ও পুজায় কয়েকটি বৈশিষ্ঠ আছে! দেবী প্রতিমা তিন পুতুলের ! মাঝে ডাকের সাজে সুসজ্জিতা বিদ্যা-দেবী, দুই পাশে দুই সখী পরী ও ছবি! দেবী এখানে পদ্মের উপর দন্ডায়মানা, দেবীর বাহন রাজ হংস অনুপস্হিত! দেবী প্রচন্ড জাগ্রতা বলে বিশ্বাস সেবাইতদের!
এই পুজা তিন দিনের মাঘী পঞ্চমী থেকে সপ্তমী! প্রথম দিন দেবীর পঞ্চব্যঞ্জন সহ ভাত ভোগ, ষষ্ঠীতে গোটা সেদ্ধ, খিঁচুড়ী, মাছের টক ও পঞ্চ ব্যাঞ্জন! সপ্তমীতে দই দুধ চিঁড়া ভোগ!
পূর্বে পঞ্চমীতে সারা গ্রামের মানুষের পংতি ভোজের আয়োজন হতো! ষষ্ঠীতে পঞ্চগ্রামী অর্থাৎ পাঁচটি গ্রামের ব্রাক্ষ্মন ভোজন হতো! বর্তমানে শুধু ষষ্ঠীতে ৩০০/৪০০ লোকের পংতি ভোজের ব্যবস্হা থাকে! মেনু থাকে খেঁচুড়ি, পালং শাক, বাঁধাকপি, মাছের টক,পায়েস, বোঁদে ও রসগোল্লা!
পুজোর আর একটি বৈশিষ্ঠ, বাজনার কোন আড়ম্বর করা যাবে না! এক ঢোল এক কাঁশি ছাড়া! প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় সারা গ্রাম প্রদক্ষিন করা যাবে না!
আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ঠ, এই পুজোকে কেন্দ্র করে বছরে একদিন ভট্টাচার্য্য পরিবার ' একান্নবর্তী পরিবার ' হয়ে যায়! ষষ্ঠীতে যার পূজার পালা তার বাড়ীতে এক হাঁড়িতে সমগ্র ভট্টাচার্য্য পরিবারের গোটা সেদ্ধ করা এবং পংতি ভোজও তার বাড়ীতেই হয়! সিজানো ষষ্ঠীতে ভট্টাচার্য্যরা বাসি খায় না ( গোটা সেদ্ধ ও মাছের টর ছাড়া)!
এই পরিবারের আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ঠ প্রতিমা নিরঞ্জনের পূর্বে দেবী বরনের পর স্ত্রী আচার ' দান সিঁদুর ' এই অনুষ্ঠান প্রায় দু-তিন ঘন্টা চলে! নয় জন সধবা মহিলা সারি বদ্ধভাবে দাঁড়ান! একজন মহিলা প্রথমে তাঁদের পা ধুয়ে দেন, এরপর মাথার চুলে তেল দিয়ে আঁচড়ে দিয়ে সিঁদুর পরিয়ে দেন সব শেষে হাতে একটি করে সন্দেশ দেন!
এই পুজোকে কেন্দ্র করে শুধু ভট্টাচার্য্য পরিবার নয় সারা গ্রাম আনন্দের শরিক হয়!
(ফিচার লেখক নিজেও একজন সেবাইত)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours