ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:
এরপরের কাহিনী অতি সংক্ষিপ্ত! নন্দখুড়ো রূপেন্দ্রকে জব্দ করতে ত্রিবেনীতে রূপেন্দ্রর গুরুদেব ধনঞ্জয় তর্ক পঞ্চাননের নিকট রূপেন্দ্রর ঘোর অনাচারের অভিযোগ করলেন! তিনি জানালেন,বিপত্নীক রূপেন্দ্র স্বামী পরিত্যক্তা সুন্দরী যবন কন্যার রূপে মোহিত হয়ে তাকে বিদ্যাদানের অছিলায় বাড়ীতে এনে সগ্তাহকাল রেখেছেন! আবার চিকিৎসার নাম করে স্বামীসুখ বঞ্চিতা রূপসী মেহেরুন্নেসাকে বাড়ীতে এনে তার সাথে রাত্রিবাস? ঘোর অনাচার! অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ হলেন রূপেন্দ্রর গুকুদেব! প্রিয় শিষ্যের চারিত্রিক পদস্খলনে তিনি মনে প্রচন্ড আঘাত পেলেন! বৃদ্ধ শীলভদ্র বাচস্পতিকে পাঠালেন সোঁয়াই গ্রামে!
কাঁদতে কাঁদতে নৌকায় গিয়ে বসলেন মালতি আর শ্যামা! মালতি জানে,এবার সত্যিই চিরবিদায় এখন রূপেন্দ্রর বাড়ীতে আর সাড়ে তিনজন নয় মাত্র দু'জন বাপ আর বেটি!
সমাজচ্যুত বাপ বেটির সংসার! সোনা মা চোখের জলে বিদায় নিয়েছেন, হটী দিদির পায়ে পায়ে ঘুর ঘুর করতো ফুট ফুটে সেই বাচ্চা মেয়েটাও নেই! আজ রান্না বান্নার হাঙ্গামা নেই! না আজ একাদশী নয়! কৃষ্না দশমী! গতকাল রূপেন্দ্র একটা দাঁত তুলে ফেলেছেন!তাই হটী ঠিক করেছে আজ দুজনের জন্য ফ্যানভাত আর কাঁচকলা কুমড়ো সেদ্ধ খাবে! রূপেন্দ্র একটু গরম দুধ খেয়ে একটা পুরানো পুঁথি নিয়ে উঠানে বসে পড়ছিলেন!
হঠাৎ বাইরে বহু কোলাহল ! রূপেন্দ্র আত্মচিৎকার শুনতে পেলেন," বাবা ঠাকুর....."
সচকিত রূপেন্দ্র পুঁথিটি বন্ধ করে কপালে ঠেকিয়ে রেখে দরজা খুলে দেখেন, ডোম পাড়ার জনা দশেক উদম গা- মানুষ! সাথে একজন অবগুন্ঠনবতী বিধবা! সবার সামনে প্রহ্লাদ ডোম, তার দুহাতে পাঁজকোলা করা একটি মুর্ছিত বালক!
(চলবে)
এরপরের কাহিনী অতি সংক্ষিপ্ত! নন্দখুড়ো রূপেন্দ্রকে জব্দ করতে ত্রিবেনীতে রূপেন্দ্রর গুরুদেব ধনঞ্জয় তর্ক পঞ্চাননের নিকট রূপেন্দ্রর ঘোর অনাচারের অভিযোগ করলেন! তিনি জানালেন,বিপত্নীক রূপেন্দ্র স্বামী পরিত্যক্তা সুন্দরী যবন কন্যার রূপে মোহিত হয়ে তাকে বিদ্যাদানের অছিলায় বাড়ীতে এনে সগ্তাহকাল রেখেছেন! আবার চিকিৎসার নাম করে স্বামীসুখ বঞ্চিতা রূপসী মেহেরুন্নেসাকে বাড়ীতে এনে তার সাথে রাত্রিবাস? ঘোর অনাচার! অভিযোগ শুনে ক্ষুব্ধ হলেন রূপেন্দ্রর গুকুদেব! প্রিয় শিষ্যের চারিত্রিক পদস্খলনে তিনি মনে প্রচন্ড আঘাত পেলেন! বৃদ্ধ শীলভদ্র বাচস্পতিকে পাঠালেন সোঁয়াই গ্রামে!
কাঁদতে কাঁদতে নৌকায় গিয়ে বসলেন মালতি আর শ্যামা! মালতি জানে,এবার সত্যিই চিরবিদায় এখন রূপেন্দ্রর বাড়ীতে আর সাড়ে তিনজন নয় মাত্র দু'জন বাপ আর বেটি!
সমাজচ্যুত বাপ বেটির সংসার! সোনা মা চোখের জলে বিদায় নিয়েছেন, হটী দিদির পায়ে পায়ে ঘুর ঘুর করতো ফুট ফুটে সেই বাচ্চা মেয়েটাও নেই! আজ রান্না বান্নার হাঙ্গামা নেই! না আজ একাদশী নয়! কৃষ্না দশমী! গতকাল রূপেন্দ্র একটা দাঁত তুলে ফেলেছেন!তাই হটী ঠিক করেছে আজ দুজনের জন্য ফ্যানভাত আর কাঁচকলা কুমড়ো সেদ্ধ খাবে! রূপেন্দ্র একটু গরম দুধ খেয়ে একটা পুরানো পুঁথি নিয়ে উঠানে বসে পড়ছিলেন!
হঠাৎ বাইরে বহু কোলাহল ! রূপেন্দ্র আত্মচিৎকার শুনতে পেলেন," বাবা ঠাকুর....."
সচকিত রূপেন্দ্র পুঁথিটি বন্ধ করে কপালে ঠেকিয়ে রেখে দরজা খুলে দেখেন, ডোম পাড়ার জনা দশেক উদম গা- মানুষ! সাথে একজন অবগুন্ঠনবতী বিধবা! সবার সামনে প্রহ্লাদ ডোম, তার দুহাতে পাঁজকোলা করা একটি মুর্ছিত বালক!
(চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours