জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা, দুর্গাপুর:

কথাটা শুনে অনেকে যারা চলমান সংস্কৃতির নৌকো বেয়ে কীভাবে যে ধর্ম  জাতীয়তায় টিকে থাকে, তার ইতিহাসগত ধারটি হৃদয়ঙ্গম না করেই, শ্লোগানাকারে সাম্যকে বুঝেছেন, তারা উপরের শিরোনামাটি পড়ে আৎকে উঠতেই পারেন।
 ধর্মীয় গোড়ামীর  বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে, সামাজিক রুপান্তরের প্রশ্নে
 বিজ্ঞান ভাবনাকে উপর থেকে চাপিয়ে দিতে চান, রুপান্তর প্রকৃয়াই বিড়ম্বিত হতে থাকবে।
সেজন্যে এই প্রশ্নের সমাধানে  শ্রমিক আন্দোলনের অভিজ্ঞতাকে যদি বিবেচনায় রাখা হয়, তবেই সম্ভবত, ধর্ম এবং ফলিত বিজ্ঞান হিসেবে  সামাজিক রুপান্তরের সম্পর্কটিকে স্পষ্ট ধারনায় আসা সম্ভব হবে। যদি মেনে চলা হয়, বিশ্বের সব সংগঠিত সত্বার মধ্যে শ্রমিকরাই সব থেকে ঐক্যকামী শক্তি, তবে একতার সংগ্রামের প্রশ্নে,গন-   শ্চাতপদতার দিকটিকে মাথায় রেখে
---- ধর্ম  এবং  বিজ্ঞান বা যুক্তিবাদের অন্তসম্পর্কের বিষয়টিকে স্পষ্টতা পেতে থাকবে।
এখানে স্বতস্ফুর্ততা কিংবা অতিউৎসাহ বা অসহনশীলতা বিপদের কারন হতে বাধ্য যদি না, ইতিহাসের ধারার সাথে সেই কথাটা
------ ইতিহাসের কালে, অতীতের কুসংক্সার বা অমানবিক দিক গুলির ততটুকুই বিলয়  ঘটবে, যতটুকু কালগত দিকে থেকে একতা বিরোধী অবস্থান নিতে থাকবে। আরো স্পষ্ট করতে গেলে বলতে হবে, জ্ঞান যেমনভাবে জনসংস্কৃতি হিসেবে ভাবজগতে প্রতিষ্ঠানিক হবে, তেমনভাবেই ধর্মীয় কুঃসংস্কার কাটতে থাকবে।
এই সুত্রেই 'জ্ঞান তত্বের' সেই ঐতিহাসিক ঘোষনার অর্থটি যদি স্পষ্ট হবে এবং
ধর্ম প্রসংগে 'অতিবাম বিসৃংখলা' এবং 'সুবিধাবাদী আত্মসমর্পন' উভয় বিপদ থেকে বিপ্লবের স্তরগুলিকে রক্ষা করা যাবেঃ
সেই ধারনাটা কী,
----  In real sense 'intellectual liberty' begins AFTER COMMUNIST SOCIETY EMERGES.  l অর্থাৎ ইতিহাসে শ্রেণী দ্বন্দ্ব শেষ হওয়ার পর, সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই  প্রকৃ্ত 'বৌদ্ধিক মুক্তি' শুরু হবে। 
তবে সাম্যপূর্ব কালগুলিতে 'বিজ্ঞান' এবং সামাজিক রুপান্তরের সম্পর্ক কী হবে?
----- সামাজিক রুপান্তরের এক এক ধাপ, তেমনভাবেই উত্তোরন ঘটবে যেমনভাবে 'জ্ঞান'কে সংগ্রামে এবং গনশিক্ষার সংশ্লেশনের মধ্য দিয়ে, রুপান্তরের আন্দোলনে অংগিভূত (anesthetization)  করে তোলা সম্ভব হবে।

এই প্রকৃয়াতে জাতীয়তা যেমনভাবে আন্তর্জাতীকতায়, প্রজাতন্ত্র তার নিম্ন থেকে উচ্চতর ধাপে উঠতে থাকবে তেমনভাবেই রুপান্তরকামীতা তার অভিমুখে এগিয়ে যাওয়ার পথটিকে  খুলে নেওয়ার সুযোগ পাবে।

এতত সত্বেও যদি 'সাম্যকে' চিন্তা মুক্তির দরজা বলে মানতে হয়, তবে মানতে হবে দরজা অতিক্রমনের পরেই প্রকৃত অর্থে, মুক্তির কাজ শুরু হবে। তার আগে পর্য্যন্ত যা হবে তা
------ চলতে চলতে। এই চলার গতি বৃদ্ধি পাবে তেমনভাবে 'জ্ঞান' সংস্কৃতি এবং জাতীয়তার সাথে প্রাতিষ্ঠানিক সত্বা হিসেবে নিজের স্থান করে নেবে । এমনটি ঘটবে  জ্ঞান যেমনভাবে জনচেতনায় প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পাবে, তেমন করেই।
রুপান্তরকামী আন্দোলনে এই প্রসংগ নৃতত্ব যেমন  গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা নেবে।তেমনি বিজ্ঞান আন্দোলনে কু-সংস্কারের ছায়া থেকে পূর্ণমুক্তি এবং এই মুক্তির সাথে রুপান্তরকামীতার পরিমিতি মিশ্রন খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এখানে কোন উল্লম্ফন বিপদের কারন হবেই।

 ইতিহাস বিজ্ঞানের নৃতত্ব গবেষনাতেই দেখা যাবে, অনেক ধারনা বন্যাবস্থা থেকে চিত্তে দেবত্ব পেয়ে বসে আছে। অনেক ক্ষেত্রে জ্ঞানে যিনি 'পরম-ব্রহ্ম'কে পেয়েছেন, চেতনায় সে সব 'অপদেবতাও' দেবতার যায়গায় বসে আছে। আবার   দেখা যাবে বুর্জোয়া বিপ্লবের পরেরো, সামন্তিক ভাতসত্বাই শুধু আচার আচরন পুজিতান্ত্রিক ব্যবস্থার শীর্ষ স্থানে বিরাজমান থাকে। তাই যদি না ঘটতো, কেরেনেস্কির পতন ঘটিয়ে অক্টোবর বিপ্লবের সুযোগই হোত না। কেরেনেস্কির অন্তর দেবতা 'জাড়' নিজেই তখনো বসে ছিলেন।
অনুরুপভাবে অন্যথায়  চিনে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের প্রয়োজন হোত না । আবার চিন ব্যবস্থায় 'বাবুতন্ত্র' এবং শহুরে বাবুরা শেকঁর গেড়ে বসে না থাকলে, এই বিপ্লব,   'অতি-বিপ্লববাদ' এর বাঘের শোয়ার হয়ে যেতো না । অনুরুপভাবে বাবুতন্ত্র  সোভিয়েত পতনের কারন হয়ে যেতো না, ।
-------   আজ না হোক কাল মানতে হবে, পশ্চিম বাংলায়, মানুষের রুপান্তরকামীতাকে দলের কর্মসূচী থেকে সরিয়ে এনে, সরকারীয়ানায়
ঠেলে দিয়ে তার পতন ঘটানোও, বাবুতন্ত্রের স্বতস্ফুর্ততার পরিনাম
------   এবং সেটাও ঘটেছে গনচেতনা নিরন্তর পরিমাপ এবং পরিমাপেন নৃ্তাত্বিক অবস্থানগুলিকে যাচাই করে, জন শিক্ষার জ্ঞানগত রুপান্তরনের শক্তি যাচাই করে এগুনোর চেষ্টার রুপান্তর নেতৃ্ত্বের সাধারন নিয়মকে অস্বিকার করার কারনে।
------  প্রথমে  বামপন্থী এ্যা ডভেঞ্চারইজম পরে দক্ষীনবাদে সরকারীয়ানায় ডুবে যাওয়া। অবস্য সবটাই ঘটেছে, কর্মসূচী থেকে সরে যাওয়ার কারনে।

এই সুত্রেই,
হয়তো অনেকেই মানবেন না, সাম্যকে ফলিত বিজ্ঞান হিসেবে প্রয়োগে ছিলাম প্রায় ষাট বছর, সেই সাহস নিয়েই বলছি
------ এদেশে বিজ্ঞান  কিংবা ইতিহাস আন্দোলনের যাই ধরুন না কেন, দুটোই মূলতঃ বুর্জোয়া এবং এমন কী সামন্তিক কাঠামোয় প্রাথমিক স্তরের রেনেশা ধরেই এগুনো হয়। সেখানে সাম্যের বিজ্ঞান কিংবা ইতিহাস কদ্যাপী দেখা গেছে।
রেনেশাঁর সাম্যে উত্তোরন যেখান খন্ডিত জ্ঞানকে, সম্পুর্ণ জ্ঞানে ঊত্তোরন, প্রকৃ্তি বিজ্ঞানের সামগ্রিক রুপটিকে  তার প্রাথমিক তিন গতির (, পদার্থ-রসায়ন-শরীর বিদ্যার, )একাত্ম রুপে খুজে বেড় করা
------ ক্রমে তাকে, 'মন'  থেকে ইতিহাসে উঠিয়ে আনা প্রয়োজন ছিল,
**** সেখানে আমরা বিজ্ঞান কিংবা ইতিহাস কর্মীদের কাছেই 'জ্ঞানর' অখন্ড রুপটি উন্মোচিত করতে সাহায়্য করি নাই।পরিনামে 'সাম্যবাদের' নামে 'সাম্যবাদীরাই
 ------ প্রথমে পুজিবাদী এবং পরে 'ফ্যাসিস্তদের' জন্য 'অনুমান ভিত্তিক 'জ্ঞানের'
ভিত্তিটা নির্মানে সাহায্য করি।

কাজেই যে দেশে স্বাক্ষরতার হার এখনো ৭৪%, মেনে নিতে হবে অন্তন্ত ৭০% মেনে চলেন 'সূর্য্য' পৃথিবীর চারদিকে ঘুড়ে চলেছে'
------ সেখানে বিজ্ঞানের সাথে রুপান্তরকামীতার মিশ্রনটাও ঘটবে, নেতাদের বিষয়গত (Subjective desire) ইচ্ছার উপরে নয়, রুপান্তরকামীতা জ্ঞান সত্বার রুপান্তরকামীতার মাধ্যমে।

বাংলায় যদি 'কালীকে' সব থেকে নিষ্ঠুর এব কৃষ্ণকে মানবিক বলে মানুষের চিত্তকোঠায় বিরাজমান থাকে, সেখানে যদি 'সরস্বতীর' স্থান কৃষ্ণের কাছাকাছি হয়ে থাকে, তবে বলবো হয়তো এখনো আশার কারন রয়েছে,  ৭৪ ভাগ স্বাক্ষরের দেশে।
------ প্রসংগত, মানুষের আশার বানী এখানে, কালী দেবী এখন আর সেই বিভৎস রুপ নিয়ে  থাকতে পারছেন না। প্রজাতান্ত্রিক জাতীয়তার বিকাশে, তাকে অনেকটাই 'কৃষ্ণে্র' কাছাকাছি আসতে হয়েছে।

---- যাইহোক আজ 'সরস্বতী পূজোর দিন,
একটু বাদ থেকেই  'নির্ঝরের' ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিবাবক এবং প্রাক্তন ছাত্রীরা আসতে শুরু করবেন একটু বাদ থেকেই।দুপুরে বর্তমানীরা মধ্যান্য আহারের নিমন্ত্রন করেছে।

প্রতিবছরের মতো, আমার সাথে চৈতালী, ছোট ভাই এবং তার স্ত্রী - সবাই যাচ্ছি নির্ঝরের সরস্বতী পুজোয়। এদিন আমরা সবাই কাছাকাছি আসার সুযোগ পাই।
----- বাকিটা দেখা যাবে , কালের নিয়মে এবং রুপান্তরের পথে । (চ ল বে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours