জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:
কিছুদিন পূর্বেও মনে হোত, যেন ইংরাজীয়ানার দৌরাতেই বুঝি এদেশে বৃদ্ধাশ্রমের আকাল দেখা দিয়েছে। ক্রমে বুঝেছি বৃদ্ধাশ্রমের বারবারন্তের ঘটনা আসলে, ইংরাজীয়ানার চাপের মুখে, গনশিক্ষার
সংকুচিত হওয়া এবং সাধারনভাবে জ্ঞানের অখন্ডতার বিষয়টি বিদ্যালয় শিক্ষার অভিমুখ থেকে সরে যাওয়া,
--- তার সাথে সাথে, শিক্ষার বিষয়টিতে অভিজাতদের একচেটে অধিকার কায়মে হতে থাকার পরিনাম।এইভাবে, বিদ্যালয়ের নিচুর ক্লাসগুলিতে, বিশ্ব পরিচিতির বিষয়গুলি যেমনভাবে, ইংরাজী বলানোর দাপটের সামনে কাবু হয়েছে, তেমনভাবেই বিজ্ঞান এবং ফলিত বিজ্ঞান থেকে সাহিত্য ও ইতিহাসের সংযুক্তির বিষয়টি দুর্বল হয়েছে।
হুড়মুড় করে ইংরাজী আসতে থাকায়, মাতৃভাষাকে যেমনভাবে জমিদার বাড়ীর ভোজসভা্র, অচ্যুতদের স্থানে টেনে নামানো হয়েছে, তেমনভাবে পড়ুয়ারাদের সিংহভাগ শিশুকাল থেকেই, জ্ঞান সম্পর্কে শুধু ভয় নয়, একটা হীনমন্যতার নিঃস্করুন বোঝা মাথায় নিয়ে বিদ্যায়তনের সাথে নিজের পরিচিতিকে চিহ্নিত করতে বাধ্য হচ্ছে।
ভয়ে ভয়ে হলেও, অনেক সময় মনে হয়, কোলকাতার সেই মধ্যবিত্ত দলটির নেতাদের আত্মসুদ্ধির পরামর্শ দিই, যারা প্রথমে মাতৃভাষাকে খাটো করে প্রাথমিক স্তরে ইংরাজী ঢুকাতে বাম-ফ্রন্ট সরকারকে বাধ্য করেছিলেন। সে সব নেতাদেরকেও পরামর্শ দেবো, যারা কমরেড জ্যোতি বসুকে ডক্টর অশোক মিত্র কমিশনের পরামর্শের বিপরীতে গিয়ে এই ইংরাজীয়ানার কাছে আত্মসমর্পনের পরামর্শ দিয়েছিলেন, তারাও যেন মানুষের কাছে না হোক, ইতিহাসের কাছে ক্ষমা চান।
প্রাথমিক স্তরে যখন ইংরাজীকে বাধ্য করা হোল, তখন 'ইংরাজী শেখানো' প্রশ্নের সাথে 'মাধ্যম হিসেবে ইংরাজীকে মিশিয়ে দেওয়া', সাথে সাথে প্রাথমিক স্তরে ছাত্র-ভর্তীর হার এবং সেই হারকে, ছাত্র-ছাত্রী নির্বিশেষে যাতে অন্তত মধ্যম মান পর্য্যন্ত ধরে রাখার বিষয়টিকে তুল্যমুল্যে বিচার করতে হোত।
এই সন্তলিত ব্যবস্থা, সরকার পরিচালিত বিদ্যালয় ব্যবস্থাগুলি থেকেই নিয়ন্ত্রিত হতে পারতো।শিক্ষার বিষয়টি যেহেতু কেবল বই দেখে পরিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, সেখানে একটি নিদৃষ্ট লক্ষ রেখে, পঠন-পাঠনের অভিমুখে বহূমুখীনতা নিয়ে আসা এব্ং সেই বহুমুখীন অভিমুখক যাতে আটকে গিয়ে গতানুগতিকতায় ডুবে না যায়, সে কারনে প্রয়োজনীয় সমন্বয় এবং নিয়ন্ত্রন দুটিরই প্রয়োজন হয়।
এই সমন্বয়ের প্রশ্নে যেঁ বিষয়গুলিকে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হোতঃ
প্রথমতঃ
সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা বানিজ্যিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রন করবে অথবা বিপরীত মেরু থেকে।
দ্বিতীয়তঃ
প্রথমটি আবার নির্ভর করবে, শিক্ষা নীতি জ্ঞানের সাথে অথবা শিক্ষা এবং জ্ঞানের বিযুক্তি করন। এই সুত্রেই প্রশ্ন উঠবে, ভাষা হিসেবে ইংরাজীকে সামগ্রিক জ্ঞানের বিচারে অথবা স্বাধীনভাবে সামগ্রিক শিক্ষা নিরপেক্ষভাবে ইংরাজীয়ানাকেই জ্ঞানের সমার্থক বিবেচনা করা হবে,।
তৃ্তীয়তঃ
শিক্ষা সামগ্রিকভাবে সামাজকে সেবা করবে, অথবা অভিজাতদের তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আলাদা শিক্ষার দরজা খুলে দিয়ে, ভারতকে শিক্ষার ক্ষেত্রে
পৃথক করে দেওয়া হবে।
চতুর্থতঃ স্বাধীনতার পর, যে নীতিতে শিক্ষাকে জ্ঞানের নিয়ন্ত্রক হিসবে বিদ্যালয় শিক্ষাকে সামাজিক শিক্ষার আধার হিসেবে গড়ে তোলা হবে, অথবা সাহিত্যের বানিজ্যিকিকরনের পর থেকে যা চলছে
---- যেন বাইরে ছরিয়ে পরতে থাকা, তথাকথিত 'স্বাধীন ও মুক্ত জ্ঞাননীতি, বিদ্যালয় বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উপর খবরদারী করতে দেওয়া হবে।
উপরের বিষয়গুলিকে খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে,
শিক্ষার সামগ্রিকতাকে জ্ঞানর সাথে যুক্ত করতে হলে, তবে তাকে নিশ্চিতভাবে
তাকে রবীন্দ্রনাথ-নেহেরু ভাবনায় বহুমুখীন হতেই হবে এবং এই বহুমুখীনতাকে
----- ফলিত বিজ্ঞানর সাথে যুক্ত হওয়ার পথে পরিচালিত হতে হবেই। সে পথ ধরে শিক্ষার জ্ঞানমুখীনতার পরিচিতি পেতে হবে সাহিত্য (সে মাতৃভাষা হোক কিংবা অন্য কোন ভাষা), ললিত কলার অন্য সব্য দিক। আকাশ বিদ্যা বা এস্ট্রনমি, যা পদার্থ বিদ্যার মুলভিত্তি - সে জন্য বিজ্ঞান শিক্ষাকে, আকাশ ও সাধারন জিওগ্রাফীকে ভিত্তি হিসেবে মানতে হবে। ইতিহাসকেও বিজ্ঞানের অংশ করে নিয়ে।
------ উভয়ের যুগলবন্দি, মনোবিদ্যার মিশ্রনে সাহিত্য এবং অন্যান্য ললিত কলার ভিত্তি হয়ে উঠবে।
সেখানে ভাষা বা LANGUAGE IS NOTHING MORE OR LESS THAN THE INSTRUMENT:
(a) TO CONCEIVE THE PHENOMENON IN THE PROCESS OF ITS SERIALIZATION, CONVERSION & RE-CONVERSION IN THE PROCESS OF SOCIAL PRODUCTION
(b) AND ALSO INSTRUMENT FOR EXPRESSION WHAT ONE HAS CONCEIVED.
সেখানে শিক্ষার বহুমূখীনতায়, সরকারী এবং বানিজ্যিক শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার দুই দিক, গনশিক্ষার সাথে যোগসুত্র, তার সাথে বহুমুখীনতা ইত্যাদির পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রন সব কিছুকে যদি মাথায় রাখতে হোতঃ
----- সরকারী বিদ্যালয় ব্যবস্থাটিকে শক্ত ভিত্তির উপরে দাড় করাতে হোত।
সেখানে শিক্ষাটাকে কোথায় নামানো হয়েছে,
---- পশ্চিম বাংলায় বাম ফ্রন্ট সরকার চলে যাওয়ার পর, শিক্ষক নিয়োগের হার থেকেইম বোঝা যাবে।প্রয়োজন থাকলেই তো নিয়োগ কর হবে। এটা ঠিক অনেক বিদ্যালয় শিক্ষকর অভাবে ধুকছে । কিন্তু সাধারনভাবে বলতে গেলে বলতে হয়
------ বিদ্যালয় ব্যবস্থাটা যেভাবে বানিজ্যিকরা দখল নিয়েছে,সেসব বিদ্যালয় মূলতঃ অভিজাতদের আখরা হয়েছে।জ্ঞান নির্মানের কেন্দ্র না হয়ে, বিদেশীদের যন্ত্র কেরানী নির্মানের কেন্দ্র হিসবে ব্যংগের ছাতার মতো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরী হয়েছে,
------ তখন গ্রাম ভারতবর্ষের মানুষকে জ্ঞানগত অর্থে শিক্ষার সাথে যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তাই ফুরিয়ে গেছে। লেখক নিজে একটা বিদ্যালয় ব্যবস্থার সাথে যুক্ত বিগত তিন দশক ধরে, নিজ চোখে দেখেছেন কীভাবে
----- প্রাথমিক পর্বে ইংরাজীয়ানা ঢোকা এবং পরে বাম ফ্রন্ট উঠে যাওয়ার পর, শিক্ষার প্রশ্নে গ্রাম বাংলায় মানুষের মধ্যে পূর্বেকার আবেগটাই নষ্ট হয়ে গেছে।
লেখাটা শেষ করার পূর্বে আরো দুটি প্রশ্নের জবাব রেখে যাওয়া উচিত হবেঃ
প্রথমতঃ শিক্ষার সাথে বৃদ্ধাশ্রমের সম্পর্কটা কীভাবে আবিস্কার করলাম
দ্বিতীয়তঃ দেশে ব্যাংগের ছাতার মতো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অর্থ কী।
যদি মেনে চলা হয়, শিক্ষার জ্ঞানমুখীনতাহীনতাই , তথাকথিত অতিশিক্ষিতের মধ্যে,পিতা-মাতা থেকে বিচ্ছেদের কারন হয়ে গেছে
----- তবে মানতে হবে,
দেশে শিল্পপুজি বিনাশের সাথে সাথে আমদাস্নী নির্ভর উৎপাদন কাঠামো নিয়ন্ত্রক ভূমিকা নেওয়া, ইতিমধ্যেই, প্রযুক্তি গবেষনা শেষ হয়ে যাওয়ায়
---- যেসব ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবস্থা প্রাইভেটে হচ্ছে, তা মূলতঃ বিদেশের যন্ত্র কেরানী নির্মান এবং বিদেশী পণ্যের কমিশানিং এজনেন্ট নির্মানের জন্য।
আজকাল যে
----- অনেক ইংনিয়ারিং কলেজ বসে যাচ্ছ,তার প্রধান কারন, বিদেশীরা এখন আর কেরানী নিচ্ছে না।
শেষ পর্য্যন্ত শিক্ষার জ্ঞানহীনতা, সমাজকেই যখন ভেংগে দিচ্ছে, তখন ইংরাজীয়ানার ফরফরানী, পরিবারগুলিকে ভেংগে দেবে নাই বা কেন? (ক্রমশঃ)
কিছুদিন পূর্বেও মনে হোত, যেন ইংরাজীয়ানার দৌরাতেই বুঝি এদেশে বৃদ্ধাশ্রমের আকাল দেখা দিয়েছে। ক্রমে বুঝেছি বৃদ্ধাশ্রমের বারবারন্তের ঘটনা আসলে, ইংরাজীয়ানার চাপের মুখে, গনশিক্ষার
সংকুচিত হওয়া এবং সাধারনভাবে জ্ঞানের অখন্ডতার বিষয়টি বিদ্যালয় শিক্ষার অভিমুখ থেকে সরে যাওয়া,
--- তার সাথে সাথে, শিক্ষার বিষয়টিতে অভিজাতদের একচেটে অধিকার কায়মে হতে থাকার পরিনাম।এইভাবে, বিদ্যালয়ের নিচুর ক্লাসগুলিতে, বিশ্ব পরিচিতির বিষয়গুলি যেমনভাবে, ইংরাজী বলানোর দাপটের সামনে কাবু হয়েছে, তেমনভাবেই বিজ্ঞান এবং ফলিত বিজ্ঞান থেকে সাহিত্য ও ইতিহাসের সংযুক্তির বিষয়টি দুর্বল হয়েছে।
হুড়মুড় করে ইংরাজী আসতে থাকায়, মাতৃভাষাকে যেমনভাবে জমিদার বাড়ীর ভোজসভা্র, অচ্যুতদের স্থানে টেনে নামানো হয়েছে, তেমনভাবে পড়ুয়ারাদের সিংহভাগ শিশুকাল থেকেই, জ্ঞান সম্পর্কে শুধু ভয় নয়, একটা হীনমন্যতার নিঃস্করুন বোঝা মাথায় নিয়ে বিদ্যায়তনের সাথে নিজের পরিচিতিকে চিহ্নিত করতে বাধ্য হচ্ছে।
ভয়ে ভয়ে হলেও, অনেক সময় মনে হয়, কোলকাতার সেই মধ্যবিত্ত দলটির নেতাদের আত্মসুদ্ধির পরামর্শ দিই, যারা প্রথমে মাতৃভাষাকে খাটো করে প্রাথমিক স্তরে ইংরাজী ঢুকাতে বাম-ফ্রন্ট সরকারকে বাধ্য করেছিলেন। সে সব নেতাদেরকেও পরামর্শ দেবো, যারা কমরেড জ্যোতি বসুকে ডক্টর অশোক মিত্র কমিশনের পরামর্শের বিপরীতে গিয়ে এই ইংরাজীয়ানার কাছে আত্মসমর্পনের পরামর্শ দিয়েছিলেন, তারাও যেন মানুষের কাছে না হোক, ইতিহাসের কাছে ক্ষমা চান।
প্রাথমিক স্তরে যখন ইংরাজীকে বাধ্য করা হোল, তখন 'ইংরাজী শেখানো' প্রশ্নের সাথে 'মাধ্যম হিসেবে ইংরাজীকে মিশিয়ে দেওয়া', সাথে সাথে প্রাথমিক স্তরে ছাত্র-ভর্তীর হার এবং সেই হারকে, ছাত্র-ছাত্রী নির্বিশেষে যাতে অন্তত মধ্যম মান পর্য্যন্ত ধরে রাখার বিষয়টিকে তুল্যমুল্যে বিচার করতে হোত।
এই সন্তলিত ব্যবস্থা, সরকার পরিচালিত বিদ্যালয় ব্যবস্থাগুলি থেকেই নিয়ন্ত্রিত হতে পারতো।শিক্ষার বিষয়টি যেহেতু কেবল বই দেখে পরিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, সেখানে একটি নিদৃষ্ট লক্ষ রেখে, পঠন-পাঠনের অভিমুখে বহূমুখীনতা নিয়ে আসা এব্ং সেই বহুমুখীন অভিমুখক যাতে আটকে গিয়ে গতানুগতিকতায় ডুবে না যায়, সে কারনে প্রয়োজনীয় সমন্বয় এবং নিয়ন্ত্রন দুটিরই প্রয়োজন হয়।
এই সমন্বয়ের প্রশ্নে যেঁ বিষয়গুলিকে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হোতঃ
প্রথমতঃ
সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা বানিজ্যিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রন করবে অথবা বিপরীত মেরু থেকে।
দ্বিতীয়তঃ
প্রথমটি আবার নির্ভর করবে, শিক্ষা নীতি জ্ঞানের সাথে অথবা শিক্ষা এবং জ্ঞানের বিযুক্তি করন। এই সুত্রেই প্রশ্ন উঠবে, ভাষা হিসেবে ইংরাজীকে সামগ্রিক জ্ঞানের বিচারে অথবা স্বাধীনভাবে সামগ্রিক শিক্ষা নিরপেক্ষভাবে ইংরাজীয়ানাকেই জ্ঞানের সমার্থক বিবেচনা করা হবে,।
তৃ্তীয়তঃ
শিক্ষা সামগ্রিকভাবে সামাজকে সেবা করবে, অথবা অভিজাতদের তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আলাদা শিক্ষার দরজা খুলে দিয়ে, ভারতকে শিক্ষার ক্ষেত্রে
পৃথক করে দেওয়া হবে।
চতুর্থতঃ স্বাধীনতার পর, যে নীতিতে শিক্ষাকে জ্ঞানের নিয়ন্ত্রক হিসবে বিদ্যালয় শিক্ষাকে সামাজিক শিক্ষার আধার হিসেবে গড়ে তোলা হবে, অথবা সাহিত্যের বানিজ্যিকিকরনের পর থেকে যা চলছে
---- যেন বাইরে ছরিয়ে পরতে থাকা, তথাকথিত 'স্বাধীন ও মুক্ত জ্ঞাননীতি, বিদ্যালয় বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উপর খবরদারী করতে দেওয়া হবে।
উপরের বিষয়গুলিকে খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে,
শিক্ষার সামগ্রিকতাকে জ্ঞানর সাথে যুক্ত করতে হলে, তবে তাকে নিশ্চিতভাবে
তাকে রবীন্দ্রনাথ-নেহেরু ভাবনায় বহুমুখীন হতেই হবে এবং এই বহুমুখীনতাকে
----- ফলিত বিজ্ঞানর সাথে যুক্ত হওয়ার পথে পরিচালিত হতে হবেই। সে পথ ধরে শিক্ষার জ্ঞানমুখীনতার পরিচিতি পেতে হবে সাহিত্য (সে মাতৃভাষা হোক কিংবা অন্য কোন ভাষা), ললিত কলার অন্য সব্য দিক। আকাশ বিদ্যা বা এস্ট্রনমি, যা পদার্থ বিদ্যার মুলভিত্তি - সে জন্য বিজ্ঞান শিক্ষাকে, আকাশ ও সাধারন জিওগ্রাফীকে ভিত্তি হিসেবে মানতে হবে। ইতিহাসকেও বিজ্ঞানের অংশ করে নিয়ে।
------ উভয়ের যুগলবন্দি, মনোবিদ্যার মিশ্রনে সাহিত্য এবং অন্যান্য ললিত কলার ভিত্তি হয়ে উঠবে।
সেখানে ভাষা বা LANGUAGE IS NOTHING MORE OR LESS THAN THE INSTRUMENT:
(a) TO CONCEIVE THE PHENOMENON IN THE PROCESS OF ITS SERIALIZATION, CONVERSION & RE-CONVERSION IN THE PROCESS OF SOCIAL PRODUCTION
(b) AND ALSO INSTRUMENT FOR EXPRESSION WHAT ONE HAS CONCEIVED.
সেখানে শিক্ষার বহুমূখীনতায়, সরকারী এবং বানিজ্যিক শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার দুই দিক, গনশিক্ষার সাথে যোগসুত্র, তার সাথে বহুমুখীনতা ইত্যাদির পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রন সব কিছুকে যদি মাথায় রাখতে হোতঃ
----- সরকারী বিদ্যালয় ব্যবস্থাটিকে শক্ত ভিত্তির উপরে দাড় করাতে হোত।
সেখানে শিক্ষাটাকে কোথায় নামানো হয়েছে,
---- পশ্চিম বাংলায় বাম ফ্রন্ট সরকার চলে যাওয়ার পর, শিক্ষক নিয়োগের হার থেকেইম বোঝা যাবে।প্রয়োজন থাকলেই তো নিয়োগ কর হবে। এটা ঠিক অনেক বিদ্যালয় শিক্ষকর অভাবে ধুকছে । কিন্তু সাধারনভাবে বলতে গেলে বলতে হয়
------ বিদ্যালয় ব্যবস্থাটা যেভাবে বানিজ্যিকরা দখল নিয়েছে,সেসব বিদ্যালয় মূলতঃ অভিজাতদের আখরা হয়েছে।জ্ঞান নির্মানের কেন্দ্র না হয়ে, বিদেশীদের যন্ত্র কেরানী নির্মানের কেন্দ্র হিসবে ব্যংগের ছাতার মতো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তৈরী হয়েছে,
------ তখন গ্রাম ভারতবর্ষের মানুষকে জ্ঞানগত অর্থে শিক্ষার সাথে যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তাই ফুরিয়ে গেছে। লেখক নিজে একটা বিদ্যালয় ব্যবস্থার সাথে যুক্ত বিগত তিন দশক ধরে, নিজ চোখে দেখেছেন কীভাবে
----- প্রাথমিক পর্বে ইংরাজীয়ানা ঢোকা এবং পরে বাম ফ্রন্ট উঠে যাওয়ার পর, শিক্ষার প্রশ্নে গ্রাম বাংলায় মানুষের মধ্যে পূর্বেকার আবেগটাই নষ্ট হয়ে গেছে।
লেখাটা শেষ করার পূর্বে আরো দুটি প্রশ্নের জবাব রেখে যাওয়া উচিত হবেঃ
প্রথমতঃ শিক্ষার সাথে বৃদ্ধাশ্রমের সম্পর্কটা কীভাবে আবিস্কার করলাম
দ্বিতীয়তঃ দেশে ব্যাংগের ছাতার মতো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অর্থ কী।
যদি মেনে চলা হয়, শিক্ষার জ্ঞানমুখীনতাহীনতাই , তথাকথিত অতিশিক্ষিতের মধ্যে,পিতা-মাতা থেকে বিচ্ছেদের কারন হয়ে গেছে
----- তবে মানতে হবে,
দেশে শিল্পপুজি বিনাশের সাথে সাথে আমদাস্নী নির্ভর উৎপাদন কাঠামো নিয়ন্ত্রক ভূমিকা নেওয়া, ইতিমধ্যেই, প্রযুক্তি গবেষনা শেষ হয়ে যাওয়ায়
---- যেসব ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবস্থা প্রাইভেটে হচ্ছে, তা মূলতঃ বিদেশের যন্ত্র কেরানী নির্মান এবং বিদেশী পণ্যের কমিশানিং এজনেন্ট নির্মানের জন্য।
আজকাল যে
----- অনেক ইংনিয়ারিং কলেজ বসে যাচ্ছ,তার প্রধান কারন, বিদেশীরা এখন আর কেরানী নিচ্ছে না।
শেষ পর্য্যন্ত শিক্ষার জ্ঞানহীনতা, সমাজকেই যখন ভেংগে দিচ্ছে, তখন ইংরাজীয়ানার ফরফরানী, পরিবারগুলিকে ভেংগে দেবে নাই বা কেন? (ক্রমশঃ)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours