ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

হটী চরম  বিপদেও ভেঙে  পড়ল  না! ধীরে  ধীরে  ঘনিষ্ঠতা গড়ে  তুলল ডাকাত  সর্দারের রক্ষিতার সাথে! জানল, তার  না রুকমিনী!সে  ব্রাক্ষ্মন - কন্যা!রাজস্হানী ! কিন্তু  জন্ম  ও বেড়ে  ওঠা  গৌড়বঙ্গের  মুর্শিদাবাদের  জিয়াগঞ্জে! মাত্র  আট  বয়সে  জিয়াগঞ্জেই  বিয়ে  হয় ! প্রথা মেনে  ষোল বছর  বয়সে 'গহনা' অর্থাৎ  দ্বিরাগমন  হয়!কিন্তু সাত বছর পূর্ন  হওয়ার  পুর্বেই   তার  জীবনে  চরম  বিপর্যয়  নেমে  এলো শাঁখা  সিঁদুরের  অধিকার  থেকে  বঞ্চিত করে  তার  স্বামী  অকালে  চলে  গেল! তার  দুই  সতীনের  একজন  সন্তানবতী  অন্যজন  সংসারে  প্রতিষ্ঠিতা! তাই  তাকেই  স্বামীর  চিতায়  সহমরনে  পাঠানোর  তোড়জোড়  শুরু হ'ল  শ্বশুরকূলে! তাকে  চিতায়  তোলার  আগে    সরবৎ জাতীয়  কিছু  নেশার  পানীয়  জোর  করে  খাওয়ানো  হয়েছিল  ! বাকীটা  তার  মনে  নেই  সর্দারের  কাছে  শুনেছে!
         সর্দার  জিয়াগঞ্জের  ঘাটে  ডাকাতির  উদ্দেশ্যে  জড়ো  হয়ে  সঙ্গীদের  সাথে  শলা-পরামর্শ  করছিল! গোলমাল  শুনে  সেখানে  হাজির হয়ে  রুকমিনীর  শ্বশুরবাড়ীর  পাইক বরকন্দাজদের  উপর  ঝাঁপিয়ে  পড়ে  রিকমিনীকে  উদ্ধার  করে! রুকমিনীকে  আর  স্বামীর  চিতায়  প্রবেশ  করে  প্রান  দিতে  হয়নি! সেই,থেকে  সে সর্দারের 'রাখেল '! তার  কোন  সন্তান  নেই  খেদও  নেই! সে  সর্দারকে  ভালবাসে! সর্দারও  তাকে  ভালবাসে! তার  যৌবন  শেষ  হয়েছে  তাই  সে  শেষ  জীবনটা  বেনারসে  বাইজী  বহিনের  কাছে  ফিরে  গিয়ে   ভজন  গেয়ে  বাকী  জীবনটা  কাটিয়ে  দেবে! (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours