জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা, দুর্গাপুর:

সত্তোর বছরের এই মহান  প্রজাতন্ত্র দিবসের ইতিহাসে
-----, এমন এক জন নেতাকে কখনো  নিমন্ত্রন জানানো হয় নাই। ইনি এমন এক রাষ্ট্র নেতা,, যিনি সরারসরি প্রজাতন্ত্রের সাধারন রীতিনীতি উল্লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন এবং সে কাজ নিরন্তরতায় চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিশ্চিত করে বলা যায়, পারস্পরিকতার
সুগন্ধির আকর্শন।
'আজকের 'দ্যা হিন্দু' সংবাদ করেছে, দুই দেশের প্রধানের মধ্যে নাকি 'জাতী নির্মান ' প্রসংগে মতবিনিময় হয়েছে। বলা হয়েছে, ভারতের 'মতো'  নাকি, উনার দেশের রাষ্ট্রীয়তার প্রশ্নে 'ধর্ম সমস্যা বিদ্যমান।  এমনিভাবে,
 ধর্মের বিষয়টির মধ্যে পারস্পরিক পরিচিতি বিদ্দমান।

শ্রী বোলসোনারো   দেশে কোটি মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে, সামরিক প্রশাসকের সাথে হাত মিলিয়ে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে জেলে ঢুকিয়ে দিয়ে,
এক ভূয়ো নির্বাচনের মহরায় নিজে লাতিন আমেরিকার সর্ববৃহৎ দেশ, ব্রাজিলের  প্রেসিডেন্টে বনে গেছেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ছিলেন, একজন ট্রেড ইউনিয়ন নেতা।
 জায়ের মেসিয়াস বোলাসোনারো, নিজেই একজন সামরিক ব্যক্তিত্ব।।
 অনেক মেহনতি মানুষ খুনের কারন হয়েছেন এবং অনেকে কারাগারের  অন্তরালে রেখেছেন। 
  বছর খানেক পূর্বে প্রেসিডেন্ট মনোনীত হওয়ার পর থেকে, লেতিন আমেরিকার দেশগুলিতে প্রতিবিপ্লবের শক্তি সমুহের নেতা বনে গেছেন। নিজে একটা দল গড়েছেন এবং তার নামটাই, কমিউনিষ্ট উচ্ছেদ দল।
ভেনেজ্যুয়েলার নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে,
আমেরিকা যখন যুদ্ধ ঘোষনা করলেন এবং সেখানকার সংসদের বিরোধী নেতাকে,
পাল্টা প্রেসিডেন্ট ঘোষনা করে সামরিক অভ্যত্থান হয়, তখন  এই প্রেসিডেন্ট  ব্রাজিলের মাটি ব্যবহার করতে দেন, ভেনিজুয়েলা অবরোধ করতে।
-------এমন খবর বাতাসে রয়েছে, ভেনুজুয়েলায়  সামরিক কুচকাওয়াজের সময়, রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে  খুন করার জন্য যে, ড্রোন আক্রমন হয়, সেটাও নাকি ব্রাজিলের ভূমি থেকে উৎক্ষিপ্ত হয়।
এ খবর তো সবাইকার জানা,ভলভিয়ার সাম্প্রতিক নির্বাচনে বামপন্থীদের জয়ের পর, আমেরিকার নেতৃ্ত্বে যেঁ সামরিক অভ্যুত্থান হয়, সেখানো 'প্রেসিডেন্ট' বোলসোনারোর যোগদান রয়েছে।
যেসব সমাজ বিজ্ঞানীরা,
সমকালিন ভারতীয়  রাজনীতি নিয়ে গবেষনা করছেন,
তারা শ্রীমোদি সরকারের আভ্যন্তরীন নীতির  নিদৃষ্ট কোনাগুলিকে চিহ্নিত করতে, ভেতরকার রাসায়নিক গড়নকে বুঝতে গিয়ে ,
 নিশ্চিত ভাবেই, যখন বর্তমান সরকারের , পররাষ্ট্র এবং যুদ্ধ নীতিকে
------- খুটিয়ে দেখতে চাইবেন, তাদের বোলসোনারোকে প্রজাতন্ত্রের পবিত্রতার সাথে যুক্ত করার বিষয়টিকে বিশ্লেষনে নিয়ে আসতে হবে।
এই 'প্রেসিডেন্টকে'   নিমন্ত্রন দিয়ে নিয়ে, আসার  পূর্বে, শ্রী মোদি সরকার,
---   আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এবারের প্রজাতন্ত্রে নিয়ে আসার জন্য ঝুলে বসে ছিলেন। শেষ পর্য্যন্ত এই চেষ্টা ফলপ্রসু না হতে পারার কারন এই নয়, যে এই 'মহাবৈঠকে' দুই পক্ষের কোন দিকের আপত্তি ছিলো । আসলে কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্থানকে চটিয়ে ভারতে আসতে চান নাই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
 রুচী দেখুন। এই ট্রাম্প সম্প্রতি আমেরিকার উভয় সভায়, ইম্পিচমেন্টে রয়েছেন। লোয়ার হাউসে, এইতিমধ্যে ইম্পিচমেন্টকে মঞ্জুরী দিয়ে দিয়েছে। সেনেটা আলোচনা চলছে।উনি বর্তমানে, আরব, বিশেষ করে ইরানের গনতন্ত্র নিধনে খুব ব্যস্ত। আর বিশ্ব সন্ত্রাসের অন্যতম পান্ডা হিসেবে পরিচিত, এই ডোনালান্ড সাহেবের ' ত্যা  হয়ে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচার করে এসেছেন।
--------- এদিকে  বিশ্ব সন্ত্রাসের রাজধানী হিসেবে পরিচিত ইসরাইলের সাথে ভারতের সখ্যতা এখন সর্বোচ্চ স্তরে ।
' দ্যা হিন্তু আরো জানিয়েছে'
 প্রেসিডেন্ট, বোলসোনোরোর সাথে স্ট্রেটেজিক পার্টনারসিপের চুক্তি হবে। কিসের এই পার্টনারসীপ, সে সম্পর্কে প্রশ্ন উঠবেই। বিশেষতঃ ভারত যখন একজন চিফ অফ স্টাফ নিয়োগ করে, দেশ যে যুদ্ধ কালিন অবস্থার দিকে ঝুকছে, বলে ইংগিত দিয়েছেন তখান
----- ধর্ম,  যুদ্ধ এবং পররাষ্ট্র নীতি যে ক্রমাগত পরস্পরের কাছে আসছে, তার ইংবিত পাওয়া যাচ্ছে;।
আজ ২৫শে জানুয়ারীর হিন্দু সংবাদ করেছেঃ
" Both Mr. Bolsonaro and Mr Modi have come under some
international criticism for religious politics and their nationalistic views
President  Bolsonaro and Prime Minister Modi share a close stand point with regard to sovereignty and Idea of Nation. Both have appraised  the concept of nationality.
দ্যা হিন্দু, এর পর প্রেসিডেন বোলসোনারোর উধৃতি দিয়ে লেখেন
" I believe those common values create an even more fertile  soil for what we can do along with India , in an way we have never accomplished before'

এখন নিশ্চিত করে বলা যায়, বিশ্ব ঘৃনিত এই ব্যক্তিকে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে নিয়ে আসা, শুধু ভারতীয় সংবিধাস্ন
ভেংগে দেওয়ার প্রশ্নে এক আন্তর্জাতীক স্বরযন্ত্রের ইংগিত নয়
----- ভারতীয় উপমহাদেশের চরম বিসৃ্খলা নির্মান এবং উপমহাদেশকে এক বহুমুখীন অস্থিরতায় ঠেলে দেওয়ার সংকেত। (ক্রমশঃ)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours