ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুর:

 মাস  পরের  ঘটনা! শ্রবনের  সন্ধ্যা  থেকে সারা রাত্রি  অঝোর  বর্ষনে  বিপর্যস্ত  গ্রামের  পর  গ্রাম! ভোর  বেলায়  বৃষ্টিতে  ভিজেই  রূপেন্দ্রর  বাড়ীতে  হাজির  নকড়ি  ঘোষাল!
     নকড়ি  হটীর  ভাসুর  তাঁর এই  দুর্যোগে আগমনে  চমকে  উঠলেন  রূপেন্দ্র! তাঁর  নিকট  জানতে  পারলেন  গতকাল  রাতে  পালঙ্ক  থেকে  পড়ে  গেছেন  তাঁর  পিতা  পাঁচকড়ি ঘোষাল! রূপেন্দ্র  তৎকক্ষাৎ  তাঁর সাথে  রওনা  দিলেন  তিজলহাটির  উদ্দেশ্যে!
      সেখানে  গিয়ে  জানতে  পারলেন  পাঁচকড়ি  ঘোষাল  লোকান্তরিত  হয়েছেন! পাঁচকড়ি  ঘোষাল  অসুখে  মারা  গেলেও  তার  দায়  এসে  পড়ল  হটী  আর  রূপেন্দ্রর  উপর! সৌম্যসুন্দরের  পিসিমাতো  রূপেন্দ্রর  মুখের  সামনে  হটীকে  গালমন্দ  করে  বিষকন্যা, অপয়া  ইত্যাদি  বললেন!
        ইতিমধ্যে  সেখানে  পাঁচকড়ি  ঘোষালের  ভাই তিনকড়ি  এসে  রূপেন্দ্রকে  ঘরে  বসার  জন্য  নিয়ে  যেতে  চাইলে রূপেন্দ্র  জানতে  চাইলেন, হটীকে  কি  এখানে  নিয়ে  আসবেন? তিনকড়ি  নিষেধ  করলেন! তিনি  বললেন," সৌম্যসুন্দর  কৃষ্ননগর  থেকে  এলে  তারপর  সিদ্ধান্ত  নেওয়া  যাবে!"
      অশৌচাবস্হায়  কনিষ্ঠা পুত্রবধু  কেন  শ্বশুরবাড়ী  এসে অশৌচ পালন  করল  না  এনিয়ে  সোঁয়াই  ও  তিজলহাটির  ঘরে  ঘরে  মেয়েদের  ঘোঁট!
       রূপেন্দ্র  চেয়েছিলেন, হটীকে  তিজলহাটি  পাঠাতে! কিন্তু  বাদ  সেধেছিলেন  ওই  গ্রামের  জমিদার  মিত্র  মশাই সৌম্যের  কেন্দ্র বড়পিসিমার  রণচন্ডী  মূর্ত্তি  তিনি  দেখে ছেন! মালতীও  বারন  করেছিল! তবুও  দ্বিধায়  ছিলেন  রূপেন্দ্র! সমাধান  করে গেল  সৌম্যসুন্দরের  চিঠিতে! সে  ঘোড়সওয়ার  পাইকের হাতে শ্বশুর  মশাইকে চিঠি  দিয়ে  অনুরোধ  করেছে  এখন  যেন  ঘোষালবাড়ীর  ছোট  বৌকে  না  পাঠানো  হয়!
      শ্রাদ্ধের  দুদিন  পূর্বে  গ্রামের  জমিদার  মিত্র  মশাইয়ের  পুত্র  প্রফুল্লকান্তি  ও  সৌম্যসুন্দরের  এক জ্ঞাতি ভাই  নিমন্ত্রন  করতে  এলো! প্রফুল্লকান্তি  আড়ালে  রূপেন্দ্রকে  জানালেন ,তাঁর  বাবা  মৌখিক  পরামর্শ  দিয়েছেন,সবান্ধব  নিমন্ত্রন  হলেও  তিনি  যেন  একা  আসেন!
(চলবে)
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours