ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য ফিচার রাইটার দুর্গাপুরঃ
চতুষ্পাঠী আর চিকিৎসা নিয়ে কয়েকটা বছর পেরিয়ে গেল রূপেন্দ্রর! মালতী মালতী ত্রিবেনীতে প্রত্যাগমন করেছেন এবং সন্তান প্রসব করেছেন,! তাঁর সন্তানও প্রতিপালিত হচ্ছে ত্রিবেনীতে জগন্নাথ তর্ক পঞ্চাননের গৃহে! মালতী রূপেন্দ্রর প্রতি তাঁর অনুরাগকে দমন করে মনের গোপন গহনে লালন করতে বাধ্য হয়েছে কারন সে অনুভব করেছে সমাজ তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেবে না! সবচেয়ে সমস্যায় পড়বে হটী আর তাঁর সন্তান!
বর্তমানে হটী দশম বর্ষীয়া বালিকা এবং তার বাল্যসখা শুভ স্বামীর চতুদর্শ বর্ষীয়! দুজনেই ব্যাকরন ও তর্কশাস্ত্র শেষ করেছে!
দুজনে দুজনকে ভালবাসে সেটা বিলক্ষন বোঝেন রূপেন্দ্র তাই মনে মনে কিছুটা স্বস্তিও পান, তাঁর মা হারা কন্যাটিকে যোগ্য পাত্রের হাতেই সমর্পন করে তিনি নিশ্চিন্তে মহিলা মহাবিদ্যালয় ও আরোগ্য নিকেতন আর মানুষের সেবা করে বাকী জীবনটা পার করে দেবেন!
পদব্রজে কন্যাদায়গ্রস্হ পিতা রূপেন্দ্র তারাপ্রসন্নের বাড়ীর সামনে এসে হাজির হলেন! দরজার সামনেই শুভাপ্রসন্নের সাথে দেখা হলে শুভাপ্রসন্ন গুরুদেবের পদধূলি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করতে অনুরোধ করলো!
আহ্নিক সেরে বাড়ীর বৈঠক খানায় রূপেন্দ্রর সাথে দেখা করে এত সকালে আগমনের রোগী জানতে চাইলেন!পরক্ষনেই বললেন, শুনবো আহ্নিক করে এসেছো নিশ্চয়ই, আগে তিনি প্রসাদ মিষ্টান্ন গ্রহন করো!
রূপেন্দ্র উত্তরে জানালেন, ভরপেট মিষ্টান্ন গ্রহন করবেন, তার আগে ভিক্ষার আর্জিটা পেষ করি!
'ভিক্ষা'?আকাশ থেকে পড়লেন জমিদার তারাপ্রসন্ন ভাদুড়ী! এরপর রূপেন্দ্রকে সবকিছু খুলে বলার প্রয়োজন হয়নি , আন্দাজ করতে পারলেন তারাপ্রসন্ন!
তিনি বুঝতে পারলেন, রূপেন্দ্র তাঁর পুত্র শুভপ্রসন্নের সাথে তাঁর একমাত্র কন্যা রূপমঞ্জরীর বিবাহ দিতে চান! তারা প্রসন্ন স্বীকার করলেন, পাঁচটি গ্রাম ঘুরেও মামনির মতো রূপবতী গুনবতী মেয়ে পাওয়া দুস্কর, .মামনি পুত্রবধূরূপে পাওয়া আমার সৌভাগ্য কিন্তু ...
কিন্তু কি? ভাদুড়ী মশাই..বললেন রূপেন্দ্র
আমি অপারগ এ বিয়ে হওয়া সম্ভব নয়! কেন সম্ভব নয়?...জিজ্ঞাসা করলেন রূপেন্দ্র!
কারন তোমরা রাঢ়ী শ্রেনীর আর আমরা বারেন্দ্র ব্রাক্ষ্মন! জানালেন তারাপ্রসন্ন!
অনেক অনুনয় বিনয় করেও ব্যার্থ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ঘরে ফিরলেন রূপেন্দ্র! ঘরের দরজার আড়াল থেকে সব শুনেও গুরুদেবকে প্রনাম,করলো শুভ প্রসন্ন! আশীর্বাদ করলেন রূপেন্দ্র তিনি লক্ষ্য করলেন, শুভাপ্রসন্নের চোখদুটি অশ্রুজলে টলটল করছে!
চতুষ্পাঠী আর চিকিৎসা নিয়ে কয়েকটা বছর পেরিয়ে গেল রূপেন্দ্রর! মালতী মালতী ত্রিবেনীতে প্রত্যাগমন করেছেন এবং সন্তান প্রসব করেছেন,! তাঁর সন্তানও প্রতিপালিত হচ্ছে ত্রিবেনীতে জগন্নাথ তর্ক পঞ্চাননের গৃহে! মালতী রূপেন্দ্রর প্রতি তাঁর অনুরাগকে দমন করে মনের গোপন গহনে লালন করতে বাধ্য হয়েছে কারন সে অনুভব করেছে সমাজ তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেবে না! সবচেয়ে সমস্যায় পড়বে হটী আর তাঁর সন্তান!
বর্তমানে হটী দশম বর্ষীয়া বালিকা এবং তার বাল্যসখা শুভ স্বামীর চতুদর্শ বর্ষীয়! দুজনেই ব্যাকরন ও তর্কশাস্ত্র শেষ করেছে!
দুজনে দুজনকে ভালবাসে সেটা বিলক্ষন বোঝেন রূপেন্দ্র তাই মনে মনে কিছুটা স্বস্তিও পান, তাঁর মা হারা কন্যাটিকে যোগ্য পাত্রের হাতেই সমর্পন করে তিনি নিশ্চিন্তে মহিলা মহাবিদ্যালয় ও আরোগ্য নিকেতন আর মানুষের সেবা করে বাকী জীবনটা পার করে দেবেন!
পদব্রজে কন্যাদায়গ্রস্হ পিতা রূপেন্দ্র তারাপ্রসন্নের বাড়ীর সামনে এসে হাজির হলেন! দরজার সামনেই শুভাপ্রসন্নের সাথে দেখা হলে শুভাপ্রসন্ন গুরুদেবের পদধূলি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করতে অনুরোধ করলো!
আহ্নিক সেরে বাড়ীর বৈঠক খানায় রূপেন্দ্রর সাথে দেখা করে এত সকালে আগমনের রোগী জানতে চাইলেন!পরক্ষনেই বললেন, শুনবো আহ্নিক করে এসেছো নিশ্চয়ই, আগে তিনি প্রসাদ মিষ্টান্ন গ্রহন করো!
রূপেন্দ্র উত্তরে জানালেন, ভরপেট মিষ্টান্ন গ্রহন করবেন, তার আগে ভিক্ষার আর্জিটা পেষ করি!
'ভিক্ষা'?আকাশ থেকে পড়লেন জমিদার তারাপ্রসন্ন ভাদুড়ী! এরপর রূপেন্দ্রকে সবকিছু খুলে বলার প্রয়োজন হয়নি , আন্দাজ করতে পারলেন তারাপ্রসন্ন!
তিনি বুঝতে পারলেন, রূপেন্দ্র তাঁর পুত্র শুভপ্রসন্নের সাথে তাঁর একমাত্র কন্যা রূপমঞ্জরীর বিবাহ দিতে চান! তারা প্রসন্ন স্বীকার করলেন, পাঁচটি গ্রাম ঘুরেও মামনির মতো রূপবতী গুনবতী মেয়ে পাওয়া দুস্কর, .মামনি পুত্রবধূরূপে পাওয়া আমার সৌভাগ্য কিন্তু ...
কিন্তু কি? ভাদুড়ী মশাই..বললেন রূপেন্দ্র
আমি অপারগ এ বিয়ে হওয়া সম্ভব নয়! কেন সম্ভব নয়?...জিজ্ঞাসা করলেন রূপেন্দ্র!
কারন তোমরা রাঢ়ী শ্রেনীর আর আমরা বারেন্দ্র ব্রাক্ষ্মন! জানালেন তারাপ্রসন্ন!
অনেক অনুনয় বিনয় করেও ব্যার্থ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ঘরে ফিরলেন রূপেন্দ্র! ঘরের দরজার আড়াল থেকে সব শুনেও গুরুদেবকে প্রনাম,করলো শুভ প্রসন্ন! আশীর্বাদ করলেন রূপেন্দ্র তিনি লক্ষ্য করলেন, শুভাপ্রসন্নের চোখদুটি অশ্রুজলে টলটল করছে!
Post A Comment:
0 comments so far,add yours