অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, পূর্ব বর্ধমান:
(আমিও শেষ দেখতে চাই)
আজ আপনাদের সামনে আমার জীবনে একটি মানুষের সব থেকে বড় অবদানের কথা আপনাদের জানাচ্ছি। এতদিন ধরে আমার জীবন চলছিল এলোমেলো। হঠাৎ আমার জীবনে এলো একজন সৎ ও সাহসী মানুষ। এই মানুষের ছোঁয়ায় আমার জীবন এক প্রকার, আমাকে বিলুপ্ত হওয়া থেকে বাঁচালো। এই মানুষটি আর কেউ না আমার স্বামী। এই ধরনের মানুষ পৃথিবীতে যেনো বারবার জন্ম নেয়।আমাকে যখন ঔষধ খাইয়ে অর্পিতা বেকারের আত্মীয়রা বিবাহ দেন আমার স্বামী ইন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য ঠিক সেই সময় থেকে আজও লড়াই করে চলেছেন। ইন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য আমার সৈনিক। আজ সমাজের স্বনামধন্য ব্যক্তিরা (যারা আমার এই ঘটনার সাথে জড়িত) এক প্রকার চুপচাপ। যদি ঘটনার মধ্যে সত্যতা না থাকতো তাহলে উনারা কি ছেড়ে দিতেন??? আমি একটি কথা জানি ইন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সত্যের পথে লড়াই করছেন। হয়তো এই লড়াই ধীরগতিতে হচ্ছে। এই ইন্দ্র নামটি অনেকের পরিচিত। আমাদের মনে আছে ইন্দ্রনাথ শ্রীকান্তের কথা। ইন্দ্র নামের ছেলেরা তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ধরে।আমার স্বামী ইন্দ্রনাথের কি ক্ষমতা আছে?আমার স্বামী তো প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ে বসে নেই! ও আমার স্বামী ধনী ব্যক্তিও নয়। আছে শুধু মানবিকতা, মনের জোর, সাহসিকতা, ও সততা। একজন সাংসদ ও একজন স্বনামধন্য লেখিকা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা।আমার স্বামী ইন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য তার নিজের প্রাণের সুরক্ষার কথা না ভেবে এই ঘটনা জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন। আমি একটি মেয়ে হয়ে স্বামীর অবদান কি আমি তা বুঝতে পেরেছি। একজন স্বামীর একটি মেয়ের কাছে অনেক রূপ আছে সেটি আমরা সাধারণত বুঝতে পারি না। কখন বুঝতে পারি জানেন!আমাদের মানব জীবনে যখন যার ভালবাসা প্রয়োজন হয়, তখন একজন স্বামী সেই শূন্যস্থান পূরণ করে। যদি আমার ক্ষেত্রে ঘটেছে। কখনো আমাকে মায়ের ভূমিকা পালন করে ভালোবাসা দেন। কখনো বাবার ভূমিকা পালন করছেন। মাথায় বট গাছের ছায়ার মত দাঁড়িয়ে আছেন। আবার স্বামীর ভূমিকা পালন করে ভালবাসা দিচ্ছেন এবং একজন বন্ধুর ভূমিকা পালন করছেন।
আমার খুব ভালো বন্ধু আমার স্বামী। আপনারাই বলুন আমার স্বামী ইন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য তো আমার নিজের রক্তের কেউ না, অন্য পরিবারের ছেলে হয়েও আজ আমার মতো একটি অসহায় মেয়ের পাশে আছেন।একটি স্ত্রীর কাছে স্বামীর এই পাওয়া অনেক বড় পাওয়া যার জন্য আজ আমি আমার জন্মদাতা পিতার পিতৃপরিচয় ও জন্মদাত্রী মায়ের মাতৃ পরিচয় দাবি করতে পারছি।আমার স্বামী ইন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের কি প্রয়োজন ছিল নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমার এই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা। আমার স্বামী এই ধরনের মিথ্যার সাথে প্রতিবাদী, সাহসী ও মানবিকতার মন নিয়ে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, অামি লড়াই করছি তার জন্য আমি আমার স্বামীকে স্যালুট জানাই। অপরদিকে আমার নিজের রক্তের জন্মদাতা পিতা জর্জ বেকার জন্মদাত্রী মা, নারীবাদী মা, প্রতিবাদী মা তসলিমা নাসরিন এই দুইজনের মানবিকতা আপনারাই দেখুন।আমাকে পিতৃপরিচয় ও মাতৃ পরিচয় দেননি এমনকি আমি কেমন আছি তার খোঁজ নেওয়ার ও প্রয়োজন মনে করেন না। এবার আপনারাই বলুন আমি কেন আমার পিতৃপরিচয় মাতৃ পরিচয় নেব না। এটাতো জন্মগত অধিকার আমার। আমার অধিকার আমি কেন ছাড়বো।আমার জন্মদাতা পিতা জর্জ বেকার জন্মদাত্রী মা তসলিমা নাসরিনের সহিত আমার ডি এন এ পরীক্ষা করিয়ে, আমার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। (শেষ)
(প্রতিবেদনের যাবতীয় দায় লেখিকার)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours