জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:

 একটা খুবই ছোট  ঘটনা । সাধারন চোখে নিজের খাছেও খুব তুচ্ছ মনে হয়েছিলো। কিন্তু হটাৎ করেই, সেই অতি কিঞ্চিত চোখে পরে যাওয়া ঘট্মনাটাই বাংলার
-----    পলিটিক্যাল-ইকোনোমিক্সের ব্যবহারিক প্রয়োগে 'পলিটিক্স' অংশের, আরো স্পষ্ট করে বোঝালে, অর্থশাস্ত্রের প্রয়োগে, 'উৎপাদন' অংশ থেকে '  'বন্ঠনের'  বিচ্ছেদ ঘটানোর কারনে,, দেশের সাধারন রাজনৈ্তিক বিপর্য্যয় যে  কিভাবে ভাবগত বিপর্য্যয় নিয়ে আসছে, সেই বিপর্য্যয় যে কী ভাবে
-----  স্কুল কলেজের শিক্ষা কাঠামোটাকেই ভেংগে চুড়মাড় করে দিচ্ছে, তাই নয়, সেটা বিদ্যায়তন ব্যবস্থাতেই সব সামজিক সম্পর্কে ভেংগে ফেলতে উদ্ধত হয়েছে,
----   চোখের একটি দেখাকে এগিয়ে দিতে গিয়েই পুরো চিত্রকল্পটি যেন চোখের সামনে ভেষে উঠলো। এই সুত্রেই, মনে হোল বিষয়টি সরাসরি সামাজিক হলেও, সামাজিক স্তর থেকে এর বিলোপের ক্ষমতা চলে যাওয়ায়,  রাষ্ট্রকেই ব্যবস্থা নিতে হয়। সেটা একটা  স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আইনকে সর্বশক্তি দিয়ে প্রয়োগেই সম্ভেব।
সেই তুচ্ছ ঘটনাটি ইতিমধ্যেই মাথা থেকে চলে গেছে। কিন্তু দেখলাম, কাছের এক বন্ধুকে জানাতে গিয়েও এমন সব আমায় জানিয়ে দিলে যা
------ বর্তমানে মনের 'রঙমহল' সংক্রান্ত আলোচনাকে সমৃদ্ধ করবে।
জানলাম ও বুঝলাম, শিক্ষাকে  জ্ঞানের সাথে যুক্ত করার বিষয়টি ব্যবস্থার পক্ষে বিপদজনক হয়ে পরছে এবং পরিনাম হিসেবে , পরীক্ষায় নম্বর পাওয়া থেকেও নম্বর দেওয়ার আগ্রহ সতজতা লাভ করছে,
------ তখন সত্বঃসিদ্ধভাবে, আগেকার দুষ্টুমী সমহ  ব্যাধীতে বদলে যাবেই। আমাদের সময়, খুব ভালো ছেলেদেরকেও একটা দুটো সিগারেট খেতে দেখেছি। সেটা ওদের জ্ঞান ও বোধের ক্ষুরধারের সাথে মিলিয়ে যেতো। বাড়ী বা শিক্ষকরা জানলেও না দেখা বা না জানার ভান করতেন।
সেই বন্ধুর খবরের সাথে যা কখনো কখনো শুনি, তা থেকে দেখছি, ছবিটা উলটে গেছে। যারা যত পড়াশুনায় খারাপ,  তাদের মধ্যেই যদি এই ব্যধী প্রবেশ বেশী করে থাকে তাতেই আরো বিপদের কারন বলে মনে হোল।
------ সাধারন ভাবে সিলেবাস যে ভাবে নির্মান হচ্ছে, সেখানে কোন পূর্ণ জ্ঞানের সর্ত ক্রমেই কোনঠাসা হয়ে পড়ছে, সেখানে সাধনার যায়গাটা ততটাই খালি হবেই। তখন অন্য কিছু প্রবেস করবে। বিড়ি-সিগারেট খাওয়া যেমণ শূণ্যতা পুরন করে তেমনি 'মোবাইল'।
-----  আজকাল ক্রমেই তেমন অভিবাবকের সংখ্যা বাড়ছে, যারা প্রথমে নিজে থেকেই ছেলে-মেয়ের খবর রাখা ছেড়ে দেয়, পরে যখন পরিস্থিতি হাতের বাইরে যায়, তখন এই বিশ্বাস নিয়ে বসে থাকেন , যেন বিদ্যালয়, তাদের কাজটা সেরে দেবে। অন্যদিকে হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরুচ্ছে, ভারতীয় আইন 'আমেরিকার' সমগোত্র ধরে নিয়ে। শেষমেশ ছাত্র-ছাত্রী, বিশেষত ছাত্ররা বাড়ী থেকে বেড়িয়ে আদপেই বিদ্যালয় যাচ্ছে কী না, সেখবর রাখাও বন্ধ করেন ।
-----  এখন শুনছি, রাস্তার ফাকে কোনে বা পার্কে ছেলে-মেয়েদের একযোগে সিগারেট খাওয়ার  উঠতি ঝোক নাকি উচ্চ বিদ্যালয় তো বটেই, আজকাল নাকি স্কুলেও ঢুকতে সুরু করেছে।ট্যাকনিক্যাল কলেজগুলিতে নাকি, এটা একটা আভিজাত্যের দিকে  মোর নিচ্ছে।
----- কোর্টে-কাছারি এবং অভিভাবকদের অভিবাবকত্বের ঠেলায় অনেক বিদ্যালয়েই শিক্ষকদের অনেকেই যখন  নন-এসারটিভ হয়ে যাচ্ছেন পঠন পাঠনের প্রশ্নেও, তখন ওসব নৈ্তিকতার বিষয়ে নাক গলানোটাকে অনেকেই এড়িয়ে থাকার বিষয় মনে করছেন।
-----  মনে হচ্ছে, পঠন পাঠনের স্বার্থেই, প্রকাশ্যে বিড়ি সিগারেট না খাওয়ার আইনটিকে গায়ের জোরে কার্য্যকরী করার প্রশ্নে প্রশাসন, অভিবাক, সাধারন ছাস্ত্র-ছাত্রি শিক্ষকদের সহমত হওয়া দরকার। আজকাল, আমার কানেও এসেছে - ১০/১১/১২ ক্লাসের ছাত্ররা বিদ্যালয়ের টয়লেটকেও এসব সেবন করে থাকে - সেজন্যে এই আইনের সজোর প্রয়োগে  যদি বিদ্যাল্য় নিজে পিছিয়ে পরে, তবে প্রশাসনিক সাহায্য নিতেই হবে।

যাইহোক, আজকের লেখা যে স্কুল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের একসাথে বিড়ি সিগারেট খাওয়া নিয়ে নয়। আগেই বলেছি, যারা জ্ঞানে-গুনে নিজেরা স্বয়ংসম্পুর্না তাড়া সেরকম হতেই পারেন।

বড় বিপদ এখান থেকে, সাধারন ভাবে মানুষকে, বিবেকহীনতা ও গাধার  খোয়ারের বাসিন্দা বানানো, সংসদীয় ব্যবস্থাকে 'শুয়োরের খোয়ার বানানোর সাধারন লক্ষপথ ধরে যখন
---- এই বিপর্য্যয়করভাবে সামাজিক সম্পর্কগুলিকে বিকৃ্ত করে  দিতে ব্যবস্থাই যখন শিক্ষা ব্যবস্থায় পঁচন ঢোকাতেই এসব রাস্তা উন্মুক্ত করতে থাকেন, তখন
সমাজকে মহাবিপর্য্যয়ের পথে ঠেলে দেবেই।
এই সুত্রেই বলি, কার্য্য-কারন সম্পর্ককের মধ্যে আজ সামাজিক বিষয়গুলিকে পরিমাপ করার চেষ্টা না হয়, তবে যা ঘটার সেই শ্রোতে গা ভাষিয়ে দেওয়াটাই যেন যুক্তিযুক্ত মনে হবে।

 গতকাল সন্ধ্যায়, দেখার বিষয়টিকে বলে নিয়ে বিষয়ে চলে আসার সুযোগ করে নেওয়া উচিত হবে বলে মনে হয়।
------, আমরা দুই বন্ধু, পাড়ার ঠিক মোড়ে, সিনেমা হলের সামনে চৌ - মাথার মোড়ে, ২০/২২ বছরের, আপাদমস্তক সাজগোজ ও লিপষ্টিক মোরা ঠোটে অনর্গল, পাশে বসে থাকা দুই যুবকের এবং অনেকের সামনে অনর্গল সিগারেট খেতে এখেহিলাম, নিঃসংকোচে।

তবে বিষয় কোথায় দাড়িয়েঃ
বিষয় এটাই। আজকের দিনে ইতিহাসের দিক থেকে বাতিল হয়ে যাওয়া, অর্থনৈ্তিক ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে, ব্যবস্থার বিশ্ব শিরোমনি, নিজ দেশে এবং ,বিশ্বের সর্বত্র মিলিটারি ব্যবস্থার সাথে সাথে তার কাঠামো নির্মান করতে যত ব্যয় করতে হয়
------ তা থেকেও,শতগুন অর্থ ব্যয় করে, শিক্ষা-জ্ঞান- সংস্কৃতিকে বিকৃ্ত করে ভাবপ্রবাহকে সেই ইতিহাসগতভাবে বাতিল হয়ে যাওয়া বিকৃ্ত হয়ে যাওয়া   ব্যবস্থাটিকে  টিকিয়ে রাখার পরিকাঠামো নির্মানে খরচা করতে হয়।
বিদ্যাস্লয় ব্যবস্থা থেকে বিদ্যা উৎপাটন করা একটা দিক মাত্র। দু;খ করার কোন কারন নেই,এটা কেবল ভারতের বিপর্য্যয় নয়। বিলেতের সমাজ বিজ্ঞান সংক্রান্ত গবেষক, যিনি এই লাইনে বিশ্ব পুরস্কার দাবী করেছেন, দাবী করেছেন, - আগামী ২০ বছরের মধ্যে  ইংল্যান্ডের বিদ্যালয় ব্যবস্থায় 'গাধা' বই অন্য কিছু নির্মান করতে পারবে না।
------- বিদ্বজনেরা অবগত, বিলেতের 'গাধার' জ্ঞানের সাথে ভারতীয় গাধার তুল্য মুল্য খুব জোর একটা 'টিকটিকি' হতে পারে। সেখানে, দীর্ঘদিন পূর্বে গনতান্ত্রিক বিপ্লব হয়ে যাওয়ায়, গনশিক্ষা প্রায় শতভাগ। আমাদের স্কুলে গতির নিয়মগুলি শেখাতে বিদ্যালয়কে যখন অষ্টম মান পর্য্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়, সেখানে কিশোর কালের  মধ্যেই আংগুল ধরে এগুলি শিখে নেয় । এখন যখন আমাদের বিশ্ব অভিবাবকটির নেতৃ্ত্বেই বিদ্যা নিধন অভিযান চলছে।
উদ্যেশ্যটা স্পষ্ট -
যদি পুঁজিতন্ত্রকে, তার অতিহিংস্র মস্তিস্ক নিয়ে টিকে থাকতে হোত, তবে কেবল যে মিলিটারী শক্তি প্রয়োগে সম্ভব হোত না, -সেটা পুজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থার নব্য অভিবাবকটি ভিয়েত্নাম - লাওস যুদ্ধের পর
হাড়ে হাড়ে বুঝে নিয়েছিলো
----- সে কারনে, বিশ্ব ব্যবস্থায় 'আধুনিক বিশ্বাসের' যায়গাটাকেই বিকৃতিতে বদলে দেওয়াটাই প্রথম সর্ত হয়ে উঠেছিলো। সেই বিকৃ্তির অভিমুখটি , সোভিয়েত ভেংগে যাওয়ার পর আমেরিকান অর্থনীতিবাদীর সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছিলেন।
----- বিশ্ববোধ সংক্রান্ত  কিছু কল্পিত ধারনা, তো ঘোষনা তো করে দেওয়া হোল, কিন্তু মিথ্যাকে 'বিশ্ব ব্যবস্থার' বিশ্বাসে বদল;এ দিতে যে ব্যবস্থাগুলি নেওয়া হোল,
----- সেগুলিকে যতসময় ভেংগে চুড়মার করা না যাবে, ততদিন,  মনুষ্যজাতি এবং মানবিকতাকে কোন ক্রমেই রক্ষা করা সম্ভব হবে না।   এই সুত্রেই শিরোনামায় দাবী করা হয়েছেঃ
------ কার্য্যকারন সম্পর্ককে এড়িয়ে গিয়ে, বিষয়গত  ধাস্রনা করা কার্য্যতঃ অসম্ভব। ভারত এবং বিশ্বজনমতের সব বজ্জাতির উৎস সোভিয়েত ভেংগে যাওয়ার জন্যে লুটেপুটে খাওয়ার ভাবকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়াঃ
----- ভাবের দিক থেকে দুটি ইতিহাসগত সর্তকে সামনে রেখে বিশ্ব মিলিটারি তন্ত্র ইতিহাসের গতিকে রোধ করতে চাইছেঃ
প্রথমতঃ  সোভিয়েতের পতন নাকি ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটিয়েছে।
দ্বিতীয়টিঃ প্রথমটি থেকে উদ্গতঃ যদি মেনে চলতে হয়, ইতিহাসের এখানেই পরিসমাপ্তি, তবে একই সুত্র ধরে সামনে চলে আসেঃ 'দাসত্বেই ইতিহাসের শেষ।
পরের অংশে আলোচনাস করবো। কীভাবে, বিশ্বপুঁজির এই লক্ষপথ ধরেই,
মিলিটারী তন্ত্র, বিশ্বের শিক্ষা ও জ্ঞান এবং সংস্কৃতির  সাথে যুক্ত, অর্থনীতি  প্রকৃ্তি বিজ্ঞান , এবং ইতিহাসে বিকৃ্তি ঘটিয়েই
------ উল্লেখিত দুটি মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেই হবে। মানুষকেও একে আটকিয়েই বাঁচার চেষ্টা করতে হবে। একটু তলিয়ে দেখলে বুঝতে হবে, এবাড়ে লড়াই - জীবন এবং জীবন বোধের  অলিন্দে অলিন্দে -  ভাব এবং জীবনের সর্ব-ক্ষেত্রে ।  মুক্তির অন্য কোন পথ খোলা নেই। (ক্রমশ)



Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours