ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য ফিচার রাইটার দুর্গাপুরঃ
. রূপেন্দ্র বাড়ীতে ফিরে এলে হটী তার বাবাকে তীক্ষ্ন দৃষ্টিতে লক্ষ্য করে কিছু বুঝতে পারলো না অদ্ভুত ধরনের মানুষ বাইরে থেকে তিনি বোঝা মুশকিল! মানুষটার মনের ভিতরে কি চলছে! কিন্তু হটী জানে সাত সকালে বাবা কোথায় গেছিল কেন গেছিল! সে বাবার মুখের মধ্যে একটা আনন্দের ছাপ প্রত্যাশা করেছিল!তিনি মুখমন্ডলে তার কোন রেশ নেই!
দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজের পর শোভারানী একটু শুতে গেলেন! রূপেন্দ্র কন্যা হটীকে কাছে ডাকলেন,"কাছে আয় মা , তোর সাথে কথা আছে!"হটীরও খুব কৌতুহল ছিল! পিতা পুত্রী বসলেন ঘরের পালঙ্কে নয়, মেঝেতে মাদুরে! রূপেন্দ্র সব কথাই খুলে বললেন, প্রানাধিক কন্যাকে!শুনে, বজ্রাহতার মতো স্তব্ধ,হয়ে গেল হটী!এমনটা হতে পারে দুঃস্বপ্নেও ভাবে নি হটী!
সব শুনে মাদুরের উপর আঁচড় কাটকে কাটতে হটী বলল,তাহলে কাল থেকে কি শুভদা আর আপনার কাছে পাঠ নিতে আসবে না?সে কি অন্য চতুষ্পাঠীতে পাঠ নেবে?
সেটা শুভাপ্রসন্নর ইচ্ছা আর তারাদার অনুমতিসাপেক্ষ! সে ত্রিবেনী, ভাটপাড়া, নবদ্বীপ বা কৃষ্ন নগরে যেতে পারে আবার জমিদারীর সেরেস্তার কাজও শিখতে পারে!
হটী মাদুরের নকশায় আঙ্গুল বুলাতে বুলাতে বলল, "আমি কি আর শুভদার সাথে কথা বলব না?"
রূপেন্দ্র বলল, তা কেন, আর পাঁচটা ছেলের সাথে যেমন কথা বলিস তেমন বলবি, গল্প গুজব করবি!
তাহলে শুভদাকে পাঠ নিতে আসতে বারন করলে কেন? - পাল্টা প্রশ্ন করল হটী!
আমি তাকে বাড়ী আসতে বারন করিনি, শুধু তোদের যাতে আর ঘনিষ্ঠতা না বাড়ে সেটার জন্য বলেছি আর পাঠ দিতে পারব না! তোদের বন্ধুত্ব যখন মধৃর পরিনতির দিকে যাবে না, তখন তোদের দুজনকেই অতীতকে ক্রমশ় ভুলে১ যেতে সুযোগ দেওয়া উচিত!
একটু থেমে রূপেন্দ্র আবার বলতে শুরু করল, " মা তুই পিতু খুড়োর মেয়ে মীনু পিসির নাম শুনেছিস?"
মিনু দিদা না মিনু পিসি? তুমি তো তাঁকে খুড়ী বলতে, গাঙ্গুলী বাড়ীর বড় গৃহিনী ছিলেন!,বলল হটী!
রূপেন্দ্র বলল, " হ্যাঁ আমার পাড়াতুতো বোন ছিল মিনু, আমাকে ভালবাসতো জীবনের শেষদিন পর্য্যন্ত আমাকে ভুলতে পারে নি শেষে আত্মহত্যা করেছিল!"
অবাক বিষ্ময়ে হটী সব শুনে বলল," তুমি কি তাঁকে আজও ভুলতে পেরেছো?
" না মা , ভুলতে পারিনি , পারা যায় না, কিন্তু তা সত্বেও আমি সংসার করেছি মিনুর চিকিৎসা করেছি, হাসি ঠাট্টা করেছি! নিরাসক্ত হতে হবে! পারবি তো মা?'" কন্যাকে জিজ্ঞাসা করল রূপেন্দ্র!
"পারব বাবা, " হটীর দৃঢ় প্রত্যয়!
" জানি তুই পারবি মা "...তুই আগের মতোই জমিদার বাড়ী যাবি! শুভপ্রসন্নর হয়তো কোন জমিদারবাড়ী থেকে বৌ আসবে, তার সাথে বন্ধুত্ব করবি!
আমি কাল তিলজলহাটী যাবো...
" তিলজলহাটী কেন?" প্রশ্ন করল হটী.
রুপেন্দ্র শুধু বলল, কাল ফিরে এসে বলবো!
(চলবে)
. রূপেন্দ্র বাড়ীতে ফিরে এলে হটী তার বাবাকে তীক্ষ্ন দৃষ্টিতে লক্ষ্য করে কিছু বুঝতে পারলো না অদ্ভুত ধরনের মানুষ বাইরে থেকে তিনি বোঝা মুশকিল! মানুষটার মনের ভিতরে কি চলছে! কিন্তু হটী জানে সাত সকালে বাবা কোথায় গেছিল কেন গেছিল! সে বাবার মুখের মধ্যে একটা আনন্দের ছাপ প্রত্যাশা করেছিল!তিনি মুখমন্ডলে তার কোন রেশ নেই!
দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজের পর শোভারানী একটু শুতে গেলেন! রূপেন্দ্র কন্যা হটীকে কাছে ডাকলেন,"কাছে আয় মা , তোর সাথে কথা আছে!"হটীরও খুব কৌতুহল ছিল! পিতা পুত্রী বসলেন ঘরের পালঙ্কে নয়, মেঝেতে মাদুরে! রূপেন্দ্র সব কথাই খুলে বললেন, প্রানাধিক কন্যাকে!শুনে, বজ্রাহতার মতো স্তব্ধ,হয়ে গেল হটী!এমনটা হতে পারে দুঃস্বপ্নেও ভাবে নি হটী!
সব শুনে মাদুরের উপর আঁচড় কাটকে কাটতে হটী বলল,তাহলে কাল থেকে কি শুভদা আর আপনার কাছে পাঠ নিতে আসবে না?সে কি অন্য চতুষ্পাঠীতে পাঠ নেবে?
সেটা শুভাপ্রসন্নর ইচ্ছা আর তারাদার অনুমতিসাপেক্ষ! সে ত্রিবেনী, ভাটপাড়া, নবদ্বীপ বা কৃষ্ন নগরে যেতে পারে আবার জমিদারীর সেরেস্তার কাজও শিখতে পারে!
হটী মাদুরের নকশায় আঙ্গুল বুলাতে বুলাতে বলল, "আমি কি আর শুভদার সাথে কথা বলব না?"
রূপেন্দ্র বলল, তা কেন, আর পাঁচটা ছেলের সাথে যেমন কথা বলিস তেমন বলবি, গল্প গুজব করবি!
তাহলে শুভদাকে পাঠ নিতে আসতে বারন করলে কেন? - পাল্টা প্রশ্ন করল হটী!
আমি তাকে বাড়ী আসতে বারন করিনি, শুধু তোদের যাতে আর ঘনিষ্ঠতা না বাড়ে সেটার জন্য বলেছি আর পাঠ দিতে পারব না! তোদের বন্ধুত্ব যখন মধৃর পরিনতির দিকে যাবে না, তখন তোদের দুজনকেই অতীতকে ক্রমশ় ভুলে১ যেতে সুযোগ দেওয়া উচিত!
একটু থেমে রূপেন্দ্র আবার বলতে শুরু করল, " মা তুই পিতু খুড়োর মেয়ে মীনু পিসির নাম শুনেছিস?"
মিনু দিদা না মিনু পিসি? তুমি তো তাঁকে খুড়ী বলতে, গাঙ্গুলী বাড়ীর বড় গৃহিনী ছিলেন!,বলল হটী!
রূপেন্দ্র বলল, " হ্যাঁ আমার পাড়াতুতো বোন ছিল মিনু, আমাকে ভালবাসতো জীবনের শেষদিন পর্য্যন্ত আমাকে ভুলতে পারে নি শেষে আত্মহত্যা করেছিল!"
অবাক বিষ্ময়ে হটী সব শুনে বলল," তুমি কি তাঁকে আজও ভুলতে পেরেছো?
" না মা , ভুলতে পারিনি , পারা যায় না, কিন্তু তা সত্বেও আমি সংসার করেছি মিনুর চিকিৎসা করেছি, হাসি ঠাট্টা করেছি! নিরাসক্ত হতে হবে! পারবি তো মা?'" কন্যাকে জিজ্ঞাসা করল রূপেন্দ্র!
"পারব বাবা, " হটীর দৃঢ় প্রত্যয়!
" জানি তুই পারবি মা "...তুই আগের মতোই জমিদার বাড়ী যাবি! শুভপ্রসন্নর হয়তো কোন জমিদারবাড়ী থেকে বৌ আসবে, তার সাথে বন্ধুত্ব করবি!
আমি কাল তিলজলহাটী যাবো...
" তিলজলহাটী কেন?" প্রশ্ন করল হটী.
রুপেন্দ্র শুধু বলল, কাল ফিরে এসে বলবো!
(চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours