অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, পূর্ব বর্ধমান:

(তোমরা এত পাষাণ?)

আমার এই ঘটনা যথারীতি আমাদের দেশের নানান বিভাগে জানায়,শুধুমাত্র আমার মত একজন অসহায় মেয়ে যাহাতে সমাজে সম্মানের সহিত মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমার এই সমস্যার সমাধান হয়নি।অপরদিকে আমার পালক মা গৌরী চক্রবর্তীর দাদা অর্থাৎ আমার পিতার জর্জ বেকার বর্তমান  স্ত্রী অর্পিতা চক্রবর্তীরদাদা রঞ্জিত চক্রবর্তী ও ভাই সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী আমাকে প্রতিনিয়ত ব্ল্যাকমেল করে যাচ্ছেন। কেন আমার সাথে ছোট থেকে ব্ল্যাকমেল করছেন? তার তো তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কারণ দেশে আইন বলে কিছু আছে। আমার পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্য প্রমাণ থাকার পরও কেন পুলিশ প্রশাসন চুপ করে বসে আছেন?যে কোন সাধারণ মানুষের কিছু সমস্যা হলে সেই সব সাধারন মানুষ তো সর্বপ্রথম পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান। তাহলে আমার অভিযোগ পুলিশ প্রশাসন নেবেন না কেন?পুলিশ প্রশাসন আমার কাছে তথ্য-প্রমাণ দেখে বলুক আমার আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।কারণ আমার কাছে যে তথ্য প্রমাণ আছে সেই তথ্য-প্রমাণ অনুসারে পুলিশ প্রশাসন কোনভাবেই বলতে পারবেন না আমার অভিযোগ ভিত্তিহীন। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করুক।তদন্ত না করেই কি করে বলতে পারেন আমার আনা অভিযোগ আদালতে দাখিল করার কথা।পুলিশ প্রশাসন তো পারতেন আমাকে যারা বিবাহ দিয়ে গেছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে। কেন আমাকে এইভাবে বিবাহ দিলেন?আমি তো সব সময় অভিযোগ করছি আমাকে যে সব ব্যক্তিরা বিবাহ দিয়ে গেলেন তারা আমার রক্তের সম্পর্কের কেউ না।
আমি তো অসহায় একজন মেয়ে হয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে এইটুকু আশা করতে তো পারি।আমার এই ঘটনা পুলিশ প্রশাসন জানার পর পুলিশ প্রশাসন কিছু না কিছু ব্যবস্থা নেবেন এইটুকু আমার দৃঢ় বিশ্বাস।কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন প্রকার সমাধান হয়নি এখনো আমাকে রঞ্জিত চক্রবর্তী ও সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী নানান ধরনের ভয় দেখাচ্ছেন।আমার এই ঘটনা যাতে চাপা পড়ে যায় তার জন্য আমার বিরুদ্ধে কলকাতা আলিপুর কোর্ট থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী ও রঞ্জিত চক্রবর্তী। অভিযোগটি হল আমার পালক মা গৌরী দেবীর মায়ের সম্পত্তির ভাগ আমাকে এক প্রকার জোর করেই দিতে চাইছে সত্যজিৎ চক্রবর্তী ও রঞ্জিত চক্রবর্তী। আপনারাই বলুন সর্বপ্রথম  আমার আনা অভিযোগ প্রমাণ হোক(গৌরী দেবী আমার পালক আমার জন্মদাত্রী মা না) তারপর তো গৌরি দেবীর সম্পত্তির দাবিদার হবো তাই না। আমি আমার পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে গত ইংরেজির 2018 সালে কলকাতা আলিপুর কোর্ট থেকে অভিযোগ করি। তারপর এক বছর পার হয়ে গেছে যখন রঞ্জিত চক্রবর্তী ও সত্যজিৎ চক্রবর্তী দেখলেন ওনারা ফেঁসে যাচ্ছেন তখন উনারা এই পন্থা অবলম্বন করলেন। এখন যদি আমি গৌরী মার সম্পতি গ্রহণ করি তাহলে আমার অভিযোগের ওপর একটু চাপ সৃষ্টি হবে। তাই আমার আনা অভিযোগ সত্য মিথ্যা যাচাই হোক তারপর না হয় রঞ্জিত চক্রবর্তী সত্যজিৎ চক্রবর্তীর পরিকল্পনার ওপর ধ্যান দেবো।আমি সব সময় প্রস্তুত এটা প্রমাণ করানোর জন্য যে গৌরী চক্রবর্তী আমার পালক আমার জন্মদাত্রী মা না। আমার জন্মদাত্রী মা তসলিমা নাসরিন। এবং আমার জন্মদাতা পিতা জর্জ বেকার। এই সমস্যা সমাধানের জন্য অতি অবশ্যই ডি এন এ পরীক্ষা প্রয়োজন। ডি এন এ পরীক্ষা করলেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। এবং আমি আমার পিতৃ ও মাতৃ অধিকার ফিরে পেতে পারি।
(ক্রমশ)

(প্রতিবেদনের যাবতীয় দায় লেখিকার)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours