ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ বাংলার বারো মাসে তেরো পার্বন !কিন্ উৎসব প্রিয় বাঙালীর এতেও কি মন ভরে? তাই প্রকৃত পক্ষে উৎসবের সংখ্যা অনেক বেশী! শুধুমাত্র কার্ত্তিক মাসেই পাঁচটি উৎসব কালীপুজা, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রী পুজা, কার্ত্তিক পুজা এবং রাস পূর্নিমা!
বৈষবদের কাছে রাস উৎসব অন্যতম উৎসব! ' রস ' শব্দটি থেকে ' রাস ' শব্দের উৎপত্তি!রস অর্থে বোঝায় নির্যাস, বা আনন্দ আহ্লাদ,অমৃত ও ব্রক্ষ্ম বোঝায়!
তৈত্তিরীয় উপনিষদে উল্লেখ করা হয়েছে, রস প্রকৃত পক্ষে ব্রক্ষ্ম রসকেই বলা হয়েছে! আর শ্রীকৃষ্ন সেই মধুর ব্রক্ষ্ম রসের আধার!
বৈষ্নব গ্রন্হ শ্রীমদভাগবতে উল্লেখ করা হয়েছে , কার্ত্তিকী পুর্নিমায় শ্রীকৃষ্ন বৃন্দাবনের গোপিনীদের অহং বর্জিত বিশ্বাস ভক্তি ভাবে সন্তুুষ্ট হয়ে সঙ্গ দানের জন্য আহ্বান করেন!
বৈষ্নবদের কাছে রাস ভাক্ত ও ভগবানের মিলনের উৎসব! গোপিনীদের নিয়ে কৃষ্ন কার্ত্তিকী পুর্নিমায় লীলা করছেন! সেখানে পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ! কিন্তু দেবাদিদেব মহাদেবের কৌতুহল, কৃষ্নের কি এমন আকর্ষন আছে যার জন্য ঘর সংসার ফেলে নারীকূল তাঁর সঙ্গ পাবার জন্য পাগল! রাসের নিত্য চলাকালীন মহাদেব নারীর ছদ্মেবেশে সেখানে হাজির হ'লে পুরুষের প্রবেশ ঘটেছে বুঝতে পেরে কৃষ্ন সে স্হান ত্যাগ করেন! রাস সম্পুর্ন হওয়ার পুর্বেই ভেঙ্গে যায়! গোপিনীরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়! তারা ঘোমটা দেওয়া অবস্হায় মহাদেবকে চিহ্নিত করে অপমান করে তাড়য়ে দিলে! মহাদেব বলে যান তিনি মর্ত্তে জনসমক্ষে রাস নিয়ে যাবেন ! সেই থেকে রাস উৎসব পালিত হচ্ছে !
বঙ্গে রাস উৎসব সূচনা করেন শান্তিপুরের প্রসিদ্ধ পন্ডিত অদ্বৈতাচার্য গোস্বামী ! তাঁর পৌত্র মধুরেশ গোস্বামী নবদ্বীপ ও কাটোয়ার দাঁইহাটে রাস উৎসবের প্রচলন করেন! তবে নদীয়া রাজ কৃষ্ন চন্দ্রের উদ্যোগে নবদ্বীপে রাস প্রচার ও প্রসার ঘটে এবং রাস উৎসবে শাক্ত ও বৈষ্নব রীতির মেলবন্ধন ঘটে!
১৭৪০ থেকে ১৭৬০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে রাজা কৃষ্ন চন্দ্র তাঁর তান্ত্রিক ভৃগুর পরামর্শে নবদ্বীপের এলনিয়া কালী মন্দিরে প্রথম রাস উৎসব পালিত হয় এবং নবদ্বীপের পুজারীদের নিজ নিজ গৃহে রাস পুর্নিমায় শাক্ত দেবদেবীর পুজার আয়েজন করা!
বঙ্গে নবদ্বীপ, শান্তিপুর, দাঁইহাট, ঘাটাল,তমলুক প্রভৃতি স্হানে রাস উৎসবের জন্য বিখ্যাত হলেও প্রায় সারা বঙ্গেই রাস উৎসব পালিত হয়!
পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের গোপালপুরের চ্যাটার্জী পরিবারের রাস প্রায় তিন'শ,বছরের,প্রাচীন! গ্রামের পূর্বতন জমিদার চ্যাটার্জী পরিবারের কুলদেবতা গোপাল! এই গোপালের নামানসারেই গ্রামের নাম গোপালপুর! এই বংশের পুর্বসুরী নিমাই চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কুলদেবতা গোপালের প্রতিষ্ঠা করেন!
জন্মাষ্টমী, ঝুলন ও রাস সাড়ম্বরেই চ্যাটার্জীদের গোপালবাড়ী ( মন্দিরে) উদযাপন করা হয়! রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে আনন্দের লহর বয়ে যায়! চারদিন ধরে চলে উৎসব! একটা সময় রাসের জৌলুষ এতটাই ছিল, রাম কুমার চট্টোপাধ্যায়, জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায় এখানে গান করেছেন! সাধক কবি নীলকন্ঠ প্রায় প্রতি বছর কৃষ্ন যাত্রা পরিবেশন করতেন!বাংলার প্রায় সব নামী কীর্তনীয়া এখানে পালা কীর্তন করেছেন!
সময়ের সাথে জৌলুষ কমলেও আজও ঐতিহ্য হারায়নি! এখনো প্রতি বছর রাস পুর্নিমা উপলক্ষ্যে পালা কীর্তন,জলসার আয়োজন করা হয়! এই দিনগুলিতে চ্যাটার্জী পরিবারদের সদস্য তাঁদের পরিবারের অতীত ঐতিহ্যের জন্য একটু হলেও গৌরাবান্বিত বোধ করেন!
বৈষবদের কাছে রাস উৎসব অন্যতম উৎসব! ' রস ' শব্দটি থেকে ' রাস ' শব্দের উৎপত্তি!রস অর্থে বোঝায় নির্যাস, বা আনন্দ আহ্লাদ,অমৃত ও ব্রক্ষ্ম বোঝায়!
তৈত্তিরীয় উপনিষদে উল্লেখ করা হয়েছে, রস প্রকৃত পক্ষে ব্রক্ষ্ম রসকেই বলা হয়েছে! আর শ্রীকৃষ্ন সেই মধুর ব্রক্ষ্ম রসের আধার!
বৈষ্নব গ্রন্হ শ্রীমদভাগবতে উল্লেখ করা হয়েছে , কার্ত্তিকী পুর্নিমায় শ্রীকৃষ্ন বৃন্দাবনের গোপিনীদের অহং বর্জিত বিশ্বাস ভক্তি ভাবে সন্তুুষ্ট হয়ে সঙ্গ দানের জন্য আহ্বান করেন!
বৈষ্নবদের কাছে রাস ভাক্ত ও ভগবানের মিলনের উৎসব! গোপিনীদের নিয়ে কৃষ্ন কার্ত্তিকী পুর্নিমায় লীলা করছেন! সেখানে পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ! কিন্তু দেবাদিদেব মহাদেবের কৌতুহল, কৃষ্নের কি এমন আকর্ষন আছে যার জন্য ঘর সংসার ফেলে নারীকূল তাঁর সঙ্গ পাবার জন্য পাগল! রাসের নিত্য চলাকালীন মহাদেব নারীর ছদ্মেবেশে সেখানে হাজির হ'লে পুরুষের প্রবেশ ঘটেছে বুঝতে পেরে কৃষ্ন সে স্হান ত্যাগ করেন! রাস সম্পুর্ন হওয়ার পুর্বেই ভেঙ্গে যায়! গোপিনীরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়! তারা ঘোমটা দেওয়া অবস্হায় মহাদেবকে চিহ্নিত করে অপমান করে তাড়য়ে দিলে! মহাদেব বলে যান তিনি মর্ত্তে জনসমক্ষে রাস নিয়ে যাবেন ! সেই থেকে রাস উৎসব পালিত হচ্ছে !
১৭৪০ থেকে ১৭৬০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে রাজা কৃষ্ন চন্দ্র তাঁর তান্ত্রিক ভৃগুর পরামর্শে নবদ্বীপের এলনিয়া কালী মন্দিরে প্রথম রাস উৎসব পালিত হয় এবং নবদ্বীপের পুজারীদের নিজ নিজ গৃহে রাস পুর্নিমায় শাক্ত দেবদেবীর পুজার আয়েজন করা!
বঙ্গে নবদ্বীপ, শান্তিপুর, দাঁইহাট, ঘাটাল,তমলুক প্রভৃতি স্হানে রাস উৎসবের জন্য বিখ্যাত হলেও প্রায় সারা বঙ্গেই রাস উৎসব পালিত হয়!
পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের গোপালপুরের চ্যাটার্জী পরিবারের রাস প্রায় তিন'শ,বছরের,প্রাচীন! গ্রামের পূর্বতন জমিদার চ্যাটার্জী পরিবারের কুলদেবতা গোপাল! এই গোপালের নামানসারেই গ্রামের নাম গোপালপুর! এই বংশের পুর্বসুরী নিমাই চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কুলদেবতা গোপালের প্রতিষ্ঠা করেন!
জন্মাষ্টমী, ঝুলন ও রাস সাড়ম্বরেই চ্যাটার্জীদের গোপালবাড়ী ( মন্দিরে) উদযাপন করা হয়! রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে আনন্দের লহর বয়ে যায়! চারদিন ধরে চলে উৎসব! একটা সময় রাসের জৌলুষ এতটাই ছিল, রাম কুমার চট্টোপাধ্যায়, জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায় এখানে গান করেছেন! সাধক কবি নীলকন্ঠ প্রায় প্রতি বছর কৃষ্ন যাত্রা পরিবেশন করতেন!বাংলার প্রায় সব নামী কীর্তনীয়া এখানে পালা কীর্তন করেছেন!
সময়ের সাথে জৌলুষ কমলেও আজও ঐতিহ্য হারায়নি! এখনো প্রতি বছর রাস পুর্নিমা উপলক্ষ্যে পালা কীর্তন,জলসার আয়োজন করা হয়! এই দিনগুলিতে চ্যাটার্জী পরিবারদের সদস্য তাঁদের পরিবারের অতীত ঐতিহ্যের জন্য একটু হলেও গৌরাবান্বিত বোধ করেন!
Post A Comment:
0 comments so far,add yours