কাজল ভট্টাচার্য, সিনিয়র জার্নালিস্ট, কলকাতা:

"এবার মরলে সুতো হবো!" পুনর্জন্মের আগাম প্ল্যান।
মৃত্যুর পরেও কি ফের জীবনে ফিরে আসা? মানে মৃত্যুর সঙ্গে জীবনের কানামাছি খেলা! তাও আবার হয় নাকি?
অনেক ভদ্রজনের মত, 'যত্ত ঢপবাজি।'
আবার অন্যজনের মত, 'হয়। অনেককিছুই হয়।'
যা মারা যায়, তা নিছক দেহ।
আত্মা অমর। অচ্ছেদ্য। অজেয়। অবিনশ্বর।
"শরীরটাকে জীর্ণবস্ত্রের মতো ফেলে যায় আত্মা!" ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই ডায়লগ মেরেই অর্জুনকে দিয়ে কুরুক্ষেত্র সেরে ফেলেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।
"তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্য
ন্যানি সংযাতি নবানি দেহী।"
কিন্তু প্রমাণ ছাড়া কোনকিছুই মানতে রাজি নয় যুক্তিবাদীরা। তাহলে?
প্রমাণ আছে বৈকি। তবে আপাতত কোনও নির্দিষ্ট তত্ত্ব হাতে নেই। দুয়ে দুয়ে চার করার মতো হাতে এখনও যেটুকু এসেছে, তা পর্যাপ্ত নয়। তবে গবেষণা চলছে। চলছে নানা তত্ত্বের চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ। এখানেই মজা বিজ্ঞানের। কোনও কিছুতে 'হ্যাঁ' নেই, 'না'ও নেই। গবেষণার পর গবেষণা। শেষপর্যন্ত পাক থেকে পদ্মফুলটি সযত্নে তুলে আনা। যাবতীয় তত্ত্বের সম্ভাবনা আতসবাজির কাচের তলায় ফেলে দেখা।
এমনই এক তত্ত্ব 'জেনেটিক মেমোরি'।

কোনও বাচ্চার চেহারা বা হাবভাব যেন ঠিক তার প্রয়াত দাদু, ঠাকুমা, দিদিমা বা অন্য কারও মতো।
- "তোর বাবাই আবার ফিরে এসছে!" নাতিকে কোলে নিয়ে ছেলেকে বলেন ঠাকুমা। জলে ভেজা চোখ ঠাম্মার।
- "বুঝলে বউমা, এ মেয়ে হুবহু ওর পিসির মতো। তোমার বিয়ের প্রায় বছরখানেক আগে সে অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছিলো।"

"তখন কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি!"
জেনেটিক মেমোরি। প্রতিটি মানুষের জিনের মধ্যেও কিছু স্মৃতি লুকানো থাকে। সুপ্ত অবস্থায় থাকা ওই স্মৃতি উত্তরাধিকার সূত্রে, বংশের এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে চালান যায়। তারজন্য অনেক বাচ্চার মধ্যে তার দাদু ঠাকুমা বা পরিবারের অন্য কারোর ভয়ঙ্কররকমের সাদৃশ্য দেখা যায়। এই সাদৃশ্য বয়ে আনে জিন। যা সাদাচোখেই ধরা পড়ে। তবে এরা যে সবাই জাতিস্মর হবে এমনটা নয়।
জাতিস্মরের ঘটনা বিরল। লাখে এক। এই বিরল প্রজাতির বাচ্চাদের অনেকেই গড়গড় করে অতীতের কথা বলে যেতে পারে। চোখমুখ যায় বদলে। শূন্য দৃষ্টি। দু'চোখ জুড়ে আকাশের ছায়া। হারিয়ে যায় কোন সে দূরে। ফেলে আসা অতীতে। 'সোনার কেল্লা'র সেই বিস্ময় বালক মুকুলের মতো। এরাই জাতিস্মর।
মনোবিদরা বলছেন, নির্দিষ্ট এক বয়স পর্যন্ত এই বিরল প্রজাতির বাচ্চারা গতজন্মের কথা বলতে পারে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই, মনের দৃশ্যপট থেকে ফেলে আসা অতীত ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। জাতিস্মররা বেরিয়ে আসে গতজন্মের ছায়া থেকে। মিশে যায় এজন্মের মূলধারায়।
পুনর্জন্মের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আপাতত এভাবেই দেওয়ার চেষ্টা করছেন কিছু গবেষক। তাঁদের গোটা গবেষণাটাই দাঁড়িয়ে রয়েছে এই 'জেনেটিক মেমোরি'র ওপর। আবার এই মতের সঙ্গে ব্যাপক মিল আছে বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের।

বৌদ্ধধর্মে পুনর্জন্মে আস্থা থাকলেও, আত্মার অমরত্বে আস্থা নেই। বরং এই ধর্মের ব্যাখ্যা, পঞ্চভূতে গড়া মানুষ। মৃত্যুর সঙ্গেই প্রকৃতিতে বিলীন হয়ে যায় তার গোটা অস্তিত্বটাই। তবে যা বেঁচে থাকে তা হলো, মানুষের কর্ম। ওই কর্মই রূপ ধরে মানুষের চেতনার। বীজের আকারে ফের তা আশ্রয় করে কোনও মাতৃগর্ভ। ধীরে ধীরে তা বেড়ে ওঠে। অন্য এক শরীর আশ্রয় করে পুনর্জন্ম হয় সেই চেতনার। 'জেনেটিক মেমোরি'র বদলে বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কনসেপ্ট 'চেতনা' বা 'কনশাসনেস'- এর। অনেকটা ঘুরিয়ে কান ধরার মতো।

তা সে আত্মা হোক অথবা চেতনা, মূল কথা এক শক্তি। জীবিতকালে যা নিহিত থাকে মানুষের মধ্যে। জীবনীশক্তি। পদার্থবিজ্ঞানে এক তত্ত্ব আছে, 'ল অফ কনজার্ভেসন অফ এনার্জি'। ১৮৪২ সালে এই তত্ত্ব প্রকাশ করেন জুলিয়াস রবার্ট মেয়ার। তিনি জানান, শক্তি সৃষ্টি করা যায় না। আবার ধ্বংস করাও যায় না। শক্তি রূপান্তরিত হয় মাত্র। ঠিক এ জায়গাতেই আইনস্টাইনের প্রশ্ন, শক্তির যখন লয় ক্ষয় কোনটাই নেই, তাহলে মানুষ মারা গেলে তার 'জীবনীশক্তি'র কী হয়? কোথায় হারিয়ে যায় সে? এই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেছিলো নজরুলের লেখনীতেও। "তোমার মহাবিশ্বে প্রভু হারায় নাতো কিছু।"
ওই তত্ত্বটির কথাই খানিক ঘুরিয়ে শোনা গেছিলো গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর মুখে। জন্ম মানে শুধুই শরীরের জন্ম। আত্মার জন্ম না। সে আগে থেকেই বিরাজ করতো এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে। এই মতেই বিশ্বাসী ছিলেন ক্রিশ্চান অর্থোডক্সরাও। যদিও পুনর্জন্ম নিয়ে ক্রিশ্চানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। আত্মার সংখ্যাও নির্দিষ্ট বলে মনে করতেন প্লেটো। সে কখনও কালের গর্ভে হারায় না। সে যাত্রা করে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে। আত্মার এই যাত্রা অনন্তকালের। পুনর্জন্মের তত্ত্বেই ভরসা রাখতেন প্লেটোর পূর্বসূরি আর এক বিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক পিথাগোরাস। এমনকি গ্রিক সভ্যতা বিলুপ্তির পরেও রোমানরা পুনর্জন্মে আস্থা রাখতেন।

"নৈনং ছিন্দন্তি শস্ত্রানি নৈনং দহতি পাবকঃ ।
ন চৈনং ক্লেদয়ন্ত্যাপো ন শোষয়তি মারুতঃ ।"
আত্মাকে অস্ত্র দিয়ে কাটা যায় না। পোড়ানো যায় না আগুনে। জলে সিক্ত হয় না। আবার বাতাসের ক্ষমতা নেই তাকে শুকানোর। শ্রীকৃষ্ণ, আইনস্টাইন, পিথাগোরাস, প্লেটো, নজরুল, প্রাচ্য পাশ্চাত্য সব মিলেমিশে একাকার। কিন্তু এই মহামতি বিদ্বজ্জনরা তো সব বলেই খালাস। হাতেকলমে প্রমাণটা দেবে কে?
এই কাজটা করে বিজ্ঞান।
আত্মার অমরত্বের প্রমাণ খুঁজে আনতে ময়দানে নেমে পড়লেন জিম টাকার। নর্থ ক্যারোলিনার বাসিন্দা। মনোবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। আধ্যাত্মিক বা ধার্মিক ব্যাপারে একেবারেই অনাগ্রহী। তাঁর যত আগ্রহ পুনর্জন্ম নিয়ে। কোথাও কোনও জাতিস্মরের কথা কানে এলেই হলো। ছুট লাগাতেন সেখানে। বছরের পর বছর ধরে সেই বিস্ময় বালক, বালিকাদের কথা রেকর্ড করেন জিম।

আপাতত জিমের গবেষণাগারে জমেছে আড়াই হাজারেরও বেশি কেসের রিপোর্ট। প্রতিটি শিশুই শুনিয়েছে তাদের গতজন্মের নানা ঘটনা। সব রেকর্ড করে রেখেছেন তিনি। জাতিস্মর বাচ্চাদের মুখে শোনা ঘটনা নিয়ে তিনি এরইমধ্যে লিখে ফেলেছেন দুটো বই- লাইফ বিফোর লাইফ, রিটার্ন টু লাইফ। টাকার জানান, এই বাচ্চারা যে শুধু অতীত জীবনের কিছু ঘটনার কথা জানিয়েছে এমনটা নয়। তাদের শরীরে এমন কিছু জখমের চিহ্নও দেখিয়েছে যা বাস্তবে গতজন্মের। 
জিমের কথায় ক্ষুদিরামের সেই বিখ্যাত গানের কথা মনে পড়ে গেল তো?
"তখন যদি না চিনতে পারিস, দেখবি গলায় ফাঁসি।" মাসির ঘরে পুনর্জন্ম নেওয়ার কথা নিজেই জানিয়ে গেছিলেন ক্ষুদিরাম।
দু থেকে চার বছরের শিশুরাই গতজন্মের কথা বলে। ছ সাত বছর নাগাদ চুপ মেরে যায়। লোপ পায়  পূর্বস্মৃতি। সমীক্ষায় এমনটাই ধরা পড়েছে বলে মত জিম টাকারের। এরা সবাই আগের জন্মে খুব সাধারণ মানুষ ছিলো। টিভি সিরিয়ালের জাতিস্মরের মতো, এই শিশুরা কখনও গতজন্মে রাজা উজির থাকার গল্প শোনায়নি।

পুনর্জন্মে বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস নিয়ে অন্যরকম ব্যাখ্যাও করা হয়েছে। গৌতম বুদ্ধ হিন্দু ধর্মবিশ্বাসে কোনওভাবেই আঘাত করতে চাননি। তিনি হিন্দুদের কাছেও পৌঁছতে চেয়েছিলেন বলে মত বেশকিছু বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর। তাই সংঘাতের রাস্তায় না হেঁটে তিনি পুনর্জন্মের কথা মেনে নিয়েছিলেন। আবার অনেকের ধারণা, বুদ্ধদেব আসলে যাবতীয় কর্ম থেকে মুক্ত হয়ে পুনর্জন্মের কথা বলেছিলেন। আত্মার এক শরীর থেকে অন্য শরীরে যাওয়া হিন্দুদের বিশ্বাস। বৌদ্ধরা আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করেন না। বাস্তবে প্রতি মুহূর্তে আমাদের চিন্তা, আবেগ, বিশ্বাস সব বদলে যাচ্ছে। তাই যদিও বা পুনর্জন্ম হয়, আপনি সেই 'আগের আমি' হয়ে জন্মাচ্ছেন না। যা জন্মাচ্ছে তা বড়জোর 'আপনার ছায়ামাত্র'। তবে কঠোর ধ্যান করে জীবন আবর্ত থেকে আত্মার মুক্তি, মহানির্বাণ সম্ভব।
আত্মার মুক্ত হওয়ার কথা শোনা গেছিল গ্রিসের অর্ফিক মতাবলম্বীদের মুখে। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর কথা। অর্ফিকরাও বিশ্বাস করতেন পুনর্জন্মে। এই মতবাদের প্রবর্তক ছিলেন অর্ফিউস। ভারী সুন্দর ছিল তাঁর কল্পনার উড়ান। আত্মা যেন মুক্তবিহঙ্গ। উড়ে বেড়ায় শূন্য থেকে মহাশূন্যে।
ওদিকে পিথাগোরাস, প্লেটো আরও একধাপ এগিয়ে বলেছিলেন, "মহাশূন্যে বেশ কয়েকটা স্তর আছে। কর্মফল বিচার করে ঠিক হয়, কোন আত্মা কোন স্তরের অতিথি হবে। মুড়িমিছরির একদর কভভি নেহি!" যাঁরা প্ল্যানচেট করেন, তাঁদের মুখেও কিন্তু ঠিক একথাই শোনা যায়। যাই হোক, বায়বীয় কোনও এক স্তরে আত্মার ভেসে বেড়ানো ক্ষণস্থায়ী, মত অর্ফিউসের। সেই বিদেহী আত্মা ফের ধরা পড়ে শরীরের ফাঁদে। ঠিক যেন পুনর্বাসন হয় আত্মার। কিন্তু শরীর নশ্বর। ফের মৃত্যু মুক্তি দেয় শরীরে বন্দি আত্মাকে। জীবনচক্রে বারেবারে এভাবেই চলতে থাকে আত্মা আর শরীরের চোরপুলিস খেলা।
এই খেলা কি তাহলে অন্তহীন? না। এই খেলাও একসময় শেষ হয়, মত শিখ সম্প্রদায়ের। আত্মা শেষ পর্যন্ত সমর্পিত হয় ঈশ্বরেই।

জিম টাকারের মতোই  আরেক পাগল গবেষক ছিলেন আয়ান স্টিভেনসন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত পুনর্জন্মের রহস্যউদ্ধারে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিরন্তর কাজ করে গেছেন। ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়া স্কুল অফ মেডিসিনের প্রাক্তন মনোবিদ্যার এই অধ্যাপক মারা যান ২০০৭ সালে। তিন হাজারেরও বেশি কেস স্টাডি করেছিলেন অধ্যাপক।
তাঁর গবেষণাতেও বেশকিছু চমকে দেওয়ার মতো তথ্য ছিল। তিনি বেশকিছু জাতিস্মরের শরীরে কোনও জন্মচিহ্ন বা কোনও অঙ্গে ত্রুটি দেখতে পেয়েছিলেন। ওই জন্মচিহ্ন বা শারীরিক ত্রুটির জন্য ওই মানুষরা গতজন্মের মানুষটাকেই দায়ী করেছিলেন। গতজন্মের কথা মনে করতে পারে এরকম একশোজনের মধ্যে, কমপক্ষে পঁয়ত্রিশজনের মধ্যেই ওই প্রবণতা লক্ষ্য করেছিলেন স্টিভেনসন। এঁদের মধ্যে দুশো দশটা কেস স্টাডি করে স্টিভেনসন জানান, তাঁদের বক্তব্য সঠিক। গতজন্মের সেই মানুষটার সঙ্গে এজন্মের মানুষটার শারীরিক ত্রুটিতে দারুণভাবে মিল খুঁজে পেয়ে, কিছুটা চমকে গেছিলেন স্টিভেনসন।

তবে চোট জখম না, গতজন্মের সুখস্মৃতি নিয়েই যদি আরও একবার এই দুনিয়ায় ফিরে আসা যেত! অথবা গতজন্মে যে সাধগুলি ছিলো কিন্তু সাধ্য ছিলো না, সেগুলো পরজন্মে মেটানোর অপশন থাকলে কেমন হত?
যেমন কবি জীবনানন্দ স্বপ্ন দেখছিলেন, "আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে!" কিশোর কুমারের ইচ্ছে ছিল, "এক ফাগুনের আয়ু হলেও পাঠিয়ে আমায় পাখি করে।" কবি, শিল্পীরা মৃত্যুর পরেও বারেবারে ফিরে আসতে চেয়েছেন এই দূষণভর্তি পৃথিবী নামের গ্রহটাতেই। বাঙালির মহানায়কও পৃথিবীর মায়া কাটাতে রাজি ছিলেন না। সাবিত্রীদেবীকে দেখে উত্তমকুমারের সাধ হয়েছিল পরজন্মে সুতো হতে। যতদূর মনে হয়, সুতো জন্মের জন্য কোনও আত্মার দরকার হতো না। কিন্তু শুধু মানুষ কেন, যে কোনও পশুপ্রাণী হয়ে জন্ম নিলেও আত্মা অপরিহার্য।
পরিসংখ্যান বলছে ২০০১ সাল থেকে ২০১৯ এর মধ্যে পৃথিবীতে, একশো উনপঞ্চাশ কোটি আট লক্ষ একচল্লিশ হাজার চারশো চুরানব্বইজন মানুষ বেড়েছে।  তাহলে এত 'সারপ্লাস' আত্মা এলো কোত্থেকে? চীন সাপ্লাই করেছে বললেও মানবো না। কারণ সব জ্ঞানীগুণীজনরাই উল্টো সুর গেয়েছেন। প্রয়োজন মাফিক আত্মা বানিয়ে ফেলা যায় না। আদি অনন্তকাল থেকেই আত্মার সংখ্যা নির্দিষ্ট। তাহলে জনসংখ্যা বিস্কোরণের গোটাটাই কি পূর্বপরিকল্পিত? আগে থেকেই স্বর্গে, অথবা ওই বায়বীয় স্তরে মজুত করা ছিল 'মানব- আত্মা'র স্টক। নাকি সেখানেও ভেজাল ঢুকে পড়েছে?
একদিকে বাড়ছে মানুষের সংখ্যা। অন্যদিকে কমছে নানা প্রজাতির পশুপাখির সংখ্যা। কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া সেই প্রাণীদের আত্মা মানুষের শরীরে ঢুকে পড়ছে নাতো? তাই থেকে-থেকেই মানুষের পাশবিক রূপ বেরিয়ে পড়ে।
নাকি এখন শুধুই শরীর উৎপাদন। আত্মাহীন শরীর। তাই হয় তো শরীর হৃদয়হীনও।

(তথ্যসূত্র ডাক্তার সোহিনী মুখার্জি চক্রবর্তী)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours