অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, পূর্ব বর্ধমান:

(তোমাদের নীরবতার অর্থ কি?)

আমি যখন কোন প্রকার পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য না পায়, তখন আমি একটি মানব অধিকার সংস্থার সাথে যোগাযোগ করি। সেই মানব অধিকার সংস্থার সাহায্যে আমার পথ চলা শুরু। সর্বপ্রথম আমি আমার বাবাকে আইনি নোটিশ করি আমার অ্যাডভোকেট দ্বারা। এবং আইনি চিঠি পাঠানোর পর কিছুদিন সময় দিই। আমার জন্মদাতা পিতা জর্জ বেকার আইনি চিঠি পাবার পর কোন প্রকার উত্তর দেননি।কিন্তু আমাকে উত্তর দিয়েছিলেন বিজেপি পার্টির সুধীর কুমার পান্ডে হোয়াটসঅ্যাপের দ্বারা। সুধীর কুমার পান্ডে মহাশয় আমাকে এটা বলেছিলেন আপনার চিঠি পেয়েছি। এর উত্তর আপনাকে যথাযথ দেওয়া হবে। এখানে আমার একটি প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছিনা। আমি আমার জন্মদাতা পিতাকে (জর্জ বেকার) আইনে চিঠি পাঠিয়েছি কিন্তু সুধীর কুমার পান্ডে আমার কে হয় বা আমার এই ঘটনায় উনার ভূমিকা কি? সুধীর কুমার পান্ডের কি অধিকার আছে আমাকে উত্তর দেবার? তাহলে কি আমার পিতৃপরিচয় না দেওয়ার পেছনে সুধীর কুমার পান্ডের ও হাত আছে? পিতা ও কন্যার মধ্যে সুধীর কুমার পান্ডে মহাশয়ের ভূমিকা কি?এই ধরনের ঘটনা যদি সুধীর কুমার পান্ডে মহাশয় করে থাকেন তাহলে আমি দাবি করছি তদন্ত করে উনাকে অতিসত্বর গ্রেফতার করা হোক। যাইহোক আমার জন্মদাতা পিতা জর্জ বেকার আমার আইনি চিঠির কোনো উত্তর না পেয়ে, কলকাতা প্রেসক্লাব থেকে মিডিয়া কনফারেন্স করি। আমি মিডিয়ার সামনে আমার দাবি তুলে ধরি।
মিডিয়া কনফারেন্স করার পর আমার জন্মদাত্রী মা তসলিমা নাসরিন সোশ্যাল মিডিয়ায় মতামত প্রকাশ করেছিলেন কিছু সময়ের জন্য। উনি বলেছিলেন "আমার বাচ্চা হয়েছে কে দেখেছে"কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পোস্ট আবার তুলে নেন! এটি একটি বিস্ময়কর ঘটনা। নারীবাদী নিজের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আবার সেই পোস্ট উনাকে তুলে নিতে হলো। এবার সাধারন জনগন বুঝুন তাহলে আমার  জন্মদাত্রী মা ঠিক কেমন নারীবাদী, প্রতিবাদী। এই প্রসঙ্গে বলে রাখি আমার জন্মদাত্রী মা তসলিমা নাসরিনের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ আমার জন্মদাত্রী মা তসলিমা নাসরিন তার সমগ্র জীবনটা কাটিয়েছেন একপ্রকার যাযাবর হিসাবে এবং আত্মগোপন করে।এখানে তো কোন প্রশ্নই ওঠে না যে তার বাচ্চা হবে এবং সাধারন জনগন জানবে। এটি একটি হাস্যকর মন্তব্য আমার জন্মদাত্রী মা তসলিমা নাসরিনের।এবং এটাও বলে রাখি আমার মা তসলিমা নাসরিন এটাও বলেছিলেন অঙ্কিতা ভট্টাচার্য নামে একটি মেয়ের সাথে দুটি পুরুষকে নিয়ে সাংবাদিক মহল কে কেমন উল্লু বানিয়ে গেল। আমার জন্মদাত্রী মায়ের কথায় আমরা প্রতারক। মুখে দশটা কথা বলা যায় আমার জন্মদাত্রী, নারীবাদী ,প্রতিবাদী মা তসলিমা নাসরিন। তাই নারীবাদী, প্রতিবাদী,জন্মদাত্রী মা তসলিমা নাসরিনকে বলছি তুমি আমার দাবি অনুসারে ডি এন এ পরীক্ষা করে প্রমাণ করো আমি মিথ্যা তুমি সত্য, যদি তোমার সৎ সাহস থাকে। আমি আমার জন্মদাত্রী মা তসলিমা নাসরিনকে এটাও বলে রাখছিআমাদের ভারত দেশের মহিলারা এত নিচে নামেনি যে তারা অন্তঃসত্ত্বা হলে সাধারণ জনগণকে দেখিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে। আমাদের ভারতের মহিলাদের মধ্যে আজও লজ্জা বোধ কাজ করে। তোমার মত লজ্জা বই প্রকাশ করে, লজ্জা কি সেটা জানাতে লাগেনা সমগ্র বিশ্বের সামনে। বিশ্বের সবথেকে বড় লজ্জা তুমি। কারণ তোমার মত একজন নারীবাদী, প্রতিবাদী লেখিকার মেয়ের এই অবস্থা আর তুমি চুপ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের বিশ্বের সাধারণ জনগণকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাহলে কি তুমি সত্যি ইঙ্গিত করছ আমার দাবি সত্য?আমার দাবী যদি সত্য হয় তাহলে তুমি কিসের ভয়ে বা কার ভয়ে মুখ খুলছে না? কি এমন রহস্য লুকিয়ে আছে যে তোমার মত মহিলা কে আজ চুপ থাকতে হচ্ছে?যদি তা না হয় তাহলে মানতে হবে যে যত বড়ই নারীবাদী প্রতিবাদী হোক না কেন, সত্যের সামনে মাথা তাকে নোয়াতেই হবে। আমি আমার মা তসলিমা নাসরিনকে এখনও বলছি। যদি আমার কথা সত্য না হয় তাহলে তুমি আমার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নাও। কারণ আমার এই ধরনের দাবিতে তোমার তো সম্মানহানি হচ্ছে। তুমি আমার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে সারা বিশ্বের জনগণকে দেখাও তুমি সত্য। কারণ তোমার তো সারা বিশ্বজুড়ে সম্মান আছে। অপরদিকে আর একটা রাস্তা আছে তোমার কাছে, আমার সাথে ডি এন এ পরীক্ষার মাধ্যমে তুমি দেখিয়ে দাও তুমি সত্য আমি মিথ্যা। সত্য মিথ্যা যাচাই করার জন্য এই ডি এন এ পরীক্ষা করা খুবই প্রয়োজন।এবং আমি চাই এর সাথে সাথে আমার জন্মদাতা পিতা জর্জ বেকার এর সাথেও ডি এন এ পরীক্ষা করানো হোক। (ক্রমশ)

(প্রতিবেদনের যাবতীয় দায় লেখিকার)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours