অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, পূর্ব বর্ধমান:

(আমি স্বীকৃতি চাই)

এইভাবে চলতে থাকার পর, হঠাৎ আমার শরীর খারাপের জন্য আমি স্কুলে পরীক্ষা দিতে পারিনি। এবং আমি স্কুলছাত্রী বাধ্য হয়েছিলাম। পরবর্তীকালে আমি রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় এর মাধ্যমে পুনরায় পড়াশোনা শুরু করি। এরপর আমার বিবাহের জন্য পাত্রের খোঁজ চলতে লাগলো। সব পাত্রপক্ষের আমাকে দেখে পছন্দ হতো কিন্তু কেন জানি না পরবর্তীকালে সব পাত্রপক্ষের থেকে বিবাহ ভেঙে যেত। অবশেষে বর্তমান সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেখে সুদূর পূর্ব বর্ধমান এ আমার বিবাহের সম্বন্ধ করা হলো। পাত্রপক্ষের বিজ্ঞাপন দেখে আমার পালক মা গৌরী চক্রবর্তী/ভট্টাচার্য কথা বললেন এবং পাত্রপক্ষের থেকে আমাকে দেখাশোনার জন্য এলেন। সর্বপ্রথম আমার এই সমন্ধে দেখানো হলো অর্পিতা চক্রবর্তীর দাদা রঞ্জিত চক্রবর্তীর বেহালা সরশুনার বাড়িতে। এবং পাত্রপক্ষের পছন্দ হলো আমাকে দেখে। কিন্তু আমি একটি ঘটনা লক্ষ্য করলাম।পাত্রপক্ষকে আমার পালক মামা রঞ্জিত চক্রবর্তী ও আমার পালক বাবা সেজে থাকা ভদ্রলোকটি আমাদের পাড়ার লোকজনের সামনে একা ছাড়েননি। নিশ্চয়ই পাড়ার লোকজনের ভয় পাছে যদি পাত্রপক্ষ কে প্রকৃত সত্য বলে না দেয়। আমার বিবাহের সম্বন্ধ আমার পালক মা গৌরী চক্রবর্তী যে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সেখানে থেকেও দেখানো হয়নি। এই ঘটনা আমি লক্ষ্য করেছি কিন্তু এই ঘটনা পাত্রপক্ষ বুঝতে পারেননি। পাত্রপক্ষ আর কীভাবেই বা বুঝতে পারবেন যে এর মধ্যে গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে।আর তাছাড়া পাত্রপক্ষের ব্যবহার দেখে মনে হয়েছিল পাত্রপক্ষ খুবই সরল মনের মানুষ।পরবর্তীকালে আমাদের পাত্রীপক্ষের থেকে আমার পালক বাবা ও পালক মামা অর্থাৎ আমার বাবার বর্তমান স্ত্রী অর্পিতা বেকারের দাদা রঞ্জিত চক্রবর্তী গিয়েছিলেন আমার বিবাহের সম্বন্ধ করতে। কিছুদিন পর পুনরায় পাত্র পক্ষ থেকে আমাকে দেখতে এলেন। এবার কিন্তু দেখাশোনার স্থান আবার পরিবর্তন হয়ে গেল। এবার পাত্রী দেখার স্থান হল কলকাতার বেহালা মেনটনের লোকনাথ আবাসনে। যেখানে আমার পালক মাসি গৌরী চক্রবর্তীর বোন শংকরী চক্রবর্তী থাকেন। যেখানে আমার মা তসলিমা নাসরিন আমার সাথে শেষবারের মতো দেখা করেছিলেন।

শিশু অঙ্কিতা
ওখানে পাত্রী দেখার পর আমার বিবাহের দিন ধার্য করার জন্য আমার পালক মামা রঞ্জিত চক্রবর্তী, পালক মামি মঞ্জু চক্রবর্তী, পালক মা গৌরী দেবী, পালক মাসি শংকরী চক্রবর্তী, পালক বাবা নির্মল ভট্টাচার্য, পালক মাসতুতো জামাইবাবু বিপ্লব মুখার্জি, পালক মাস্তুতো দিদি সুদেষ্ণা মুখার্জী, পালক মাসতুতো দাদা শুভময় চ্যাটার্জী,পালক মাসতুতো বৌদি রাখি চ্যাটার্জী এনারা আমাকে সাথে নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের পাত্রপক্ষের বাড়ি গিয়ে বিবাহের দিন ধার্য করেন।
এই পালক আত্মীয়রা একত্রিত হয়ে আমার জীবনের শেষ উপকারটি করেছিলেন।কিন্তু এরা কোন ভাবেই বললেন না যে এই সব ব্যক্তিরা আমার নিজের রক্তের সম্পর্কের কেউ না। নিশ্চয়ই এইভাবে বিবাহ দেওয়ার পেছনে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। যদিও আমার জন্মদাতা পিতা জর্জ বেকার ও আমার জন্মদাত্রী মা তসলিমা নাসরিন।তাই আমি ডিএনএ পরীক্ষা করে জনসাধারণের কাছে প্রকৃত সত্য উন্মোচন করতে চাই। এবং আমার পিতৃপরিচয় ও মাতৃ পরিচয় ফিরে পেতে চায়। (ক্রমশ)

(প্রতিবেদনের যাবতীয় দায় লেখিকার)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours