কাজল ভট্টাচার্য, সিনিয়র জার্নালিস্ট, কলকাতা:

পিঠ বা শিরদাঁড়ার ব্যথায় ভোগেন?
গবেষকরা এই ব্যথা নিয়ে কি বলছে জানেন?
হলপ করে বলতে পারি,  গবেষকদের কথা জানামাত্রই শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে যাবে এক হিমশীতল স্রোত। বনবন করে চক্কর মেরে উঠবে মাথা। চাই কি আরও অন্য, অনেক কিছু হয়ে যেতে পারে।
আপনার পিঠ বা শিরদাঁড়ার এই ব্যথার আসল কারণ, আপনি এই দুনিয়ায় বাস করার জন্য এক অযোগ্য মানুষ। তা সে আপনি পুরুষ বা নারী যাই হোন না কেন !
পৃথিবী নামের এই গ্রহটার অনেক কিছুই আপনার সহ্য হয় না। যেমন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। আপনার শরীর এই শক্তি সহ্য করার অযোগ্য। কারণ আপনার শেকড় যেখানে,  সেখানে অভিকর্ষের টান ছিল অনেকটাই কম। আপনি আসলে এই পৃথিবীর মানুষই না।

"এসেছ কি তুমি হেথা পথখানি ভুলিয়া!"

এবার নিশ্চয়ই মন জানতে চাইছে, আপনার শেকড় ছিল কোনখানে?
হেথা নয় হোথা নয় অন্য কোনখানে।
ছাদে গিয়ে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। রাতের আকাশের দিকে তাকান। অমাবস্যার রাত হলে গা ছমছম করে উঠবে। কী দেখছেন? অসংখ্য তারা। ছায়াপথ। আর ঘন কালো, তমসাচ্ছন্ন এক বিশাল আকাশ। অন্তহীন আকাশগঙ্গা। মহাশূন্যের ওই অন্ধকারেই লুকিয়ে আছে কতোই না রহস্য! গ্রহ গ্রহাণু। ওরকম কোনও এক গ্রহেই হয়ত বাস করতেন আমার আপনার পূর্বপুরুষরা। আবার অদৃশ্য কোনও তারার দেশেও থাকতে পারে আপনার সেই চিরতরে হারিয়ে যাওয়া শেকড়।

কল্পবিজ্ঞানের গল্প মনে হচ্ছে?
চোখ কপালে উঠলো। ভ্রূ কুঁচকে সন্দেহের চোখে তাকাচ্ছেন। কিন্তু মার্কিন পরিবেশবিদ এবং জীব- উদ্ভিদ জগতের পরিবেশবিজ্ঞানী (ইকোলজিস্ট) ডক্টর এলিস সিলভার এমনটাই দাবি করেছেন। তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, মানুষ আসলে ভিনগ্রহের প্রাণী। তাঁর এই বক্তব্যের স্বপক্ষে তিনি বইও লিখে ফেলেছেন-  'হিউম্যানস আর নট ফ্রম আর্থ'। বইয়ের পাতায় পাতায়  তিনি মোট সতেরোটি যুক্তি ব্যাখ্যা করে বোঝাতে চেয়েছেন, মানবপ্রজাতি পৃথিবীতে এসেছিল সুদূর কোনও এক গ্রহ থেকে।
মানুষসৃষ্টির চলতি তত্ত্বটি এসেছিল ডারউইনের বিবর্তনবাদ থেকে। ওই তত্ত্বে এক মিসিং লিঙ্ক ছিল। সেই মিসিং লিঙ্ক খুঁজতে গিয়ে সুইজারল্যান্ডের গবেষক এরিক ভন ডানিকেন কয়েক দশক আগেই বলেছিলেন, ভিনগ্রহবাসীর সদিচ্ছাতেই মানুষের সৃষ্টি। সেই তাদেরই আমরা যুগ যুগ ধরে সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর বলে জেনে এসছি। ১৯৬৮ সালে তাঁর লেখা 'চ্যারিয়টস অফ দ্য গডস' সারাবিশ্বে ঝড় তোলে। এরপর ডানিকেনের লেখা আরও কয়েকটা বই বাজারে সোরগোল ফেলে দেয়। তবে তাত্ত্বিকরা ডানিকেনের মতামতকে তেমন পাত্তা দেননি।
এতো গেল নাহয় সৃষ্টিতত্ত্বের কথা। কিন্তু ভবিষ্যত?

"এ কোন সকাল? রাতের চেয়েও অন্ধকার !"

আগামী দিন ভয়ঙ্কর। ফ্র্যাঙ্কেস্টাইনের ভূমিকায় আমরা।
পরিবেশবিদরা সেই কবে থেকেই সতর্ক করে চলেছেন, পৃথিবী নামের এই গ্রহটার মাত্রাছাড়া গ্রিনহাউস গ্যাস এফেক্ট নিয়ে। বেড়ে চলেছে পৃথিবীর উষ্ণতা। গলে চলেছে মেরুপ্রদেশের বরফ। সমুদ্রতল উঠে আসছে। জলের তলায় ইতিমধ্যেই চলে গেছে ব্যাপক জমিন। আগামী দিনে সংশয় দেখা দেবে প্রাণীকূলের অস্তিত্ব নিয়ে।
"তবে ভয় পাবেন না," বুক ঠুকে বলেছেন বাকিংহাম সেন্টার ফর অ্যসট্রোবায়োলজির প্রফেসর মিল্টন ওয়েনরাইট। তাঁর মত, আমাদের ওপর অবিরত নজরদারি চালাচ্ছে ভিনগ্রহবাসীরা।
এই নজরদারির ঘটনা উঠে আসে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে, ব্রিটিশ পাবলিকেশনের 'দ্য এক্সপ্রেস' প্রকাশিত এক ফটোয়। ফটোটা ছিলো এক ছোট্ট মাইক্রোস্কোপিক পাথরের। অদ্ভুত দর্শন ওই পাথরটা অপার্থিব ছিল বলেই গবেষকদের মত। তবে তা সুনির্দিষ্ট ছক কষে গড়া। কিন্তু ওই পাথর এলো কোন জায়গা থেকে? গবেষকদের সন্দেহ, মঙ্গল থেকে। অদ্ভুত দর্শন পাথরটা তীরবেগে নিক্ষেপ করছিল  বায়োলজিক্যাল মেটেরিয়াল, বা জীবনের উপাদান বলতে পারেন। বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন ওই মেটেরিয়ালে জিন সংক্রান্ত কিছু থাকতে পারে, যা জীবনের অগ্রদূত। পৃথিবীতে প্রাণের বীজ ছড়িয়ে দিতে ভিনগ্রহবাসীরা এই কাজ করে থাকতে পারে। সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি সৃষ্টির পরমুহূর্ত থেকেই পৃথিবীতে প্রাণের উপাদান ছড়িয়ে দিতে চেয়েছে ভিনগ্রহবাসীরা?
প্রফেসর মিল্টন আর তাঁর দলবল নিয়ে ওই রহস্যময় পাথরের বিশ্লষণ করতে বসেন। সবকিছু খতিয়ে দেখে তাঁরা চমকে ওঠেন। গবেষকরা বলেন, "ওই পাথর শুধুই যে বিশ্বব্রহ্মান্ডের অন্য কোনও সভ্যতার দিকে ইঙ্গিত করছে তা নয়। বরং মনে হচ্ছে, অসীম ব্রহ্মাণ্ড থেকে কেউ পৃথিবীর নজরদারি করে চলেছে। হয়ত ওই ছোট্ট এক টুকরো পাথরেই লুকিয়ে আছে, মানবসভ্যতার উৎসের রহস্য। উত্তর মিলবে আমরা কোত্থেকে এসছি।"
প্রফেসর মিল্টনের চেয়ে আরও একধাপ এগিয়ে যান অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ইয়াং হাই চি। তাঁর আশ্বাস, ভিনগ্রহবাসীরা মনুষ্যকূলের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখার জন্য গবেষণায় নেমে পড়েছে।

"বিস্ময়ে  তাই জাগে !"

ভিনগ্রহবাসীদের এই অতি সক্রিয়তার তত্ত্ব কানে যেতেই, কপালে ভাঁজ পড়েছে অনেকের। তাঁদের সন্দেহ, হিতে বিপরীত হতে যাচ্ছে নাতো?
পৃথিবী দখলের ছক কষছে নাতো ভিনগ্রহের প্রাণীরা? আর সেই উদ্দেশ্যেই তারা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে এক নতুন প্রজাতির মানুষ। হাইব্রিড হোমো স্যাপিয়েন্স। এলিয়েন- ম্যান। এই সন্দেহের কারণ আমেরিকায় অপহরণের ঘটনা বেড়ে চলায়।
এই ঘটনা নিয়ে যাঁরা গবেষণা করছেন তাঁদের বক্তব্য, প্রতি একশোজন মার্কিন নাগরিকের মধ্যে প্রায় ছজনকে অপহরণ করা হয়। আর এই অপকর্মের পেছনে কলকাঠি নেড়ে চলেছে ভিনগ্রহবাসীরা। অপহরণের পরের ঘটনাও শুনিয়েছেন অনেকে। তাঁরা বলেছেন, "অপহরণ করে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়
ভিনগ্রহবাসীদের আকাশযান 'সসার'-এ। শোয়ানো হয় এক টেবিলে। সংগ্রহ করা হয় আমাদের বীর্য।" গবেষকদের মত, পৃথিবীবাসী পুরুষদের সেই বীর্য দিয়ে গর্ভবতী করা হয় ভিনগ্রহের নারীদের। কিন্তু কেন? মনে করা হচ্ছে, ভিনগ্রহের পুরুষবীর্য সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই তারা মানুষের মদতে নিজেদের বংশরক্ষা করছে। নইলে হতে পারে, একদিন ভিনগ্রহবাসীদের অস্তিত্ব বিলোপ হবে।

সুদূর অতীতেও অস্তিত্ব বিলোপ হতে বসেছিল ভিনগ্রহবাসীদের। সেবার আকাশগঙ্গার কোনও এক গ্রহের ডেরা থেকে পালিয়ে বেঁচেছিল তারা। আমাদের সেই আদিপুরুষদের ঠিকানা ছিল সম্ভবত লালগ্রহ। তিন থেকে দশ লক্ষ বছর আগের মাঝামাঝি, কোনও এক সময়ের সেই ভয়ঙ্কর যুদ্ধে ধ্বংস হয়ে গেছিলো সেখানে বাঁচার পরিবেশ। হতে পারে ওই গ্রহবাসীরা তখন আশ্রয় নিয়েছিল পৃথিবীতে !
তবে নিউ ইয়র্কের ইউনিভার্সিটি অফ রচেস্টারের অ্যাসট্রোফিজিসিস্ট আদম ফ্র্যাঙ্কের ধারনা, পরিবেশ বিপর্যয়ের খেসারত দিতেই ঝাড়েবংশে নিপাত যায় ভিনগ্রহবাসীরা।
আবার অনেকের মত খানিকটা ভিন্ন। সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মঙ্গল  আর বৃহস্পতির মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন গ্রহাণুর এক শৃঙ্খলা। তাঁদের সন্দেহ ওই শৃঙ্খলায় আরও একটি গ্রহ ছিল। সেই গ্রহ বিস্কোরণের ধাক্কায় টুকরো টুকরো হয়ে সৃষ্টি করে ওই গ্রহাণুর শৃঙ্খলা। সেই হারিয়ে যাওয়া গ্রহের বাসিন্দারাই নেমে এসেছিল পৃথিবীতে। যারা আজও আমাদের মধ্যে মিশে আছে। অথবা গোপনে লুকিয়ে আছে। নাকি তারা বেঁচে আছে আমাদের মধ্যেই ! তাহলে কি আমরাই সেই ভিনগ্রহবাসীদের বংশধর? প্রশ্ন তুলেছেন ডক্টর সিলভার।

আবার আরেক দলের ধারনা, ওসব কিছু না। ভিনগ্রহবাসীরা চাইছে পৃথিবীবাসীদের মদতে এক হাইব্রিড প্রজাতি তৈরি করতে। কিন্তু কেন, নেহাতই শখের বশে? অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির কিছু অধ্যাপক এই সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
"না," প্রফেসর ইয়াং হাই চি বলেন। তাঁর দাবি, ভিনগ্রহবাসীদের মনে কী আছে তিনি জানেন। "ভিনগ্রহবাসীরা চাইছে পরবর্তী প্রজন্মের পরিবেশ বান্ধব হাইব্রিড এলিয়েন-হিউম্যান বানাতে। যা বেড়ে চলা গ্রিনহাউস এফেক্ট, উষ্ণতর পৃথিবীর সঙ্গে বেশ মানিয়ে নিতে পারবে।" তাঁর বিশ্বাস, আজও আমাদের মধ্যে মিলেমিশে আছে বেশকিছু ভিনগ্রহবাসী। কিন্তু এদের চেনার কোনও উপায় নেই। কারণ মানুষের চেহারার সঙ্গে তাদের চেহারায় ভীষণ মিল। কিন্তু পরের প্রজন্মের হাইব্রিড অ্যালিয়েন- হিউম্যানদের চেহারা খানিকটা আলাদা হবে বলে তাঁর ধারণা। যদিও তখন তাদের মধ্যে ভিনগ্রহবাসীদের জিন থাকবে মাত্র চারভাগের এক ভাগ।
পৃথিবীতে ভিনগ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্বের কথা ঠারেঠোরে স্বীকার করেছে মার্কিনি সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীও, এমনটাই দাবি। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা, মাটির গর্ভে বা হতে পারে অতল সমুদ্রতলে তারা আস্তানা গেড়েছে।

হাই চি'র দাবি ভিনগ্রহবাসীদের ওই গবেষণা জোরকদমে চলায়, অপহরণের সংখ্যা বেড়ে গেছে। তার এই কথার মূলে আছে টেম্পল ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ইতিহাসবিদ ডেভিড জ্যাকবসের লেখা ভিনগ্রহবাসীদের আকাশযান নিয়ে লেখা একাধিক বই। পাশাপাশি তিনি আন্তর্জাতিক অপহরণ নিয়ে গবেষণা করেন 'ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাবডাকসন রিসার্চ'য়ে।
এ পর্যন্ত  তিনি এক হাজারের বেশি এমন লোকের সঙ্গে কথা বলেছেন যাঁদের দাবি, তারা অপহৃত হয়েছিলেন।  তাদের হিপনোটাইজ করে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘোরের মধ্যে থেকেও তাঁরা ভিনগ্রহবাসীদের কাজ- কারবার খানিকটা বুঝতে পেরেছিলেন। জ্যাকবসের কাছে তাঁরা সেই অভিজ্ঞতা জানান। তবে তাঁদের কথা কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তাতে সন্দেহ আছে খোদ জ্যাকবসেরও। কারণ তাঁরা কেউ তাঁদের দাবির স্বপক্ষে কোনও ফটো, বা 'সসার' থেকে চুপটি করে হাতিয়ে নেওয়া কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

"বলো কোথায় তোমার দেশ ?"

তবে যে যাই ভাবুন না কেন, ভিনগ্রহবাসীদের কোনওভাবেই শত্রু বলে ভাবতে রাজি না প্রফেসর ইয়াং হাই চি। বরং তাঁর মত, ভবিষ্যতের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঘন হয়ে  যাওয়া কার্বন ডায় অক্সাইডেও মানুষের এই শঙ্কর প্রজাতি দিব্য বেঁচেবর্তে থাকবে।
ইতিমধ্যেই উষ্ণতর পৃথিবীর স্বাদ পেয়েছে অ্যামাজোনিয়া, কঙ্গোর মতো বেশকিছু জায়গা। আবহাওয়া ব্যাপকহারে পাল্টে যাচ্ছে বিশ্বের নানা প্রান্তে। এই পরিবর্তনের ধাক্কায় ইতিমধ্যেই হারিয়ে গেছে প্রাণিজগতের বেশকিছু প্রজাতি। আগামিদিনে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে তারা হয়তো সরে যাবে মেরুপ্রদেশের দিকে। একই হাল হবে বিভিন্ন শস্যেরও। এই সম্ভাব্য বিপর্যয়ের ঘটনা ভিনগ্রহবাসীদের চোখ এড়ায়নি বলেই আশা অক্সফোর্ড গবেষকদের।
আসলে পৃথিবীর জল, বায়ু, আবহাওয়া কোনওদিনই মানুষের পক্ষে ছিল না বলে মত ডক্টর সিলভারের। শুধু মাধ্যাকর্ষণ শক্তিই না, সূর্যরশ্মির প্রাবল্যও মানবজাতির পক্ষে ঠিক মানানসই না। আমাদের আরও সতেজ থাকার জন্য চব্বিশ ঘণ্টার দিনরাত না হয়ে, পঁচিশ ঘণ্টার হলে ভালো হতো। আমাদের আদি ঠিকানা নিয়েও অন্য মত ডক্টর সিলভারের। তাঁর অনুমান মঙ্গলগ্রহ না, আমাদের আদিপুরুষের বাস ছিল আলফা সেন্টোরিতে। পৃথিবী থেকে ৪.৩৬৭ আলোকবর্ষ দূরে, এই আলফা সেন্টোরি কিন্তু কোনও গ্রহ না। এ আসলে সৌরজগতে দুই তারার যুগলবন্দি।
ঠিক এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন একটাই। মানবসভ্যতার শিয়রে যখন বিপদের ঘনঘটা, তখনও প্রফেসর হাই চি'র মানবদরদী ভিনগ্রহবাসীরা মানুষের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে না কেন? নাকি তারা অপেক্ষায় আছে আমরা কবে হাত বাড়াই?
ঘুরে বেড়াচ্ছে এমনি সব অসংখ্য প্রশ্ন। কিন্তু সব উত্তর আজও অধরা। আজও আমরা অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াচ্ছি আমাদের আদি পরিচয়। কোত্থেকে এসেছি? যাবই বা কোথায়? নাকি এক শঙ্কর প্রজাতির, হাইব্রিড মানুষ হয়ে পৃথিবী নামের এই গ্রহটায় দাপিয়ে বেড়াবো শুধুই আমরা?

(তথ্য ডক্টর সোহিনী মুখার্জি চক্রবর্তী)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours