অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, পূর্ব বর্ধমান:

(জন্মানোটাই কি আমার দোষ?)

অর্পিতা চক্রবর্তীর আত্মীয়-স্বজন এখানেই থেমে থাকেননি।আমি স্কুল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ও আমাকে একই ক্লাসে রেখে দিত দুই বছর। বুঝতে পারিনি তখন কেন আমার সাথে এমন করা হতো। আমি ধৈর্য হারিয়ে ফেলতাম। কিন্তু আমার কোন প্রকার প্রতিবাদ করার ছিল না। আমি একটি স্কুলের নবম শ্রেণীতে দুইবার পড়ার পর আবার স্থানান্তরিত করা হতো অন্য একটি স্কুলে। পুনরায় আবার সেই স্কুলের নবম শ্রেণীতে পড়তে হতো। আমি আমি রাগান্বিত হতাম। আর সেই রাগ গৌরী মার উপর দিয়ে পড়তো। আমি মনে মনে ঈশ্বরের প্রার্থনা করতাম। কিন্তু ঈশ্বর ও তখন আমার ডাকে সাড়া দিতেন না। তাই আমি এক সময় ঈশ্বরের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকতাম।যেমন মন্দিরে পূজা হলে আমি সেখানে জলন্ত মোমবাতি প্রদীপ ফুঁ দিয়ে নিভিয়ে দিতাম। আমার মনের কষ্টটা এইভাবে আমি প্রকাশ করতাম।কেন জানিনা এই ধরনের ক্ষোভ ঈশ্বরের প্রতি আমার মনে কিভাবে জন্মে গেল। যখন আমি গৌরী মাকে খুব প্রতিবাদ করতাম তখন গৌরী মা আমাকে বলতেন এর জন্য আমি দায়ী।এবং আমাকে পুনরায় আমার বাবা জর্জ বেকারের বাড়িতে কিছুদিনের জন্য রেখে আসতেন। আমি কিছুদিন বাবার বাড়িতে গিয়ে থাকতাম। বাবার বাড়িতে তখন অর্পিতা চক্রবর্তীর একচেটিয়া আধিপত্য। অর্পিতার কথাই শেষ কথা। কেন জানিনা। তাহলে কি আমার বাবা জর্জ বেকার অর্পিতা চক্রবর্তীর ব্ল্যাকমেইলের শিকার? না অন্য কিছু রহস্য আছে? যদি তা না হয়, তাহলে আমার বাবা জর্জ বেকার এর মত মানুষ অর্পিতা চক্রবর্তীর সব কথা মেনে চলতেন কেন?অবশ্য এটাও হতে পারে আমার বাবা জর্জ বেকার ও আমার মা তসলিমা নাসরিনের সম্পর্কের ঘটনা  নিয়ে অর্পিতা চক্রবর্তী আমার বাবাকে ব্ল্যাকমেইল করতেন। আমার বাবা তার সম্মানহানির ভয়ে অর্পিতা চক্রবর্তী কথা মেনে চলতেন।এই ধরনের যাই কিছু হোক সেটি প্রশাসনের তদন্ত করলেই সব সত্য সামনে আসবে। আমার বাবা জর্জ বেকার একটি সত্য ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি চক্রবর্তী ফ্যামিলি কে ব্যবহার করলেন তখন  আমার বাবা জানতেন না, পরবর্তীকালে বা ভবিষ্যতে আমার বাবা জর্জ বেকার কে আরো বড় ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। এখন এই ঘটনা জনসাধারণের সামনে আসতে চলেছে, তাই সব দায়ভার আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়া আমার বাবার জর্জ বেকার এর কাম্য নয়। আমি শুধু এই জগতে উপলক্ষ মাত্র। আমি যখন আমার বাবা জর্জ বেকার এর কাছে থাকতাম তখন আমার বাবার বাড়িতে এক ভদ্রলোক অর্পিতা চক্রবর্তী সহিত মাঝেমধ্যে দেখা করতে আসতেন। ভদ্রলোকের চেহারার গঠন উচ্চতার দিক থেকে লম্বা এবং ছিপছিপে চেহারা এবং গায়ের রঙ পরিষ্কার। উনাকে অরুণ নামে ডাকা হতো। উনার শুভ নাম ছিল অরুণ চক্রবর্তী।
একটি বাচ্চার কাছে যদি একদিকে তার জন্মদাতা পিতা ও জন্মদাত্রী মা থাকে এবং অন্যদিকে দত্তক পিতা ও মা/পালক পিতা ও পালক মা থাকে তখন যেকোন বাচ্চা সবসময় জন্মদাতা পিতা ও জন্মদাত্রী মাকে মন থেকে পিতা ও মাতা হিসেবে মেনে নেবে।যদিও তার জন্মদাতা পিতা ও জন্মদাত্রী মা যতই খারাপ হোক ওনাদের একটাই পরিচয় ওনারা পিতা ও মাতা। এটা ঈশ্বরপ্রদত্ত এর জন্য বাচ্চার কোন অপরাধ নেই। আমার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই।এখন যদি আমার জন্মদাতা পিতা ও জন্মদাত্রী মা ওনারা আমাকে পিতৃপরিচয় ও মাতৃ পরিচয় না দেন, তাহলে আমাকে এক প্রকার বাধ্য হয়ে আমার পিতৃ ও মাতৃ পরিচয় অধিকার ডি এন এ পরীক্ষার মাধ্যমে নিতে হবে।
অনেক জনসাধারণ ভাবছেন পিতা মাতার সম্মান হানি করে আমি আমার অধিকার চাইছি,সেই সমস্ত সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে বলছি, আমার স্থানে আপনাদের নিজেদের রেখে আপনারা একটু ভাবুন আপনারা নিশ্চয়ই আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। (ক্রমশ)

(প্রতিবেদনের যাবতীয় দায় লেখিকার)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours