ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ সাধক কবি নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায়ের পরিবারে শাক্ত ও বৈষ্নব ধর্মের এক অপূর্ব সংমিশ্রন ঘটেছে! একই উঠানে কালী , দুর্গা ও রাধা গোবিন্দ ও লক্ষ্মী নারায়নের মন্দির আছে! নিত্য পুজাও হয়! কালী মন্দিরে কুল গোপালের পুজাও হয় ( এই পরিবারের গোপালের নাড়ু নয় কুল ভোগ দেওয়া হয়)
পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর -ফরিদপুর ব্লকের ধবনী গ্রামে মুখোপাধ্যায় পরিবারের সন্তান সাধক কবি নীলকন্ঠ! তাঁর কৃষ্ন যাত্রার খ্যাতি ছিল দেশ জোড়া! অবিভক্ত বাংলার প্রতিটি রাজবাড়ীতে তাঁর কৃষ্ন যাত্রার আসর বসত! তিনি নিজে নিরক্ষর হয়েও প্রচুর গান রচনা করেছেন!
তিনি অপূর্ব গান গাইতেন! স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর গান গাইতেন! স্বয়ং রামকৃষ্নদেব নীলকন্ঠের গান শুনতেন! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তাঁর গান শুনতেন!
নীলকন্ঠের পিতা বামাচরন মুখার্জী প্রায় আড়াই'শ বছর পু্র্বে দুর্গাপুজার পত্তন করেন! কিছুদিন পর স্বপ্নাদেশ পেয়ে পাশেই কালী পুজা শুরু করেন! পরে তাঁর পুত্র নীলকন্ঠ স্বপ্নাদেশ পেয়ে আউসগ্রামের কালিকাপুর থেকে রাধাকৃষ্নের যুগল মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন!
ধবনীর মুখার্জী বাড়ীর পুজা শাক্ত মতে করা হয়! সপ্তমীতে চাল কুমড়ো, অষ্টমীর সন্ধিক্ষনে শ্বেত ছাগ, নবমীতে আখ ও ছাগ বলি দেওয়া হয়! সপ্তমী থেকে নবমী প্রতিদিন থাকে পংতি ভোজের ব্যবস্হা!
দশমীতে বাড়ীর মেয়ে বৌ সকলে মিলে দেবী বরনের পর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে! বিসর্জনের বিদায়ের সুর মনকে ব্যাথিত করলেও, প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় সাধক কবি নীলকন্ঠের গান গেয়ে গ্রাম পরিক্রমা করে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়!
Post A Comment:
0 comments so far,add yours