অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, পূর্ব বর্ধমান:

(বিধাতা কি তোমাদের বিবেক দিয়েছেন?)

ছোট অবস্থায় অর্পিতা বেকার আমার সাথে যেমন মানসিক অত্যাচার চালিয়ে ছিলেন, এরপর থেকে আবার সেই অত্যাচার পুনরায় চালু করলেন।সর্বপ্রথম বিজেপি পার্টির একটি ভদ্রলোককে দিয়ে ফোন করালো। এবং পরিচয় গোপন করে আমাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলো। উনি ফোন করেছিলেন সঞ্জয় মিশ্রার নাম নিয়ে। উনি পরিচয় দিয়েছিলেন উনি একজন ব্যবসায়ী। উনার চুনের গোডাউন আছে পূর্ব বর্ধমানের যেখানে ল্যাংচা পাওয়া যায় সেখানে। কিন্তু শক্তিগড় নামটা বলতে পারেননি। যদিও আমি টেলিফোনে কথা বলিনি আমার স্বামী ইন্দ্রনাথ ফোনে কথা বলছিলেন।ইন্দ্রনাথের সন্দেহ হয় এবং সঞ্জয় মিশ্রা নামক ভদ্রলোককে বলেন আপনার যেখানে চুনের গোডাউন আছে অর্থাৎ যেখানে আপনার ব্যবসা চলে, সেই স্থানের নামটা আপনি কেন বলতে পারছেন না। এইভাবে ওই ভদ্রলোককে আমার স্বামীর কাছে হার মানতে হয়। এবং উনি তখন আমাদের বলেন আমি বিজেপি পার্টির থেকে বলছি। উনার ফটো দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজ করে আমার স্বামী, জানতে পারেন ওই ভদ্রলোকের প্রকৃত নাম সুধীর কুমার পান্ডে। উনার হাওড়া বাড়ি। উনি আমাদের ভয় দেখাতে শুরু করেন। তুমি বলেন তুমি তোমার বাবাকে ধরছো কেন? তোমার মা খুঁজে দেখাও! মা কে ধরো।
আমি তো ঠিক বুঝতেই পারলাম না সুধীর কুমার পান্ডের আমার এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্ক কি। তার কিছুদিন পর সুধীর কুমার পান্ডে আমাকে বলেন কত বড় বড় কেস আদালতে পড়ে আছে, আদালতে অভিযোগ করে কোন প্রকার ফল পাওয়া যাবে না।সুধীর কুমার পান্ডে কে দিয়ে যখন অর্পিতা বেকার কোন ফল পেলেন না তখন অর্পিতা বেকার অন্য রাস্তা বের করলেন। আমাদের পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি নেতা অঞ্জন মুখার্জিকে দিয়ে আমাকে রাত্রে টেলিফোন করে বলানো হয় "তোকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভোগ করে ছেড়ে দেওয়া হবে"!!!!এই কথা শুনে আমি সেই রাত্রেই আমার স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কে বলি। এবং তার পর থেকে আমাকে আর ওই ধরনের কথা বলেননি। এদিকে আমার স্বামী পরবর্তীকালে ফোন নাম্বার নিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে  জানতে পারেন, যে ফোনটি বিজেপি নেতা অঞ্জন মুখার্জীবাবুর কাছে থেকে একটি ছেলে করেছিল যার নাম অরিত্র সাঁই। এরপর অঞ্জন মুখার্জী বাবু আমাকে ও আমার স্বামীকে দেখা করার কথা বলেন। আমরা ওখানে গিয়েছিলাম অঞ্জন বাবুর কাছে দেখা করতে পূর্ব বর্ধমানের উমা ভবনে। অঞ্জন কাকু আমাকে দেখেই আমার হাত ধরে ক্ষমা চেয়ে ছিলেন। এবং উনি বলেছিলেন আমি ফোনটা জেনেবুঝে করিনি। আমাকে অর্পিতা বৌদি ফোনটা করার জন্য বলেছিলেন। আমিতো জানতাম না তুমি জর্জদার মেয়ে।অবশ্য তারপর থেকে অর্পিতা বেকারের কথায় অঞ্জন কাকু আমাদের সাথে আর কোন প্রকার খারাপ কথা বলেননি। কিন্তু সুধীর কুমার পান্ডে আজও আমাদের পিছনে পড়ে আছেন। উনি এটা জানেন না যে আমি ভয় পাবার মেয়ে নয়। আমার শরীরে আমার বাবার জর্জ বেকার ও আমার মা তসলিমা নাসরিনের রক্ত বইছে। আমি তা প্রমাণ করানোর জন্য ডি এন এ পরীক্ষার অপেক্ষায় আছি। হয়ে যাক ডি এন এ পরীক্ষা। (ক্রমশ)

(প্রতিবেদনের যাবতীয় দায় লেখিকার)
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours