Khuner protibad
মোঃ মাসুদ হাসান, ফিচার রাইটার, রঘুনাথগঞ্জ:

গত 8/10/19 মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জ থানার  প্রাথমিক শিক্ষক ও বিশিষ্ট RP, বন্ধু প্রকাশ পাল (ডাক নাম বুড়ো) তাঁর সন্তান সম্ভবা স্ত্রী বিউটি পাল আর একমাত্র পুত্র অঙ্গন পাল তিনজনে তাঁদের বাসভবনে সকাল 10-11এর মধ্যে আততায়ীদের হাতে খুন হন।

আমরা আজ সকাল থেকে সারাদিন লালবাগ মহকুমা পোস্ট মর্টেম বিভাগের সামনে বুড়োর আত্মীয়দের সাথে উপস্থিত ছিলাম, যাবতীয় তদারকির কাজে অংশ নিয়েছি। আপনাদের মনেই শুধু নয় আমাদের সবার মনে একটাই জিজ্ঞাসা এই জঘন্য অপরাধ করলো কে বা কারা, পুলিশ তাদের হদিস পেয়েছেন কিনা, আততায়ীরা চিহ্নিত এবং গ্রেফতার হয়েছে কিনা?

সহজ করে বললে এইসব প্রশ্নের উত্তর হলো না, কেউ এখন ও গ্রেফতার হয়নি। তাহলে আপডেটের বাকী কী থাকে?

সারাদিন লালবাগে থাকার পরে সন্ধ্যা 5.30 এর পর রওয়ানা দিই জিয়াগঞ্জ থানার দিকে এবং রাত 7-30 নাগাদ পৌঁছে যায় জিয়াগঞ্জ থানায়। সেখানে পৌঁছে জানতে পারলাম বাড়ির লোক সহ শিক্ষক মুরসালিম সেখ সাইদুর  রহমান এবং UFUM এর পক্ষে ADV মোঃ মোজাম্মেল  হক দফায় দফায় পুলিশের সাথে কথা বলেছেন এবং আমি যখন পৌঁছয় তখন জিয়াগঞ্জ থানায় ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার(SP) স্বয়ং, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ASP), SDPO, IC. একাধিক জনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তখন ও জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া চলছিল উপস্থিত সকল পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে। পুলিশ একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টা দেখছে এবং তদন্ত করছে। এর মধ্যে, আত্মীয়, পরিচিত, পরিচারিকা যেমন আছে তেমনি সন্দেহ ভাজনের তালিকায় বুড়োর সাথে লেনদেনের সম্পর্ক ছিল বা থাকতে পারে এমন ব্যক্তিদের ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ সবরকম ভাবে চেষ্টা করছে, তৎপরতা দেখাচ্ছে এটা লক্ষ্য করা গেছে। বুড়োর আত্মীয়রা ছাড়াও থানায় উপস্থিত ছিলেন  অনেক শিক্ষক, তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ তাঁর গ্রামের (সাহাপুর) প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব মিলে শতাধিক জন।

পুলিশ আধিকারিক গন জিজ্ঞাসাবাদের মাঝেই একাধিকবার বাইরে বেরিয়ে এসে দোষীদের গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তি প্রসঙ্গে আশ্বাস দিয়ে যান। মর্মান্তিক ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সহানুভূতি জানান।

পুলিশ সবার সামনে বারবার একটা কথা বলেন যে, ঘৃণ্য অপরাধীদের ছাড়া হবে না। সামগ্রিকভাবে পুলিশি তৎপরতা দেখা গেছে।

এরপরেও পুলিশ কোন প্রকার তদন্তে ঢিল যাতে না দেয় সে বিষয়ে আমরা নাগরিক সমাজ এর পক্ষ থেকে সতর্ক নজর রেখে চলেছি এবং আগামীতে চলবো। আগামী কাল জিয়াগঞ্জের নেতাজী মোড়ে একটা নাগরিক সমাবেশ রয়েছে যা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং ধর্ম বর্ণ জাতি নিরপেক্ষ, সকলকে এই সমাবেশে আহ্বান জানানো হয়েছে।

ধর্ম এবং রাজনীতির প্রসঙ্গে একটা কথা না বললেই নয়, বুড়োর হত্যাকাণ্ডের সাথে একটা ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক মহল স্বার্থসিদ্ধির পথ খুঁজতে ঘটনাকে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা করছে, আমরা এই প্রচেষ্টা সর্বাত্মক ভাবে রুখে দিতে সক্ষম হবো এই ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।

আজ উপস্থিত লোকের মধ্যে আমাদের সাথে ছিলেন সিপিএমের  প্রাক্তন প্রধান হাসান আলী  তৃণমূলের  প্রাক্তন প্রধান স্বপনবাবু  যুব কংগ্রেসের পক্ষে ছিলেন সাইদুর রহমান এরকম অনেকেই ছিলেন কিন্তু তাঁরা কেউই সেখানে রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্য ছিলেন না ; ছিলেন বন্ধুর প্রতি সহানুভূতিশীল,সমব্যথীর পরিচয়ে। আর বুড়োও জীবদ্দশায় কখন ও কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি এমনকি শক্ত সমর্থকের অবস্থানেও ছিলেন না,আর ধর্মীয় সংকীর্ণতা ও তাঁর মধ্যে ছিল না। আর ধর্মীয় বিদ্বেষ থাকার তো প্রশ্নই ওঠে না।

আমরা আশাবাদী যে দোষীরা অবিলম্বে ধরা পড়বে এবং কঠোর শাস্তি পাবে। প্রশাসনিক গাফিলতি দেখা দিলে আমরা জোরদার প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে তুলতে সদাই প্রস্তুত আছি।

সকলের প্রতি একটা অনুরোধ, এই ঘটনার সাথে রাজনীতি কিংবা ধর্মীয় সংকীর্ণতাকে জড়াবেন না। UFUM সহ আমরা মুর্শিদাবাদ জেলার নাগরিক সমাজ, সমস্ত শিক্ষক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন  যতক্ষণ না আততায়ীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে ততক্ষন শোকাতুর পরিবারের পাশেই রয়েছি. কোনোরকম ভাবে আততায়ীকে আড়াল করার চেষ্টা হলে বা সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা হলে  আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বো। ও অদ্ভুত আচরন


মোঃ মাসুদ হাসান, ফিচার রাইটার, রঘুনাথগঞ্জ:


গত 8/10/19 মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জ থানার  প্রাথমিক শিক্ষক ও বিশিষ্ট RP, বন্ধু প্রকাশ পাল (ডাক নাম বুড়ো) তাঁর সন্তান সম্ভবা স্ত্রী বিউটি পাল আর একমাত্র পুত্র অঙ্গন পাল তিনজনে তাঁদের বাসভবনে সকাল 10-11এর মধ্যে আততায়ীদের হাতে খুন হন।

আমরা আজ সকাল থেকে সারাদিন লালবাগ মহকুমা পোস্ট মর্টেম বিভাগের সামনে বুড়োর আত্মীয়দের সাথে উপস্থিত ছিলাম, যাবতীয় তদারকির কাজে অংশ নিয়েছি। আপনাদের মনেই শুধু নয় আমাদের সবার মনে একটাই জিজ্ঞাসা এই জঘন্য অপরাধ করলো কে বা কারা, পুলিশ তাদের হদিস পেয়েছেন কিনা, আততায়ীরা চিহ্নিত এবং গ্রেফতার হয়েছে কিনা?

সহজ করে বললে এইসব প্রশ্নের উত্তর হলো না, কেউ এখন ও গ্রেফতার হয়নি। তাহলে আপডেটের বাকী কী থাকে?

সারাদিন লালবাগে থাকার পরে সন্ধ্যা 5.30 এর পর রওয়ানা দিই জিয়াগঞ্জ থানার দিকে এবং রাত 7-30 নাগাদ পৌঁছে যায় জিয়াগঞ্জ থানায়। সেখানে পৌঁছে জানতে পারলাম বাড়ির লোক সহ শিক্ষক মুরসালিম সেখ সাইদুর  রহমান এবং UFUM এর পক্ষে ADV মোঃ মোজাম্মেল  হক দফায় দফায় পুলিশের সাথে কথা বলেছেন এবং আমি যখন পৌঁছয় তখন জিয়াগঞ্জ থানায় ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার(SP) স্বয়ং, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ASP), SDPO, IC. একাধিক জনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তখন ও জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া চলছিল উপস্থিত সকল পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে। পুলিশ একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টা দেখছে এবং তদন্ত করছে। এর মধ্যে, আত্মীয়, পরিচিত, পরিচারিকা যেমন আছে তেমনি সন্দেহ ভাজনের তালিকায় বুড়োর সাথে লেনদেনের সম্পর্ক ছিল বা থাকতে পারে এমন ব্যক্তিদের ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ সবরকম ভাবে চেষ্টা করছে, তৎপরতা দেখাচ্ছে এটা লক্ষ্য করা গেছে। বুড়োর আত্মীয়রা ছাড়াও থানায় উপস্থিত ছিলেন  অনেক শিক্ষক, তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ তাঁর গ্রামের (সাহাপুর) প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব মিলে শতাধিক জন।

পুলিশ আধিকারিক গন জিজ্ঞাসাবাদের মাঝেই একাধিকবার বাইরে বেরিয়ে এসে দোষীদের গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তি প্রসঙ্গে আশ্বাস দিয়ে যান। মর্মান্তিক ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সহানুভূতি জানান।

পুলিশ সবার সামনে বারবার একটা কথা বলেন যে, ঘৃণ্য অপরাধীদের ছাড়া হবে না। সামগ্রিকভাবে পুলিশি তৎপরতা দেখা গেছে।

এরপরেও পুলিশ কোন প্রকার তদন্তে ঢিল যাতে না দেয় সে বিষয়ে আমরা নাগরিক সমাজ এর পক্ষ থেকে সতর্ক নজর রেখে চলেছি এবং আগামীতে চলবো। আগামী কাল জিয়াগঞ্জের নেতাজী মোড়ে একটা নাগরিক সমাবেশ রয়েছে যা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং ধর্ম বর্ণ জাতি নিরপেক্ষ, সকলকে এই সমাবেশে আহ্বান জানানো হয়েছে।

ধর্ম এবং রাজনীতির প্রসঙ্গে একটা কথা না বললেই নয়, বুড়োর হত্যাকাণ্ডের সাথে একটা ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক মহল স্বার্থসিদ্ধির পথ খুঁজতে ঘটনাকে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা করছে, আমরা এই প্রচেষ্টা সর্বাত্মক ভাবে রুখে দিতে সক্ষম হবো এই ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।

আজ উপস্থিত লোকের মধ্যে আমাদের সাথে ছিলেন সিপিএমের  প্রাক্তন প্রধান হাসান আলী  তৃণমূলের  প্রাক্তন প্রধান স্বপনবাবু  যুব কংগ্রেসের পক্ষে ছিলেন সাইদুর রহমান এরকম অনেকেই ছিলেন কিন্তু তাঁরা কেউই সেখানে রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্য ছিলেন না ; ছিলেন বন্ধুর প্রতি সহানুভূতিশীল,সমব্যথীর পরিচয়ে। আর বুড়োও জীবদ্দশায় কখন ও কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি এমনকি শক্ত সমর্থকের অবস্থানেও ছিলেন না,আর ধর্মীয় সংকীর্ণতা ও তাঁর মধ্যে ছিল না। আর ধর্মীয় বিদ্বেষ থাকার তো প্রশ্নই ওঠে না।

আমরা আশাবাদী যে দোষীরা অবিলম্বে ধরা পড়বে এবং কঠোর শাস্তি পাবে। প্রশাসনিক গাফিলতি দেখা দিলে আমরা জোরদার প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে তুলতে সদাই প্রস্তুত আছি।

সকলের প্রতি একটা অনুরোধ, এই ঘটনার সাথে রাজনীতি কিংবা ধর্মীয় সংকীর্ণতাকে জড়াবেন না। UFUM সহ আমরা মুর্শিদাবাদ জেলার নাগরিক সমাজ, সমস্ত শিক্ষক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন  যতক্ষণ না আততায়ীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে ততক্ষন শোকাতুর পরিবারের পাশেই রয়েছি. কোনোরকম ভাবে আততায়ীকে আড়াল করার চেষ্টা হলে বা সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দেওয়ার চেষ্টা হলে  আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বো।
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours