ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ
ভাতার ব্লকের মাহাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ছোট্ট গ্রাম বেরোয়! গ্রামের বেশীর ভাগ মানুষের জীবিকা কৃষিকাজ! গুসকরা শহর থেকে ১০ কিঃমিঃ উত্তর পূর্বে , মানকর - কাটোয় রুটে দাউড়াডাঙা থেকে বারমল্লিক রাস্তার ধারে কুনুর নদীর দক্ষিনতীরে আর পাঁচটি গ্রামের মতোই সাধারন গ্রাম! গ্রামে প্রায় সব জাতির বাস!
এই গ্রামে এক অলৌকিক ঘটনার মধ্যদিয়ে ১৯৭৪ সালে মা তারার পুজার পত্তন হয়েছিল! সেই বছর গ্রামের প্রাক্তন জমিদার চৌধুরী পরিবারের দুর্গাপুজো করছিলেন, শিবদাস অধিকারীর মধ্যম পুত্র কেশবদাস অধিকারী! দুর্গা মন্দিরে অষ্টমীর সন্ধ্যারতি করার সময় উপস্হিত ভক্তরা এক অলৌকিক দৃশ্য অবলোকন করেন! কেশবদাস প্রজ্বলিত হোমাগ্নির উপর দাঁড়িয়ে বিভোর হয়ে আরতি করছেন! আগুনের উপর দাঁড়িয়ে আরতি করলেও আগুন তাঁকে স্পর্শ করেনি! কেশবদাস তখন বাহ্যঞ্জান লুপ্ত! হতবাক উপস্হিত ভক্তরা! এরপর সকলে আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলে অঞ্জান হয়ে পড়ে যান কেশবদাস!
মা তারার পুজা হয় বৈষ্নব মতে! কোন বলিদান হয় না! প্রতি বছর প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রথা নেই! তারা মায়ের স্বপ্নাদেশ পেলে সেই বছর পুরানো প্রতিমা বিসর্জন করা হয়!
কালীপুজার রাত্রে পংক্তিভোজের ব্যবস্হা থাকে! এই পুজোকে কেন্দ্র করে সারা গ্রামে উন্মাদনার সৃষ্টি হয়! বহু দুর দুরান্ত থেকে ভক্তরাও আসেন!
Post A Comment:
0 comments so far,add yours