ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ  কৃষ্ননগর  থেকে  ব্যর্থমনোরথ  হয়ে  রূপেন্দ্র  গেলেন ত্রিবেনী, শিক্ষাগুরু  জগন্নাথ  তর্কালঙ্কারের  নিকট! আশা  ছিল  বিদ্বান  পন্ডিত  উদার মনস্ক  গুরুদেব  ' নারী - শিক্ষার ' সহযোগীতা করবেন! কিন্তু  সে আশাও  ব্যর্থ হ'ল, তিনিও  ভবতারন গাঙ্গুলী  ও রাজা কৃষ্নচন্দ্রের  মতোই  কুপমন্ডুক  ব্রাক্ষ্মনবাদকেই  সমর্থন  করে  নারী  শিক্ষার  বিরূদ্ধে  মত  পোষন  করলেন!
         রূপেন্দ্রর  মনটা  ভারাক্রান্ত  হয়ে  উঠল! অনেক আশা  নিয়ে  কাশীধাম  থেকে  তৈলঙ্গস্বামীর  নির্দেশে  গৌড়ে  ফিরে  এসেছিলেন! কিন্তু  প্রথম  আঘাত  পেলেন  কন্যাকে  না  দেখতে  পেয়ে, আদর  না  করতে  পেরে! নদীয়া  রাজের  কাছে  দরবার  করতে  গিয়েও  ব্যর্থ  হলেন, রানী  জানিয়ে  দিলেন, রাজা  ' স্ত্রী  শিক্ষার ' বিরূদ্ধে! সর্বশেষে  শিক্ষাগুরুর  কাছে! কিন্তু  আবার  ব্যর্থ  হলেন! তিনি  তাঁকে  শর্তসাপেক্ষে  সমর্থন  করতে  রাজী  হলেন! রূপেন্দকে পূনর্বিবাহ  করতে  হবে!
রূপেন্দ্র   সেই  প্রস্তাব প্রত্যাখান  করায় গুরুদেবও  মুখ ফেরালেন !
  
     
      ইতিমধ্যে  দুঃসংবাদ  পেয়েছেন, তাঁর  জগুপিসিমা  দেহ  রেখেছেন! বোন  কাত্যায়নী   গঙ্গারামকে  নিয়ে  মানকরে  বাস  করছে! তাঁর  মন  ভারাক্রান্ত  হয়ে  উঠল, যে  পিসিঠাকরুন  তাঁকে  মায়ের  মতো  ভালবাসতেন  সংসারটা  আগলে  রেখেছিলেন  আজ  তিনি  নেই  ভাবতে  পারছেন  না! আর  অনুশোচনায়  মন  আরো  ভারাক্রান্ত  হ'ল  শেষ  সময়ে  তিনি  জল  পেয়েছিলেন  কিনা? কে  দাহ  করল? শ্রাদ্ধ  শান্তি  আদৌ  কেউ  করল  কিনা?  হতাশা  যখন আষ্টেপৃষ্টে  জড়িয়ে  ধরেছে  ! ষয়  অপ্রত্যাশিতভাবে  পেলেন  এক  পরম  বন্ধুকে!
( চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours