স্বপন দাস, প্রবীণ সাংবাদিক, কলকাতা:

রাজ্যের রাজনীতিতে এবার কি ব্রাত্যের তালিকায় যেতে চলেছেন প্রাক্তণ মেয়র তথা প্রাক্তণ অগ্নি নির্বাপণ দফতরের মন্ত্রী , তৃণমূল কংগ্রেসের এক সময়ের হেভিওয়েট নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় ? এমনটাই ভাবছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। কেন এমনটি হল, সেই কারণ খুঁজতে গিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শোভনের এখনকার সঙ্গী বৈশাখীর ক্ষমতা লোভি মানসিকতাকেই দায়ী করছেন , একসময়ের শোভন ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু রাজনৈতিক জগতের মানুষজন। আসলে এই কথাটা বারে বারেই উঠে এসেছে , যবে থেকে বৈশাখী শোভনের জীবনে পা দিয়েছেন। আবার রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন , শোভনের রাজনৈতিক জীবনকে একদিকে যেমন শেষ করার জন্য বৈশাখীকে পাঠানো হয়েছিল, তেমনি তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা শোভনকে সেখান থেকে সরিয়ে দেবার লক্ষ্যে যে জাল ছড়ানো হয়েছিল, সেই জালেই আটকে পড়ে ,রাজনৈতিক দিক থেকে একেবারেই শেষ শোভন নামক ব্যাক্তি। এখন একটা জড় ব্যাক্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। 

কয়েকদিন আগে শোভন একটু তল পেতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েই ভেবেছিলেন যে তাঁকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করবে বিজেপি। আর কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপিতে বৈশাখীর ক্ষমতার ভাঁড়ার পুর্ণ হয়ে উঠবে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে , এক্ষেত্রে একটা প্রচ্ছন্ন চাপ ছিল বৈশাখীর। কিন্তু বিজেপির বুঝতে অসুবিধা হয়নি সেসব। তাই কোন ভাবেই শোভনকে গুরুত্ব দেওয়া দূরে থাক , কোন বিষয়েই পাত্তা দেওয়া হয়নি। এখানেই অপমানিত শোভন। মোহভঙ্গের যন্ত্রণায় জর্জরিত বৈশাখী এবার বিজেপি ছাড়তে উদ্যত। অন্যদিকে পুরোন বন্ধু দেবশ্রী আবারো বন্ধুত্বের হাত নাকি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই হাত ধরতে দেননি বৈশাখী । এখানেই আবারো ধাক্কা খান শোভন। এদিকে নিজের এন জি ও’র জন্য সামান্য দরকারে বিজেপি কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে সবাই ভেবেছিলেন যে দেবশ্রী নাকি যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। আসলে সেটা হল না। এখানেও শেষ মুহূর্তে হয়ত শোভনকে কিছু মতামত দিতে চেয়েছিলেন দেবশ্রী। রাজনৈতিক মহল মনে করছে , বন্ধু হিসাবে আজো দেবশ্রীর একটা দুর্বলতা রয়েছে , যেটা তিনি এড়িয়ে চলতে পারেন না, সেই জায়গা থেকেই তিনি ছুটে গিয়েছিলেন। বৈশাখী এই বিষয়টা হয়ত বুঝে ছিলেন। তাই হয়ত    শোভনকে সর্ব শক্তি দিয়ে আটকে ছিলেন।
যাই হোক , এখন শোনা যাচ্ছে শোভন হয়ত খুব শিগগিরই বিজেপি ছাড়ছেন। কিন্তু তিনি কি আবার ফিরবেন নিজের পুরোন দলে। সেটা হয়ত সম্ভব নয়। কেননা তাঁর জন্য পরোক্ষে দলে দরজা বন্ধ করে রেখে দেবেন এখনকার বেশ কিছু শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। তাহলে তিনি যাবেন কোথায় ? রাজনৈতিক মহল মনে করছেন , তিনি হয়ত রাজ্য কংগ্রেসে ফিরবেন। আর ফিরলেই একটা সাংগঠনিক বড় পদও পেয়ে যেতে পারেন। তাই রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শোভন হয়ত কংগ্রেসেই যোগ দেবেন।


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours