politics
জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:
 
সি আই টি ইউ কে, তেমন একটা ঘোষনা রেখেই,
আজকের দিনে একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্র এবং
সংবাদ চ্যানেল নির্মান করার কাজটাকেই প্রথম দায়
হিসেবে নিতে হোত।

গতকাল একটি ব্যক্তিগত ইলেক্ট্রনিক পোর্টালে (দ্য অফনিউজ) এ যে সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছিলাম, তাই প্রমানিত হোল, শ্রী রাবিশ কুমারের, রামোস ম্যাগাসায় পুরস্কার পাওয়ার প্রশ্নে।

গতকালের লেখায়, বলেছিলাম - অপেক্ষায় রইলাম, মিডিয়া সংবাদটিকে কিভবে পরিবেশন করছে। সেই সুত্রেই উল্লেখ করেছিলাম - ১৯৬১ সালে যখন, অমিতাভ চৌধুরি একজন ভারতীয় হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন, ভারতীয় সংবাদ পত্রের প্রথম পাতায়, প্রথম হেড লাইন হিসেবে সংবাদটি পরিবেশন করেছিলো।
কাল রাত  থেকে মিডিয়াকে যতটুকু অনুসরন করেছি, তা থেকে স্পষ্ট, যা ভেবেছিলাম তাই ঘটেছে।
-----  এই পুরস্কারে  মিডিয়া জগতের দেশী-বিদেশী 'বাবারা' যথেষ্ট সংকিত এবং তারা   এই সংবাদকে ব্ল্যাক  আউট করেছেন।

সংবাদ সংগ্রহ এবং পরিবেশনায়, শ্রমিক শ্রেনীর দলগুলির সংবাদ মাধ্যমগুলিকে আরো স্পর্শকাতর হওয়ার প্রয়োজনের কথা মনে রেখেই
বলতে চাই
-----  এই সংবাদের পরিবেশনার প্রকৃতিতে নিজেকে হতাস মনে হয়েছে।    আমরা যে কাল ধরে চলেছি এবং যেখানে সংবাদের নির্মেতারা ঠিক করেই নিয়েছে, সত্যকে প্রকাশিত হতে দেওয়া হবে না, তখন কোন শ্রমিক শ্রেনীর কাগচ
----    বাজারে যা আছে এবং যা সবাই মিডিয়ায় দেখছে তাকে তুলে ধরেই সাংবাদিকতার ভূমিকাকে শেষ করতে পারেন না তারা,
----   , সত্যের জন্য, একমাত্র  যাদের উপরে মানুষেকে বিশ্বাস করতে হবে, তাদেরকে। 
ভারতবর্ষের প্রবীন জনসত্বার যারা এখনো বেঁচে থেকে জরুরীকালিন সময়ের সাংবাদিকতার কথা স্মরনে রেখেছেন, তারা নিশ্চিত তফাৎটা বুঝতে পারছেন। সেকালে তো এরকম আইন ছিলো না, যেখানে যে কোন লোককে সন্ত্রাসবাদী মনের করলেই, থানার কনেষ্টবল তাকে ধরে নিয়ে যেতে পাড়বেন। কিংবা কোন রাজ্যকে সামরিকবাহিনীকে দিয়ে ঘেরাও করিয়ে , বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে নেওয়া হবে।

আজ যদি, বিশ্লেষন মুলক সংবাদের জন্য বিশ্ব সম্মানকে মেঘে ঢেকে রাখার সিদ্ধান্ত হয়, তার অর্থ একটাই
----- আগামীদিনেও, ভারতকে সংবাদ দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন রেখে, ভারতীয় আত্মাকে ধ্বংসের কাজটা চলতে থাকবে।
-----  প্রসংগত স্মরন করিয়ে দেবো, রাবিশ কুমারকে ব্যক্তিগতভাবে, শ্রীমতি বরখা দত্তকে যেভাবে সাংবাদিক দুনিয়া থেকে পৃথক করে দেওয়ার জন্য যা করাহয়েছিলো, তেমন কিছু করা হয় নাই। কিন্তু যে মাধ্যমের তিনি সংবাদিক প্রধান, সেই , এন ডি টি ভিকে যত রকম হেনস্তা করার প্রয়োজন তা করা হয়েছে
---   শেষ পর্য্যন্ত সেই টি ভি প্রধান, প্রনয় রায়কে, যিনি ভারতে কার্য্যতঃ ডিজিটাল সংবাদ প্রচার ব্যবস্থার জনক বলে পরিচিত, তাকে এন ডি টি ভি ত হেকে সরে যেতে বাধ্য করার হুকুম পর্য্যন্ত হয়েছিলো এবং শেষ পর্য্যন্ত সরকারকে সেই অবস্নথান থেক  সরে আসতে হয়েছিলো শেষ পর্য্যন্ত। 

প্রসংগত  উল্লেখ করেছিলাম, ম্যাগাসায় সাংবাদিকতায় এসিয়ার নোবেল নামে খ্যাত। অমিতাভ চৌধুরির পর ভারতের  সাতজন,এই স্বিকৃ্তি পেয়েছেন। 

ভারতের  মিডিয়া জগত যখন বিশ্বের নিকৃষ্টতম সাংবাদিকতার পদবীকে পরম আহ্ললাদে বিশ্বজয়ধ্বনী দিয়ে চলেছে, তখন আবর্জনার পাহাড়ের উপরে দাড়িয়ে যখন  একজন বিশ্লেষন মুলক সংবাদকে বিশ্বের দরবারে পৌচ্ছে দেন, তার কৃ্ত্বত্বটাই তো আলাদা। 
এটাও বুঝেছিলাম, এই কৃ্তিত্ব -  সেই স্বল্প সংখ্যাক মানুষ, যারা এখনো নিরপেক্ষতা পছন্দ করেন তারা অন্তত এই সংবাদ যখন মিডিয়ায় প্রকাশ পাবে, তাতে  খুশি হবেন।    

কাল কোলকাতার সব কটি বড় ইলেক্ট্রনিক সংবাদকে যতটুকু  অনুসরন করেছি তা থেকে মনে হয়েছে, কোন মিডিয়াই খবর দেখে নাই।
----- প্রিন্ট মিডিয়াতে, সেই সংবাদপত্রটি, যারা 'ভগবান ছাড়া' কাউকে ভয় পায় না তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাদের ভগবান কারা। একেবারে 'শূণ্য' কভারেজ।
--- আনন্দ বাজার নিজে কোন সংবাদ করে  নাই। সম্পাদকীয় কলমে, দুই ব্যক্তিকে দিয়ে কিছু লিখিয়েছে।
 সর্বভারতীয় সংস্থা হিসেবে, পি টি আই একটা খবর করেছে। পড়লেই মনে হব, এটা বহু ক্ষুদ্র  ঘটনার একটা। 
ইংরাজী খবরে কাগজ হিসেবে 'হিন্দু' এখনো স্বাধীন সংবাদপত্র হিসেবে নিজের অস্তিত্ব রেখেছ। সেই কাগজ নিজে রাখি, দাম একটু বেশী তবুর রাখি, স্বাধীনতা মূল্য হিসেবে। কেন্দ্রিয় সরকার ক্ষমতায় আসার পরের দিনেই, অন্য কিছু সংবাদ পত্রের সাথে সাথে 'হিন্দুর' বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিয়েছে।
সেখানে ওদের পঞ্চম পাতার অন্যতম প্রধান সংবাদ হিসেবে, রাবিশ কুমারের ছবি দিয়ে সংবাদটা করেছে। 
রাবীশ কুমারকে সম্বোধিত করে বলেছেঃ" VOICE FOR VOICELESS"
কিন্তু সত্যের পুজারী হিসেবে 'গনশক্তির' ভুমিকা যে হতাসাজনক হয়েছে, সেকথা ইতিমধ্যেই লিখেছি তারা, শ্রেফ পিটি আই এর খবরটা স্বাদ গন্ধহীন অবস্থায় পঞ্চম পাতায় ছাপিয়ে দিয়েছে।
It is despite, Jibon Roy is often criticized  for his public position on class failure within party or CITU,even then I would request the working class content within Trade Union movement where ever they are
---- New Paper or Medica controlled by working class, be asked to take some lesson fron Ravis Kumar and learned about how to create analytical news and project. Collecting the news from market and just introduction, is not the working class approach. 
যতই দল বিরোধী হিসেবে বাকাবকি হোক, চাইব শ্রমীকরা দলের কাছে, দাবি করুক। যিনি না যারা দলের থেকে গনশক্তির রাজনৈতিক নেতৃ্ত্ব দিচ্ছেন, তাকে পত্রপাঠ বদল করা হোক।
All these should not carry the impression that as if the person under discussion, is having any special alignment with any political party in the left. Ii is only matter of approach about how U would look at the world
------ whether it is from leg to head, or from head to leg.
সাথে সাথে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনে সর্নশ্রেষ্ট বৌদ্ধিক শক্তিটি যে কেন্দ্রে বিরাজমান বলে মানা হয়, তাদের  কাছে সেই জিজ্ঞাসাটা রেখে, যা দিয়ে পোস্টের সুচনা করা হয়েছিলো, পোস্টিং টা শেষ করছি।
----- আজকে যখন 'সত্য' এবং 'সত্য সংবাদের' মহামারি চলছে, তখন 'গলা পর্য্যন্ত' চাপা পড়া 'সত্যাকে' মাটির নিচ থেকে উঠিয়ে আনার কোন উদ্যোগই নেবেন না। (চলবে)
 
Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours