old temple
ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ সোঁয়াই গ্রামটি একদা বাইশ ক্ষ্যাপার গ্রাম বলা হতো, কারণ গ্রামে বাইশটি চতুষ্পাঠী সংস্কৃত ছিল,! রাঢ় ভূমে সংস্কৃত শিক্ষার প্রান কেন্দ্র ছিল সোঁয়াই! এই গ্রামেই জন্ম গ্রহন করেন, ভারতের প্রথম নারী শিক্ষার পথিকৃত হটি বিদ্যালঙ্কার! আমরা জানি রাজা রামমোহন রায়ের হাত ধরে ভারতে শুরু হয়েছিল 'বেঙ্গল রেনেসাঁস ' বা বাংলার নব জাগরণ! কিন্তু আজ আমি পাঠকের অন্য একটি নব জাগরনের কথা শোনাবো! ভারত বর্ষ তখন তমসাচ্ছন্ন কুসংস্কারের বেড়াজালে বন্দী সমাজ! শিক্ষাই দুর্লভ, নারী শিক্ষার নামও উচ্চারন করা ছিল অপরাধ! রামমোহন তখন হামাগুড়ি দিচ্ছেন! 
সামাজে কৌলিন্য প্রথা জগদ্দল পাথরের মতো বসে আছে,! নারীরা অসহায় শুধু মাত্র কৌলিন্য রাখতে গিয়ে নারীদের সমাজ নামক যুপকাষ্ঠে নিত্য বলি দেওয়া হতো, যুবক বা বৃদ্ধ কুলীন পাত্রের সহধর্মিনীর সংখ্যা নির্নিত হতো কুড়ির এককে ! সতীদাহ প্রথা সমাজের কারো কাছে অপরাধ বা মনে হয়নি! বাল্যবিবাহ ছিল বিধি কিন্তু বিধবা বিবাহ ছিল স্বপ্নের অতীত! সেই সময় বাংলার বুকে এক নবজীরনের সৃষ্টি হ'ল বর্ধমান ভুক্তির সোঁয়াই গ্রামে সালটা সম্ভবতঃ ইং ১৭৪৩ সালে সোঁয়াই গ্রামে এক বিদুষীর জন্ম হ'ল! হটী বিদ্যালঙ্কার, তাঁর বাবা নাম সঠিক জানা না গেলেও স্হানীয় মানুষের কাছে জানা যায়, সম্ভবতঃ সোমেশ্বর মুখোপাধ্যায়! 
তিনি ছিলেন সংস্কৃত পন্ডিত এবং তাঁর একটি সংস্কৃত টোল ছিল! বাল্য বিধবা হটীকে সহমরনে যেতে না দিয়ে, তাঁর পিতা তাঁকে সংস্কৃত ও ব্যাকরনাদির শিক্ষা দেন! ( চলবে)


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours