ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ ভবতারন প্রথমে বলেছিলেন তাঁদের কন্যা বেঁচে নেই, কুসুমমঞ্জরী
মৃত সন্তানের জন্ম দিয়েছিল! কিন্তু রূপেন্দ্রর কন্ঠের দৃঢ়তায় সত্য
বলতে বাধ্য হলেন! আমতা আমতা করে বললেন, সে আছে, তবে তাঁর বাড়ীতে
এখন নেই ! রূপেন্দ্র বিস্মিত হ'য়ে জিঞ্জাসা করলেন " এবাড়ীতে এতো দাস
দাসী তবুও একরত্তি মেয়েটার জায়গা হলো না?"
ভবতারন বললেন, " এবাড়ীতে থাকলে তুমি কি করতে?"
রূপেন্দ্র প্রত্যুত্তরে জালানেন, তাকে নিজ গ্রামে , সোঁয়াই- এ
পিতৃপুরুষের ভিটে নিয়ে গিয়ে, গার্গী, মৈত্রেয়ী, মদালসার উত্তর সাধিকা
করে তুলবেন!
ভবতারন জানাতে বাধ্য হলেন, রূপেন্দ্রর কন্যা এবাড়ীতেই আছে, এবং রূপেন্দ্রর আসা মাত্রই তাকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে! এবং উদ্দেশ্য, তাঁকে সাধারনভাবে মানুষ করে তোলা, যেখানে তার পিতার কোন ছাপ থাকবে না! তাঁর ধারনা সে পিতার আশ্রয়ে থাকলে ' একবগ্গা ' হয়ে উঠবে, আর রূপেন্দ্র বাচ্চা মেয়েকে বড় করবে কিভাবে? রূপেন্দ্র জানালেন, তাঁর পিসিমা ও পিসতুতো বোন কাত্যায়নী আছে তারাই রূপমঞ্জরীর দেখভাল করবে!
ভবতারনের কাছে প্রথম রূপেন্দ্র জানতে পারলেন, একবছর পূর্বে তাঁর পিসিমা দেহ রেখেছেন এবাং বর্ধমানের নগেন দত্ত তাঁর মাতৃ শ্রাদ্ধে ভগ্নীপতি গঙ্গারামকে ত্রিশবিঘা জমি ও একটি পাকা বাড়ী করে দিয়েছেন মানকর গ্রামে! যদিও নগেন দত্ত রূপেন্দ্রকেই এই দান দিতে চেয়ে ছিলেন, তিনি না থাকায় অগত্যা গঙ্গারামকে দেন! তারা এখন মানকরবাসী!
ভবতারন রূপেন্দ্রর কন্যাকে তাঁর হাতে সমর্পন করতে রাজী হলেন একটি শর্তে! সেটি হ'ল, কন্যাকে মানুষ করার জন্য রূপেন্দ্রকে পুনর্বিবাহ করতে হবে! এবং পাত্রী তাঁরই শ্যালিকা তুলসী! সেই রূপমঞ্জরীর পরিচর্চা করে, তাঁকেই সে মা বলে!
রূপেন্দ্র পুনর্বিবাহ করতে অপারগ বলে জানালেন! তিনি ভবতারনকে সরাসরি জালানেন যে " আপনি জানেন, আমি চির কুমার থাকবো ঠিক করেছিলাম, কিন্তু একটা বিশেষ পরিস্হিতিতে কুসুমমঞ্জরীকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলাম!
ভবতারন শুধু বললেন, " পুরানো কথা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই, সেদিন যদি একটা বিশেষ পরিস্হিতিতে কুসুমমঞ্জরীকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়ে থাকো, তাহলে আজও বিশেষ পরিস্হিতিতেই ওই একরত্তি শিশুটিকে মানুষ করার জন্যই নতুন করে দ্বিতীয়বার ছাতনাতলায় টোপর পরে দাঁড়াতেই হবে!"
রূপেন্দ্র মাথানেড়ে অসন্মতি জানালে! ভবতারন রূঢ়ভাবে কিছু বলতে যাচ্ছিলেন , হঠাৎ অন্দরমহল থেকে রূপেন্দ্রর ডাক এলো!
( চলবে)
ভবতারন বললেন, " এবাড়ীতে থাকলে তুমি কি করতে?"

ভবতারন জানাতে বাধ্য হলেন, রূপেন্দ্রর কন্যা এবাড়ীতেই আছে, এবং রূপেন্দ্রর আসা মাত্রই তাকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে! এবং উদ্দেশ্য, তাঁকে সাধারনভাবে মানুষ করে তোলা, যেখানে তার পিতার কোন ছাপ থাকবে না! তাঁর ধারনা সে পিতার আশ্রয়ে থাকলে ' একবগ্গা ' হয়ে উঠবে, আর রূপেন্দ্র বাচ্চা মেয়েকে বড় করবে কিভাবে? রূপেন্দ্র জানালেন, তাঁর পিসিমা ও পিসতুতো বোন কাত্যায়নী আছে তারাই রূপমঞ্জরীর দেখভাল করবে!
ভবতারনের কাছে প্রথম রূপেন্দ্র জানতে পারলেন, একবছর পূর্বে তাঁর পিসিমা দেহ রেখেছেন এবাং বর্ধমানের নগেন দত্ত তাঁর মাতৃ শ্রাদ্ধে ভগ্নীপতি গঙ্গারামকে ত্রিশবিঘা জমি ও একটি পাকা বাড়ী করে দিয়েছেন মানকর গ্রামে! যদিও নগেন দত্ত রূপেন্দ্রকেই এই দান দিতে চেয়ে ছিলেন, তিনি না থাকায় অগত্যা গঙ্গারামকে দেন! তারা এখন মানকরবাসী!
ভবতারন রূপেন্দ্রর কন্যাকে তাঁর হাতে সমর্পন করতে রাজী হলেন একটি শর্তে! সেটি হ'ল, কন্যাকে মানুষ করার জন্য রূপেন্দ্রকে পুনর্বিবাহ করতে হবে! এবং পাত্রী তাঁরই শ্যালিকা তুলসী! সেই রূপমঞ্জরীর পরিচর্চা করে, তাঁকেই সে মা বলে!
রূপেন্দ্র পুনর্বিবাহ করতে অপারগ বলে জানালেন! তিনি ভবতারনকে সরাসরি জালানেন যে " আপনি জানেন, আমি চির কুমার থাকবো ঠিক করেছিলাম, কিন্তু একটা বিশেষ পরিস্হিতিতে কুসুমমঞ্জরীকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিলাম!
ভবতারন শুধু বললেন, " পুরানো কথা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই, সেদিন যদি একটা বিশেষ পরিস্হিতিতে কুসুমমঞ্জরীকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়ে থাকো, তাহলে আজও বিশেষ পরিস্হিতিতেই ওই একরত্তি শিশুটিকে মানুষ করার জন্যই নতুন করে দ্বিতীয়বার ছাতনাতলায় টোপর পরে দাঁড়াতেই হবে!"
রূপেন্দ্র মাথানেড়ে অসন্মতি জানালে! ভবতারন রূঢ়ভাবে কিছু বলতে যাচ্ছিলেন , হঠাৎ অন্দরমহল থেকে রূপেন্দ্রর ডাক এলো!
( চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours