মুসবা তিন্নি, ফিচার রাইটার, বাংলাদেশ:
বাংলাদেশে
বর্তমানে প্রতি ৬ মাসে ৬৩০জন ধর্ষন ও হত্যা হয়! ধর্ষণে নজিরবিহীন রেকর্ড
বাংলাদেশের। একজন বাংলাদেশী হিসেবে বিষয়টি লজ্জার এবং অপমানজনক। এতো যে
ধর্ষন,হত্যা,খুন হচ্ছে এখানে কয়জনকে শাস্তি দেয়া হয়েছে?
কোথায় স্বাধীনতা? কোথায় বিশ্বাস?
এটা
এমন এক দেশ যেদেশে ব্লেড দিয়ে কেটে যৌনাঙ্গের প্রবেশ পথ বড় করে ৫ বছরের
শিশুকে রাতভর ধর্ষন করা হয়!এটা এমন এক দেশ যেখানে ছোট্ট শিশুকে ধর্ষন
করায় বাবা থানায় বিচার চাইতে গেলে ১০০০ টাকা দিয়ে পুলিশ কিনতে চায়
বাচ্চাটির হারানো ইজ্জত।
এটা এমন এক দেশ যেখানে বিয়ের প্রলোভন
দেখিয়ে অাইন রহ্মার কাজে নিয়োজিত পুলিশ এক গরীব মেয়েকে পরপর ২ রাত টানা ধর্ষন করে।
এটা
এমন এক দেশ যেখানে ১১ বছরের বাচ্চাকে আটকে রেখে ৮ জন জানোয়ার সারা রাত
ধর্ষন করলো, অথচ পাশের ফ্ল্যটে থাকা মানুষগুলো টেরই পায়না!
এটা এমন এক দেশ যেখানে জন্মদিনের পার্টির
কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীদের বিলাস বহুল হোটেলে নিয়ে বন্দুকের মুখে জিম্মি করে ধর্ষন করা হয়।
এটা এমন এক দেশ যেখানে ৮০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষন করতে দ্বিধা বোধ করে না মানুষ নামের পশুগুলো।
এটা এমন এক দেশ যেখানে ধর্ষনের পরে ২য় বার নগ্ন হতে হয় ধর্ষিতার প্রমান দিতে।
এটা এমন এক দেশ যেখানে একজন ধর্ষিতাকে
সহমর্মিতার পরিবর্তে‘বেশ্যা’‘নষ্টা’,চরিত্ রহীন' ইত্যাদি উপাধি নিয়ে সমাজে বেঁচে থাকতে হয়।
এটা এমন এক দেশ যেখানে ধর্ষন মামলা হয়
কিন্তু ৯৯.৯৯% ই বিচার হয়না।
এটা এমন এক দেশ যেখানে মান সম্মান ও
সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভেবে ৯০% পরিবারই ঘটে যাওয়া ধর্ষন নিরবে সহ্য করে।
এটা এমন এক দেশ যেখানে সহ্য করতে হয়
বিচারের নামে নানা প্রহসন।
এটা এমন এক দেশ যেখানে ধর্ষনের বিচার না
পেয়ে বাবা মেয়েকে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়।
এটা এমন এক দেশ যেখানে আছে মানবতাবাদী,প্রগতিশীল, সভ্য মানুষ তাদের কাছে ধর্ষন আধুনিক যুগের সামান্য দুষ্টামি মাত্র।
এটা
এমন এক দেশ যেখানে ফেসবুকের প্রোফাইলে ২ দিন কালো ছবি ঝুলানো হয় কিংবা
'Justice for অমুক, তমুক' স্ট্যাটাসের ঝড় উঠে কয়েকদিন...তারপর আর কোন
সাড়া-শব্দ থাকেনা!! লেখকরা এখানেই নিরব,
সমাজ ধ্বংস হচ্ছে । নারী লাঞ্চিত হচ্ছে। শিশু
ধর্ষিত হচ্ছে এভাবে আর কতদিন ??
এভাবে
দিনদিন এর মাত্রা বেড়েই যাচ্ছে। যদি সরকার, প্রশাসন, সাধারণ জনগণ সকলেই
এবিষয়ে এগিয়ে আসে। শিক্ষক, ধর্মীয় ব্যক্তি, দলীয় বড় নেতা, এলাকার
প্রভাবশালী যেই ধর্ষক হোক না কেনো, কোনো পরিচয় বা অজুহাতেই তাকে যদি ছাড়
দেয়া হয়। ধর্ষণের জন্য যদি স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নুন্যতম সময়ের
মধ্যে ধর্ষণের বিচার করা হয়। কয়েকটা প্রকাশ্যে ফাঁসির মতো রায় দেয়া হয় ও
তাৎক্ষনিক কার্যকর করা হয় তাহলে ধর্ষণের পরিমাণ কিছুটা হলেও হয়তো কমে
যাবে।
ধর্ষককে না বলুন। ধর্ষকের পরিবারকেও সামাজিকভাবে বয়কট করুন। পরিবার থেকে সন্তানদের ধর্ষণের ব্যাপারে সচেতন করা উচিত।
এক
হোন সকলে নুসরাত, তনু, দিপালী, মল্লিকা,সায়মা মতো অার যেনো কোনো ধর্ষণ
এদেশের মাটিতে না ঘটে!! সকল ধর্ষণের জন্য রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ ও
প্রতিরোধ করুন। ধর্ষককে ধরে তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা পর্যন্ত লেগে
থাকুন। সুন্দর দিন আসবেই। ধর্ষণ মুক্ত বাংলাদেশ হবেই হবে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours