fiture
অঞ্জন সেনগুপ্ত, ফিচার রাইটার, কলকাতা: জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC)। এই ছোট্ট শব্দ-বন্ধ আজ তারা করে বেড়াচ্ছে একটি সমৃদ্ধ জাতিকে। ইংরেজের ভারত শাসনের যুগে, যে জনপদ কে কেন্দ্র করে আজকের আধুনিক ভারতের ভিত্তিভূমি রচিত হয়েছিল, যে জাতি তার সংগ্রামী মেজাজে বারবার কাঁপিয়ে দিয়ে ছিল গোটা পৃথিবীর সাম্রাজ্যের ভীত ,সেই বাঙালি জাতিসত্তা আজ আক্রান্ত। অস্তিত্বের সংকটে বিপন্ন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের যুগে রেঙ্গুন থেকে পেশোয়ার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল যে বাঙালি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রহ্মপুত্র-বরাক উপত্যকা থেকে পাটনা ,চম্পারণ ,রাঁচি পর্যন্ত বিস্তৃত ভূখণ্ডের প্রধান ভাষাভিত্তিক জাতি, সেই বাঙালির জাতীয় সত্তা আজও গড়েই উঠলো না ।1947 এর দেশ ভাগ বাঙালির এক বড়ো অংশ কে তার বাঙালি সত্তা কেড়ে নিয়ে পাকিস্তানি মুসলমান বানিয়ে দিলো। 
একসাথে পূর্বপাকিস্থানের সংখ্যালঘু করে দিলো ধর্মীয় ভাবে হিন্দু বাঙালিকে ,সেদিনই বাঙালির জাতি হিসাবে গড়ে ওঠার সব স্বপ্নের কবর রচনা হলো। পশ্চিমবাংলা যা রইলো ধর্মনিরপেক্ষ ভারতবর্ষে সেখানে নির্মাণ হলো ভারতীয় জাতীয়তার চেতনা বা মজুরের আন্তর্জাতিকতার চেতনা ,ফলে পূর্ব বাংলাই সে মুসলমান বা হিন্দু পশ্চিমবাংলায় সে সে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী বা আন্তর্জাতিক।ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের ফলে শিলচর সহ সমগ্র আসামে সে স্বভূমে অনুপ্রবেশ কারী ,আর আজ ডিভোটার,চম্পারণ ভাগলপুরে সে বাহারি বাঙ্গালী,রাঁচি,হাজারীবাগ ,চাইবাসা ,ঘাটশিলায় সে দিকু , দণ্ডকারণ্য ,পিলিভিতে বাঙালি মনুষ্য-তরো জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে, -দিল্লি ,চেন্নাই,মুম্বাই ,বেঙ্গালুরু,হায়দ্রাবাদ এ সেই বাঙালির অবস্থার বর্ণনা নাই বা দিলাম।কলকাতা শহরে এক বাঙালি অপর বাঙালির সাথে কথা বলে হিন্দিতে।তাই পূর্ব পাকিস্তানে অর্থাৎ অধুনা বাংলদেশে ধর্মীয় কারণে তারা রাষ্ট্রহীন ,আর ভারতবর্ষের বিভিন্ন অংশে ভাষার কারণে তারা রাষ্ট্রহীন হতে চলেছে ,তাই জাতি হিসেবে রাজনৈতিক শক্তি অর্জন করতে না পাড়াই প্রধান কারণ ।
অখণ্ড ভারতীয় জাতীয়তাবাদের চাপে বাঙালি জাতির জাতীয় আন্দোলনের অভাব জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তে বাঙালিকে গিনিপিগ বানানোর চক্রান্তের মূল কারণ । 


Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours