ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ফিচার রাইটার, দুর্গাপুরঃ কাশীধাম থেকে চন্দননগর নৌকায় আসতে তিন মাস সময় লেগেছে রূপেন্দ্রর! এসে উঠলেন পিসশ্বশুরের বাড়ীতে! রূপেন্দ্রর বড় চুলদাড়ির জন্য তাঁর পিসশ্বশুর ভবতারন গাঙ্গুলী জিঞ্জাসা করলেন " চুলদাড়ি না কাটার কারন কি? সংসারে - বিতরাগ?"
রূপেন্দ্র উত্তর দেওয়ার পূর্বেই ভৃত্যকে রূপেন্দ্রর জন্য একজাড়া ধুতি আনতে হুকুম দিলেন!
স্নানান্তে তাঁকে অতিথিশালায় থাকতে দেওয়া হ'লো! রূপেন্দ্র বুঝতে পারলেন, কুসুমমঞ্জরীর সাথে অন্দর মহলে তাঁর জামাই আদর পাওয়ার সৌভাগ্য তিনি হারিয়েছেন!
জলযোগের পর রূপেন্দ্র তাঁর পিসশ্বশুর সাথে সাক্ষাৎ করলেন! রূপেন্দ্রকে ভবতারন জিঞ্জাসা করলেন, ' তিনি কেন এসেছেন ?"
রূপেন্দ্র শুধু বললেন, " এটা প্রথম ঠিক হওয়া প্রয়োজন, আমাদের সম্পর্কটা কি?"
ভবতারন বললেন, " তুমি একসময় আমার কন্যাসমা কুসুম মঞ্জরীর স্বামী ছিলে, তার মৃত্যুর পর তুমি সৎকারের কোন দায় নাওনি, শ্রাদ্ধশান্তির কোন ব্যবস্হা না করে চলে গেছিলে! এরপর আমাদের আর কি সম্পর্ক থাকতে পারে?"
রূপেন্দ্র কিঞ্চিৎ রাগান্বিত হয়ে উত্তর দিলেন,"আপনি ছিলেন আমার পিসশ্বশুর - শুধু মাত্র কুসংসেকারের বশবর্তী হয়ে, প্রসূতি বিদ্যায় বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত গোকুলাচার্যের সেরা ছাত্রটিকে সূতিকাগারে প্রবেশ করতে না দিয়ে, পরোক্ষে কন্যাসমা কুসুমমঞ্জরীকে হত্যা করেছেন!তার ফলে তীব্র ঘৃনায় আমি একবস্ত্রে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম!"
এরপর ভবতারন জানতে চাইলেন কেন তিনি এসেছেন?
রূপেন্দ্র সরাসরি জানালেন, তিনি তাঁর কন্যাকে নিতে এসেছেন!
ভবতারন প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে রূপেন্দ্রকে চলে যেতে বললেন! আর পাল্টা জানাতে ভুললেন না, তাঁদের কন্যা বেঁচে আছে সেটা সে কি করে জানলো?
রূপেন্দ্র দ্রুত স্হান ত্যাগ করার আগে বললেন, " রূপমঞ্জরী বেঁচে নেই?"
কে রূপমঞ্জরী? জানতে চাইলেন ভবতারন!
রূপেন্দ্র আর কুসুমমঞ্জরীর কন্যা!
(চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours