জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:
কাশ্মীরের প্রশ্নে এই পর্য্যায়ের শেষ লেখাটি লিখে, পূর্বের শিরোনামায় ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছি। প্রয়োজনে বাকি কথা বলা যাবে। ইতিমধ্যে, আভ্যন্তরীন এবং আন্তর্জাতীক সম্পর্কের প্রশ্নে এমন কিছু পরিবর্তন এসেছে, যেগুলি সম্পর্ক সমুহের অতীত সীমাকে অতিক্রম করেছে।
শিরোনামায় যাওয়ার পুর্বে আসু ঘটনাবলি সম্পর্কে, কিঞ্চিত ওয়াকিবহাল করে নেওয়া উচিত হবে।
প্রথমেই যেটা বলা দরকার কাশ্মীরে পরিস্থিতি যে দিকে ঘুরছে বলে খবর আসছে এবং তার সাথে আন্তর্জাতিক স্তর থেকে, যে সব খবর আসছে, সেখানে নিশ্চিতভাবে--- মানতে হবে, ভারতীয় মূলভূখন্ডে কাশ্মীরের মানুশের সাথে সহমর্মীতাকে যদি উচ্চতর ধাপে উঠিয়ে আনার বিষয়টিতে যদি গতি না পায়, তবে কাশ্মীরে পাকিস্থানের হস্তক্ষেপে বৃ্দ্ধি পেতে থাকবেই। গনশক্তির খবরকে যদি ছোট করেও দেখা হয়,
------ 'হিন্দুর' পাঠানো এবং অন্যান্য ইলেক্ট্রন মিডিয়া থেকে যে সব সংবাদ পাঠানো হচ্ছে, তাতে সরকারকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পরেও নানা যায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনার কারনে, এমন অনেক যায়গাতেই পুনরায় নিষেধাজ্ঞা বলবত করতে হয়েছে। বলা হয়েছে সাকুল্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি ৩৫/৪০ শতাংশ খুল্লেও পড়ুয়ারা পড়াশুনা করতে অস্বিকার করছে।
যে ভয়ংকর ছবিটি ওয়াসিংটনপোস্ট পাঠিয়েছে, তা ভবিষ্যতেই ইংগিতটুকুই রেখে যাচ্ছে। স্কুলের বাচ্চা পড়ুয়ারাও যে পথে নামতে শুরু করছে, তাতে ভবিষ্যতের ইংগিত দিচ্ছে। ছবিটি পাঠকদের জন্য ছেপে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে অবশ্য গনশক্তির খবর অনুযায়ী, ৪ হাজার গ্রেফতার হয়েছে। জেলে নাকি স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না।
অন্যদিকে, সিকিউরিটি কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত যে ভারতের শিরপীড়ার কারন হয়েছে, সে কথাজানিয়ে , সিকিউরিটি কাউন্সিলের বয়ানের একটি অংশ ছাপিয়ে দিয়েছি, কয়েকদিন পূর্বে। কিন্ত, ভারত সরকারের ধারনা ছিলো, রাসিয়া - তার চিরচরিত অবস্থান মতঃ ভারতকে সমর্থন করবেই।এবারেও যে ধারনা ছিলো গতকাল পর্য্যন্ত, সে ধারনাকে উল্টে দিয়েই সিকিউরিটি কাউন্সিলে, রুশ প্রতিনিধীর বিবৃতিটি সামনে এসেছে, গতকালের লেখা যাওয়ার পর । সিকিউরিটি কাউনসিলে, রাসিয়ান কুটনিতিক , দিমিত্রি পলিয়ানস্কি এক ট্যুইটে লেখেন," রাশিয়া সব সময়েই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পক্ষে জোর দিয়ে আসছে। আমরা আশা করি কাশ্মীর বিরোধ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান করাই শ্রেয়।" তিনি বলেন, "ওই সমাধানের ভিত্তিটি হবে ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণা এবং জাতিসংঘের চার্টার, জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট রেজুলেশন এবং ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ওপর।"
এবারে শিরোনামায় আসতে গিয়ে, ভারতীয় ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের অন্যতম জনক হিসেবে স্বিকৃ্তি পেয়েছেন, এমন একজনের সেকালে শোনা একটি ভাষনের কথা মনে পরছে। তিনি অন্য কেউ নন, কমরেড এস এ ডাংগে। সেখালে সবে মেহনতকে কথা বলতে শেখানো হচ্ছে।
শ্রমের চরিত্র যখন অদক্ষ, তখন সেই নিম্নতম চেতনাকে অবলম্বন করে পুজিতন্ত্রকে সেদিন অতিসাবলিল পদ্ধতিতে তুলে ধরতেন। কিভাবে সেকাজটা করতেন, তার অসংখ্য নমুনা রয়েছে।
তেমন একটি ভাষনে, একথা বোঝানোর জন্যেঃ
------ বনে, জংগলে পাহাড় আর পর্বত সর্বত্র 'পজি ' তার লাংগল নিয়ে কিভাবে হাজির হয়ে যায় সেকথাটাই বুঝাচ্ছিলেন। তিনি বোঝালেন
---- যেখানেই মুনাফার সুযোগ সেখানেই পুজিপতিরা হাজির।
আরো বোঝালেন, 'পুজিপতিরা যদি খুজে পান, কবরের কারখানাতেই লাভ, তবে বিশ্বের সব পুঁজি 'কবরখানা নির্মানেই মনোনিবেষ করবে"।
এইতো গেলো গৌড়চন্দ্রিকা। এবারে আসল কথনে আসা যাক। শ্রীমোদি-সাহ কতটুকু, সেকথা বিশ্বাস করেন জানি নাকো। তবে এটা দেখাগেল, ৩৭০ কে নিয়ে যুদ্ধ ঘোষনার পূর্বেই , জন্মু, কাশ্মীর এবং লাদাককে
----- গুজরাটের তিন পুঁজিপতির মধ্যে বাটোয়ারা করে দিয়েছিলেন।
তফাৎটা এক যায়গাতেইঃ
---- কমরেড ডাঙ্গের বর্ণিত পজিতন্ত্রীরা ছিলেন, 'শিল্পপুজি'। কিন্তু উল্লেখিত তিন অঞ্চলকে যাদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিলো
সেগুলি হোল
----- বানিজ্যিক যাকে বলে মারকেন্টাইল পুঁজি । এই পুজির সুবিধা হোল,
----- এরা যেমন শাসক দলকে কাঁচা টাকা সাপ্লাই করতে পারেন, তেমনি, বিদেশী প্রভুদের সাথে সংযোগ এবং ডলার সংগ্রহ করে দেশের কালো টাকার পাহাড়কে, পর্বতের স্তরে উঠিয়ে দিতে পারেন।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours