জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা
সংবিধান বদলে যেমন স্বাধীনতার অধিকার যেমন ছেড়ে দেওয়া যায় না - তেমনি সংখ্যালঘু, পশ্চাতপদ বর্ণ
এবং আদিবাসীদেরকে দেওয়া অধিকারকে কেড়ে নিয়ে কিংব দর্মীয় নিয়ম কানুন বদলে দিয়ে সংবিধান বদল করা যায় না। কোন ধর্মীয় সংস্কার আইন করে হয় নাঃ 'তিন তালাক' কোরানের অনেক নিয়মের সাথে এক সুত্রে বাঁধা একটা ধর্মীয় ব্যবস্থা এবং এই ব্যবস্থা সামাজিক নিয়মে বদলে গেছে। কাজেই, হিন্দু বা খৃষ্টান ধর্মের নিয়মকে যেমনঃ
----
হয় সামাজিক বিপ্লব কিংবা পারস্পরিক গ্রহনযোগ্যতার ভিত্তিতে বদল করতে হয়,
তেমনি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মে বার তার কোন নিদৃষ্ট নিয়ামকে যদি বদল
করতে হয়, তেমনভাবেই করতে হবে
---- অন্যথায় গায়ের জোরে
যখন করা হয়, তখন সাধারনভাবে মান্য করা যাবে যেন মেজরিটি কমিউনিটি
রাষ্ট্রের উপরে একটা গৃহযুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে।
এই চাপিয়ে দেওয়াটা বিশ্বের চলমান নিয়ম কানুন মানবে কিনা সেটাও খুটিয়ে দেখা প্রয়োজন হবে।
----
এখন ভারতে যারা সংখ্যালঘু, তারা ধর্মের দিক থকে একটি বিশ্ব শক্তি আরব বা
পাকিস্থানকে ছেড়ে দিলেও, ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় বিপুল সংখ্যায় তারা বাস করেন
এবং শুনেছি আমেরিকা কিংবা বৃটেনের কোন একটি রাষ্ট্রে, অর্থ মন্ত্রকের
প্রধান উল্লেখিত সংখ্যালঘুদের থেকে।
---- খুটিয়ে দেখার পর যদি দেখাদেয়, ইউরোপে যে সব দেশে গনতান্ত্রিক বিপ্লব হয়ে গেছে, সে সব দেশ, কোরানের নিয়ম অনুযায়ী বিবাহ সম্পর্ক
মেনে চলতে কোন অসুবিধা হয় নাই, অথচ ভারতে হচ্ছে
----
তবে বুঝতে হবে, জাতিসত্তাকে একটি সার্বজনীন সত্বা হিসেবে না দেখে, ধর্মীয়
বিভাজনের ভেতর দিইয়ে দেখার কারনেই সমস্যা, তখন তো নিশ্চিতভাবে, ভারতের
পররাষ্ট্র নীতিকেও প্রভাবিত করতে বাধ্য।PROBABLY, THIS HAS BEEN THE MAIN
REASON FOR HURRIED PURSUED OF TIN TALAK SCRAPT BILL - এবং
এটা করা হচ্ছে, আরব এবং ইউরোপের সে সব দেশ থেকে যেখান মুসলিম সম্প্রদায় রাষ্ট্রীয় নীতিকে যথেষ্ট পরিমানে প্রভাবিত করে
----
সে সব দেশ থেকে ভারতকে বিচ্ছিন্ন করে, আমেরিকার নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যাওয়।
ইতিমধ্যেই আমরা অর্থনীতি এবং সামরিক দিক থেকে ডলার সাম্রাজ্যের সাথে বাধা।
যদি
কোন ব্যবস্থা 'গায়ের জোরেও' এসব ধর্মীয় আইনকে বদল করতে চায়, তাকে
নিশ্চিতভাবে, বিবাহ এবং বিচ্ছেদ সম্পর্কীত বিভিন্ন ভারতীয় গোষ্টী এবং
সম্প্রদায়ের নিয়মগুলিকে
----- এক সাথে নিয়ে এসে,
তুল্যমূল্যে বিবেচনা করে, বিপুল গনবিতর্ক করার পর জনগনের সর্বাংশকে এক
করেই, এসবের উপরে আইন পাশ করতে হবে। নতুবা গায়ের জোরে চাপিয়ে দেওয়া আইন
দেখা যাবে
---- শুধু ধর্মীয় সংখ্যা লঘুকে নয়, অন্যান্য সম্প্রদায়, যেমন আদিবাসি কিংবা পশ্চাতপদ বর্ণকেও বিরোধে সামিল করবে।
----
আজকের দিনে যখন সারা বিশ্বে এটা চলে গেছে, ইউ এন ও বার বার ভারতের
বিরুদ্ধে ধর্মীয় অত্যাচারের অভিযোগে প্রস্তাব পাশ করছে, তিন তালাক আইন এই
বিচ্ছিন্নতাকে বাড়িয়ে দেবেই।
----- যদি হিন্দু আইন
এবং কোরানের আইনের তুল্য মূল্যে বিচার করা যায়ঃ কোরানে পুরুষ একাধিক বিয়ে
করতে পারে ঠিক, কিন্তু আইনতঃ পলিগামিতে ভয়ংকর বিপদ আছে। অন্যদিকে সুপ্রিম
কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে, মেয়েদেরকেও ,আইনত পলিগামীর অধিকার দেওয়া হয়েছে।
সব থেকে বড় দুটি বড় শেষ কথার, একটি হোল -
আধুনিক সমাজ এ কথা মেনেছে, ছেলের ভালোটাও - তাকে বুঝিয়েই করা উচিত।
সেখানে আমি নিশ্চিত হয়েছি, আইন যতই মহান হোক - শতকরা নব্বই ভাগ মহিলা নিজেদের মুক্তি অপেক্ষা কোরানের পক্ষেই যাবেন যদি গনভোট হয়।
দুটির শেষ কথাঃ
যখন
সারা দেশে মুসলিম সম্প্রদায় এবং সমাজে যারা দলিত বলে পরিচিত, তাদের উপরে
যখন ঘাতক আক্রমন চলছে, বি জেপির লোকেরা সর্বত্র সংরক্ষনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন
তুলছেন, একজন জজ তো দাবীই করলেন - দেশের সব উচু সরকারী পদ ব্রাহ্মনদের
দেওয়া হোক -
---- তখন whatsoever position hindu
uppercaste liberas may take তিন তালাক, যাকে সংখ্যালঘুর কোরানের সংস্কার
বলে মনে করছেন, কার্য্যত
সমাজকে গন-বিভাজনের দিকেই ঠেলবে ।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours