জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা:
আর এস এস শাসনে বিদ্যালয় শিক্ষাও,
আদিভৌতিকবাদে ছেয়ে যাবে,
এখন তো সাম্য এবং
জনশিক্ষার সাথে দলগত শিক্ষার
অন্তসম্পর্কগুলি চিহ্নিত করতে হবেই।
কথায় কথায় একবার কথাটা জানতে চেয়েছিলাম, বাম-ফ্রন্টের শেষ উচ্চ-শিিক্ষা- মন্ত্রীকে। পড়াটাতো একই, কেবল প্রকৃ্তি বিজ্ঞানকে এক অখন্ডতায় এবং তার সাথে ইতিহাসকে এক রেখায় দেখার চেষ্টা করা।
এ কাজটাকে যদি বাম-ফ্রন্টে পার্টী সদস্য শিক্ষকদের ১০ ভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হোত
-------- আমার ধারনা বামফ্রন্ট পরে যাওয়ার কোন কারন হতে পারতো না। সব কিছু করেও, যে এ রকম বিপর্য্যয় ঘটলো, তার প্রধান কারন হোল, সাধারন শিক্ষাকে তার অখন্ডতার অভিমুখে নিয়ে যাওয়ার কথা কেউ ভাবেন নাই যেমন ভাবেন নাই, দলগত শিক্ষার সাথে একপ্রান্ত বিদ্যালয়, অন্য প্রান্তে ট্রেড ইউনিয়ন এবং জনশিক্ষার বৃহত্তর অবস্থানের
সাথে যুক্ত করার অস্বিকৃ্তি।
এখান থেকেই অন্যপ্রশ্নটি দাঁড়াবে।
কেন এমনটি হতে পারলো এবং জবাবটি আসবে, অন্য সেই অর্বাচীন প্রশ্নের সুত্র ধরে।জাতীয় রাজনীতির চোরা-গলিগুলি উন্মুক্ত করতে, আন্তর্জাতীকতার আয়নাকে কাজে লাগানো হবে কিংবা নয়।
সাধারনভবে,
কংগ্রেস শাসন বিদ্যালয় ব্যবস্থায়, ইংরাজী শিক্ষার বৃটিশ ব্যবস্থাকে অনুসরন করেছে। সে পথেই পড়াশুনায়, আদিভৌতিক বাদের আশ্রয় না নিলেও অখন্ডতার বিষয়ে উদাসীন ছিলো। এমন কি এ কথাটি কদাচিত বুঝানোর চেষ্টা হয়েছে
----- প্রকৃ্তি এবং ফলিত বিজ্ঞানের আধুনিক রুপগুলি সাধারন শিক্ষায় যদি উন্মোচিত না হয়, তবে আধুনিক সাহিত্য কিংবা সংস্কৃতির উন্মোচনো কোন মতেই সম্ভব হবে না।
এসব সুত্রকে সামনে রেখেই বলা হয়েছেঃ ভারতের আধুনিক ইতিহাস পড়বো কিংবা পড়াবো, রেনেশা কিংবা ফরাসী বিপ্লব অথবা ইউরোপের শিল্প বিপ্লবকে বাদ দিয়ে কি কখনো স্পষ্ট হবে? আরো বলা হয়েছে,
বুর্জোয়া যুক্তিবাদ যদি উদারনীতিবাদে কিংবা মানবিকতায় উত্তোরন ঘটে থাকে, অক্টোবর বিপ্লব অথবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রকৃ্ত উন্মোচনকে বাদ দিয়ে, কেমনভাবে হতে পারবে?
অনুরুপভাবে,
----- রোম, মোঘল এবং বৃটিশ সাম্রাজ্যগুলির, প্রকৃ্ত এবং চরিত্রগত পার্থক্যটি যদি স্পষ্ট না থাকে, তবে কেমন করে, আজকের দিনে
আর এস এস যে, সাম্প্রদায়ীক অসভ্যতার শোভাযাত্রা চলছে, তাকে
কেমন করে নিরস্ত্র করা যাবে। এই বিষয়ের উপরে, অবশ্য ইতিমধ্যেই
গোটা তিনেক পোস্টিং করা হয়েছে।
এই সুত্র ধরেই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধত্তোর কালে, যে সব দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে, সে সব দেশগুলির
----- আর্থ-রাজনীতি যাতে আমেরিয়াকার খপ্পরে না পরে, সেজন্য সোভিয়েতের দায়বদ্ধতা যেমন বিপুলভাবে বর্তেছিলো, সে কারনেই অভ্যন্তরের সাম্যবাদী দলগুলিরো আভ্যন্তরীন নীতিগুলির নির্ধারনে, আন্তর্জাতীকতার মানদন্ড অতীব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।
---- সেখানে বড় ধরনের ভূল-চুক এক দিকে যেভাবে সাম্যের বিনাশ ঘটবে, তেমনভাবেই অর্থনীতির অভিমুখ যেমন জনবিরোধী হবে, তেমনি দেশ সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে আমেরিকান মিলিটারীতন্ত্রের অধীন চলে যাবে।
সাম্যের আভ্যন্তরীন বিচারে এসব ভুল-চুক, দেশে সাধারন সুবিধাবাদের উচ্ছাস ঘটানোর সাথে সাথে, দলকেও উভয় মেরুরু একটা না একটা কিংবা উভয় সুবিধাবাদ একযোগে দল এবং ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলননের সাথে সাথে, দেশটাকেও সেদিকে টেনে নিয়ে যাবে। (চলবে)
Post A Comment:
0 comments so far,add yours