politics
জীবন রায়, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ, রাজ্যসভা: 
আমাদের প্রেরোস্তয়িকতা মান করিয়েছেঃ --- , যেহেতু হিটলার উত্তরকালে,আমেরিকা মিলিটারী তন্ত্র বিশ্বপুজির কেন্দ্র হয়ে দাঁড়াবে, সে কথাটার কার্য্যকারন সম্পর্ক স্তালিন স্পষ্ট করে দিয়ে গেছেন। ------ তাই যদি না হবে, তবে ' ডলার' কেন বিশ্ব ফিন্যান্সের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠবে। 'রুবল তো হতে পারতো? ----------- বস্তবতা এখানেই, যুদ্ধ করা সোজা। ভালোবেসে কাছে টেনে নেওয়া অনেক কঠিন। বিষয়টা যেখানে, সর্বজন শ্রদ্ধেয় হয়ে, বিশ্ব সমাজকে কাছে টেনে নেওয়া এবং এক করা - -তখনই ভাবগত দিক থেকে সংগ্রামটা হয়ে দাড়ায় ঃ সমাজতন্ত্র বনাম পুজিতন্ত্র। 
 --- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই, এই দ্বন্দ্বের পুজিতান্ত্রিক দিকটি যে একপ্রান্তে পুজির সব থেকে হিংস্ত্র এবং ভয়ংকর - ,অন্যপ্রান্তে সীমাহীন স্বরযন্ত্রকারী, মিথ্যাচারি ও মায়াবিক পুজারীদের হাতে - যারা বিশ্ব চিন্তায় ইতিহাস বোধকে নর্দমায় টেনে আনতে, জ্ঞান ও সংস্কৃতিকে খন্ড বিখন্ড করে, নুন-চুন লাগিয়ে মনুষ্যের ভাবনাকে লন্ড-ভন্ড করে দেবে। এই সুত্রেই ভারতের আজকে যে ৩৬ কোটি দেবতার পূনরাবির্ভাব ঘটছে, জনগনের মধ্যে সাম্যবাদী স্পেশকে এসব দেবদেবীতো বটেই - গুরুবাদের দিকে ঠেলা হচ্ছে ------ সে সবেও জ্ঞানকে খন্ড বিখন্ডীত করার 'কুটবুদ্ধী' এবং 'কূ-প্রয়োগের ধারাগুলিও, সেখান থেকেই নেমে আসছে। এতোদিন যা ঘটানো সম্ভব হয় নাই, সোভিয়েত ভেংগে যাওয়ার পরেই,, আমেরিকা, Organic science ke In-organic বিচ্ছিন্ন করতে ডারউইন তত্বকে অবাঞ্ছিত আখ্যা দিয়ে দিলো। পরে ক্রমে, জীববিদ্যা থেকে মন এবং মনের সার্বজনীন ক্রিয়াকর্মই যে ইতিহাস সেগুলিকে বাতিল করতে শুরু করলো। এসবের পরিনামেই গনশিক্ষা, গনস্বাস্থ্য এবং গনসংস্কৃতিতে সরকারী বিনিয়োগকে অপ-খরচা হিসেবে আন্তর্জাতীক ছাপ পেয়ে গেলো। আমাদের দেশের বিদ্যালয় শিক্ষা যে ক্রমে উঠে যাওয়ার পর্য্যায়ে চলে গেছ্যে - ---- তার প্রকৃ্ত রহস্য এই বিন্দুতেই। সাধারনভাবে, আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশ যখন , আমেরিকা মিলিটারীতন্ত্রের ব্যবস্থার কাছে আত্মসমর্পনের ঠিকানা খুজে পায়, তখন ধরেই নিতে হবে ----- কিছুদিনের মধ্যে কবরের নিচ থেকে এখন দেশের হারগোড় খুজে পাওয়া যাবে কিছু দিন বাদ। আমরা ভারতবর্শ এসব 'বিশ্ব নষ্টামী মেনেছি,। 
তার প্রথম পরিনাম ২০১৯ - যা কিছু ভালো ছিলো ১৯৪৭ এর পর থেকে, তার সব কিছুর 'কবর' হয়েছে,। ------ এবারে দেশকে ঠিক করতে হবে, কবর থেকে হারগোড় তুলে আনার দিনের জন্য ---- অথবা অতীত গৌরবের অবশিষ্টাংশকে উঠিয়ে আনতে, জাতীয় জীবনের পূর্ন রুপান্তরের পথ অন্বেষন করবে। (চলবে)

Share To:

THE OFFNEWS

Post A Comment:

0 comments so far,add yours